রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনা যে শিবিরের কাজ সে কথা আজ গাছের পাতাও বিশ্বাস করে । নতুন বিশ্বাসের বিষয়টি এসেছে জামাত নেতাদের ইন্দনের কথা । সাভার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমীর আলী হলের সভাপতি গ্রেফতার হলে তিনি মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন জামাত নেতারা টেলিফোনে পুরো ঘটনা মনিটর করেছেন। সে দিন অন্য সকলেরমত আমিও কথাটা বিশ্বাস করিনি। আমাদের পুলিশ সাজানো জবান বন্দী আদায় করতে ওস্তাদ । তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে জামাত নেতারা হয়ত আগে কিলিং এর সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকতে পারে তবে নিশ্চয়ই কিলিং এর সময় ফোনে কথা বলেন নি অন্তত ধরা পরার ভয়ে হলেও। কালকে মুজাহিদের প্রেস কনফারেন্স এর পর সে ধারনা ভেঙ্গে গেছে। প্রথমদিকে অবশ্য জামাত নেতারা রাজশাহী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জামাততো দূরে থাক শিবিরের সম্পৃক্ততার কথাই স্বীকার করেনি। তারা বলেছে এটা ”র” এর কাজ আবার বলেছে ছাত্রলীগের অভ্যান্তরীন কোন্দল। গতকাল প্রেস কনফারেন্সএ জামাত সেক্রেটারী মুজাহিদের কথা শুনে আমার বিশ্বয়ের সীমা নেই। তিনি প্রথম দিকে বললেন কোন কথা হয় নি পরে বললেন কথা হলে আমরা উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিয়েছি, যাতে মারামারি না হয়। আমার প্রশ্ন সে রাতেতো মারামারি কিছু হয় নি হয়েছে কিলিং। ৭১ এর ১৪ ডিসেম্বরেরমত রাতের আধারে ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে এনে হত্যা এবং হাত পায়ের রগ কাটা হয়েছে। এখানে উত্তেজনা কোথায় আর মারামারিই কোথায়।
আমি এখন বিশ্বাস করি মুজাহিদ যেহেতু নিজেই স্বীকার করেছে যে সরোতে কথা হয়েছে তার মানে পরিস্কার । সে রাতে জামাত নেতারাই টেলিফোনে কিলিং এর হুকুম দিয়েছেন তাই যারা টেলিফোনে কথা বলেছে তারা সবাই হুকুমের আসামী। এদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করাটা সত্যিই বিশ্বয়কর।
বিঃ দঃ জামাত শিবির এবং রাজাকারদের বলছি, দয়া করে মাইনাস দিয়ে পালাবেন না । পালানোর ব্যপারে আপনারা আবার ওস্তাদতো। যুক্তি থাকলে উপস্থাপন করুন ।
Click This Link
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



