somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীদের বিশ্লেষন। একজন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী কেন, কিভাবে, কি কারনে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয়?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী কেন, কিভাবে, কি কারনে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয়?

কোন একটা বিষয়ের পিছনে কিছু কারন থাকে। সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীরা কেন, কিভাবে, কি কারনে তার বিশ্বাস কে ত্যাগ করে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয় এবং নিজেদের কে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী বলে দাবী করে তা আমার ভাষায় তুলে ধরার চেস্টা করেছি। কোন বিষয় বাদ পড়লে জানাবেন অবশ্যই ঠিক করে সম্পাদন করবো।

নিন্মে বিভিন্ন স্পেসিফিক কারন এর উপর ভিত্তি করে প্যারা করে নিন্মে বর্ননা দেওয়া হলো।



1. বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা এর অভাব :

সৃস্টিকর্তাকে অনুধাবন ও তার অস্তিত্বের প্রমান করা শুধু মাত্র বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা। অনেক সময় সঠিক ভাবে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা না করে মানুষের সাময়িক ভাবে সৃস্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের তারতম্য হতে পারে। তাই পরবর্তীতে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা পরিপুর্ন ও খাটি ভাবে সৃস্টিকর্তার বিশ্বাস অর্জনের সুযোগ রয়েছে।



2. নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা :

মানুষের অনেক গুলো স্বাভাবিক স্বভাবের মধ্য অন্যতম একটি স্বভাব হলো নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা। এতে সে ভিন্ন ও নতুন একটা ব্যক্তিত্ব এর বিকাশ ঘটাতে পারে এবং সকলের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই কিছু কিছু মানুষ চায় সে যেন কিছু ভিন্ন ও অন্যরকম কিছু বলতে পারে। চারদিকের সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের একই ধরনের কথাবার্তার একটু ভিন্নতা আনার জন্য সৃস্টিকর্তার বিশ্বাসের চিন্তার পথ হতে প্রকৃত চিন্তার কিছুটা ব্যতিক্রম ও কনফিউশন তৈরি করে যারা বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা করেন না তাদের ভালোই দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই আরো দৃস্টি আকর্ষনের জন্য সে আরো ব্যতিক্রমী চিন্তা ও কনফিউশন তৈরিতে আত্ননিয়োগ করে। এভাবে নিজের কার্যক্রমের কারনে নিজেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসের পথে জড়িয়ে যায়।



3. বিশেষ বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন ও সঙ্গীদের সহচার্য :

কিছু কিছু মানুষের অনেক সময় কোন বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন করে। যেমন হিমু একটা ভার্চুয়াল চরিত্র হলেও তার খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়া ফলোয়ারের অভাব নাই। তেমন চে গুয়েভারোর ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক। একজন সেলিব্রেটির সব সময় নিজেস্ব কিছু স্টাইল থাকে। চে গুয়েভারোর স্টাইল ছিল তার বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল ও তার বিপ্লবী গুন সম্পন্ন লাইফ স্টাইল। কিছু কিছু মানুষ তার ছবি ওয়ালা টি শার্ট ও তার লাইফ স্টাইল ফলো করতে শুরু করলো। স্টাইল ফলো করতে যেয়ে তারা জানতে পারলে চে গুয়েভারো একজন সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী এবং বিপ্লবী। তাই ঐ মানুষ গুলো সেলিব্রেটি চে গুয়েভারোর লাইফ স্টাইলকে নিজের লাইফ স্টাইলে পরিনত করার চেস্টা করলো কারন হয়তো কিছু কিছু মানুষ ভাবলো খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়লেই হিমু হওয়া যায় না হিমুর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়। তেমনি বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল এবং বিপ্লবী হলেই চে হওয়া যায় না। চে এর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়।


4. পলিটিক্যাল কারনে সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী:

যদি সৃস্টিকর্তা থেকেই থাকেন তবে তিনি অবশ্যই তার সৃস্টির জীবন যাপন এর সুবিধার জন্য, মঙ্গলের জন্য, সৃস্টির উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য তার নিজের তৈরি কিছু "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" সৃস্টির উপর প্রতিস্ঠা করিয়ে দিতে চাইবেন। "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" না দেখে তার সৃস্টি কিভাবে বুঝবে যে তিনি একজন সৃস্টিকর্তা।

কেউ তার পলিটিক্যাল স্বার্থ হাসিলের কারনে এবং ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" কে তার ক্ষমতার আসার জন্য বাধা হিসেবে অথবা ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" থাকলে সেটা তার সুনীতি ও দূর্নীতির বাধা হতে পারে, এমন কোন ধারনা কেউ পোষন করলে সে মনে প্রানে চাইবে ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" যেন প্রতিস্ঠিত না হয়। তাই সে সৃস্টিকর্তার "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" বিহিন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইবে। ফলশ্রুতিতে সে নিজে ও সৃস্টিকর্তাকে প্রত্যাক্ষান করবে। ট্রাই করবে সৃস্টিকর্তার কোন অংশ ও প্রভাব নাই এমন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।



5. নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা :

কিছু কিছু মানুষের নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা রয়েছে। তারা চান তারা যেন সকলের দৃস্টি আকর্ষিত হোক সকলের থেকে ভিন্ন কোন বিশেষ কাজ দ্বারা। যেহেতু আামাদের সমাজে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হতে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীর সংখ্যা বেশী এবং পরস্পর বিদ্বেসী সেজন্য সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীরা যদি সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কোন কথা বা কার্যক্রম করে তবে সহজেই সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। আমাদের সমাজের মিডিয়া গুলিও তাদের নীতি ও সুবিধার কারনে খুব সহজই এবং উদার ভাবে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীদের কার্যক্রম প্রচার করতে পছন্দ করে। তাই তারা সংখ্যায় অল্প হলেও সহজেই তাদের সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের জন্য প্রচার পায়। সুতরাং যে বা যারা নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী তারা সামান্য কিছু সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের কারনেই সহজে প্রচারনা পেতে পারে। এভাবে নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কার্যক্রম করতে করতে ক্রমেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হয়ে উঠে।



6. পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিকি করনের অভাব :


আমরা ছোট কাল থেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে শিখি কিছু বিশেষ নীতি কথা ও কাজ যেমনঃ "সদা সত্য কথা বলবো, মিথ্যা বলবো না", "গুরুজন কে সম্মান করবো", "কাউকে কস্ট দিব না" ইত্যাদি। এমনি ভাবে পরিবার ও সমাজ যদি সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী ধারনার হয় তবে শিশুদের এমন ভাবে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী শিক্ষা দেওয়া উচিৎ যেন ঐ নীতি কথা গুলোর মতো শিশুটির বিশ্বাস ও বড় হলে কোন কনফিউশনে পড়বে না। এমন করা না হলে শিশুটির সৃস্টিকর্তা বিশ্বাস এর উপর কনফিউশন হওয়া ই স্বাভাবিক।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৩
২১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×