somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা সাহিত্যের অবশ্যপাঠ্য কিছু বই (পূর্বলেখ পর্ব)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেককেই দেখেছি বাংলা সাহিত্যের কিছু ভালো বইয়ের তালিকা করতে। কিন্তু ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও আমি আমার প্রিয় বইয়ের তালিকা তৈরি করতে পারিনি। কারণ সেই বইগুলো আমি পরে শেষ করতে পারিনি। আর দিন দিন প্রিয়র তালিকাও সমৃদ্ধ হচ্ছে। তাই এখন মনে হচ্ছে, বাংলা সাহিত্যের অবশ্যপাঠ্য কিছু বইয়ের তালিকা তৈরি করা যেতে পারে এবং আমার ধারণা আপনারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন। বই আমাদের মানুষ করেছে, আমাদের সুসভ্য করেছে‌, আলোকিত করছে, তাই আজ যারা বই-বিমুখ, যারা শুধু কম্পিউটার, পানশালা আর টিভি সিরিয়ালে আনন্দ পায়, তাদের কি সভ্য বলা যাবে?
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- 'ভালো বই কাকে বলে?' উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'যে বইটা পাঠককে ভাবায়, সেটাই ভালো বই।' বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই আমার করা ফিরিস্তির সাথে একমত হবেন আশা করি।

পাঠকদের কাজ হলো বই পড়া। বইয়ের মধ্য থেকে নিজের জন্য আনন্দ খুজে ফেরা। ''তিনটি ভালো বই একবার করে পড়ার চেয়ে একটি ভালো বই তিনবার পড়া বেশি উপকারী।”
মূলত ভালো বই, মন্দ বই দুটোই মানুষকে শিক্ষা দেয়। তবে মন্দ বই একটু বেশিই শিক্ষা দেয় যে, বইটির জন্মদাতা লেখক কতটা নিম্নরুচির মানুষ।

আমাদের জীবনের আয়ু তো সীমিত। বইপত্র নিয়ে এলোমেলো পড়তে গিয়ে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। বইটি পড়ার আগে ভাবতে হবে আমি এই বইটি কেন পড়ব, বইটি থেকে কী চাই। যা পড়া হয়, তা আত্মস্থ করা গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে আত্মিক উন্নয়ন। আপনার বইয়ের শেলফ যত বেশি সম্ভব ভিন্ন ধরনের বই দিয়ে ভর্তি করবেন, আপনার অ্যাডভেঞ্চারও তত বেশি হবে।

যাই হোক, আমি বাংলা সাহিত্যের নির্বাচিত অবশ্যপাঠ্য কিছু বইয়ের একটি ফিরিস্তি করতে যাচ্ছি। এই ফিরিস্তিভুক্ত বইগুলোর তালিকাপ্রণয়ণ ও এর তারতম্য বা বিন্যাসের ক্ষেত্রে আমাকে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়েছে। কখনো ভেবেছি, লেখকের জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে বইয়ের তালিকা হবে। আবার ভেবেছি, বইয়ের কাটতির ওপর। অনেক সময় লেখার সাহিত্যমান, গদ্যশৈলী বা ক্ষুরধার চিন্তার স্ফুরণ দেখে বিস্মিত হয়েছি। তাই শেষপর্যন্ত বইয়ের তারতম্য বা বিন্যাসের খেই ধরে রাখা মুশকিল হয়ে গেছে। সে কারণে আপনারা বিন্যাসের ক্ষেত্রে একমত না-ও হতে পারেন। কারণ, একেকবার একেক দিকটাকে প্রাধান্য দিয়ে এই ফিরিস্তির তারতম্য স্থির হয়েছে। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে এসব বই যে আপনাকে পড়তেই হবে, তা আমি অনেকটা হলফ করে বললেও অত্যুক্তি হবে। তবে এই আপরিচয় ফিরিস্তিতে কোনো অনুবাদী বই স্থান পায়নি। এর কারণ, অনূদিত ভাষা বাংলা হলেও মূল গ্রন্থটি বাংলা ছিল না। তাই এটা বাংলা সাহিত্যের মৌলিক গ্রন্থ হিসেবে স্থান না পাওয়াটা সকলের কাছে সমাদৃত হবে।

চেষ্টা করবো, প্রতিদিন একটি করে পর্ব দিতে। যেদিন শেষ হবে, সমাপ্তি পর্বের মাধ্যমে আপনারা তা জানতে পারবেন। আর প্রত্যেক পর্বে বইগুলোর পরিচয় এবং নাতিদীর্ঘ বুকরিভিউ দেয়া হবে। সাথে পিডিএফ পাঠকদের জন্য থাকবে পিডিএফ লিংক।
দুঃখিত, যারা পিডিএফ পছন্দ করেন না, তাদেরকে বইগুলো উপহার দেয়া আমার পক্ষে দু’দিনের সন্তরণ বিদ্যার ওপর সাহস করে অকূল দরিয়ায় ঝাপ দেয়ার মতো। তাই তাদের জন্য একবার চিন্তা করেছিলাম, অনলাইনের বুকশপগুলোর লিংক দিতে। কিন্তু এটা নেহাৎ বিজ্ঞাপনী আচরণ হবে ভেবে তা পরিত্যাগ করলাম

(প্রথম পর্ব আগামী কাল আসছে...)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×