ঈদের কয়দিন রাত এগারোটা থেকে শুরু হইয়া চারটা পর্যন্ত দেখাইতাছে সব লাইভ গানের প্রোগ্রাম। আমি সাধারণত এগুলান দেখিনা, সব অনুষ্ঠানে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি, বিরক্তি ধইরা যায়। যাইকগা, আইজকা সময় কইরা বসলাম।
ধারণা পাল্টাইয়া যাইতাছিল আরটিভিতে ন্যান্সি আর হায়দার হোসেনের চমৎকার অনুষ্ঠানটা দেিখা। বাড়াবাড়ি, ভাঁড়ামি ছাড়াই চমৎকার সব গান গাইতাছিলেন আমার এই অতি প্রিয় দুই শিল্পী।
একটার দিকে এনটিভিতে শুরু হইল আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে কুৎসিত লাইভ গানের প্রোগ্রাম। মিলা, হৃদয় খান, বালাম আর ফুয়াদ। ইয়ো জেনারশনের চার নতুন বলদ
তয় ফার্স্টেই টাস্কি খাইলাম মিলার গেটাপ দেইখা। একটা লাইভ গানের প্রোগ্রামে সে এই ড্রেস পইরা আসে কি কইরা????? শীতের লাইগা কিনা কে জানে, উপরে চক্করবক্কর টি-শার্টের লগে হেভি এক চামড়ার জ্যাকেট লাগাইছে। আর নীচে গরমের লাইগাই মনে হয়... খালি! মানে পুরা খালি না, মিনি স্কার্ট। (কয়দিন পর এইটা আরো ছোটো হইবো, সন্দেহ নাই
আচ্ছা যাউকগা, মিলা নাইলে সস্তা FGI (F=ma
বালাম গানের নামে যা গাইলো আমার ভাষায় স্রেফ ভাড়ামি। বিশ্বাস করেন, তার চেয়ে আমি নাদানও বহুত ভালা গাইতে পারি!! আআআআ বলে যেই টানগুলা দিতাছিল, সেইগুলা যে ব্যাব্যাব্যা হইয়া যাইতাছিল, তার কোন খেয়ালই নাই। যারা বালামের লাইভ কোন প্রোগ্রাম দেখেন নাই, দেখেন। রেকর্ডের সাথে তার কতো তফাৎ বুঝবেন। আর কোথায় শান্ত হইয়া গাইব তা না, মিলার সাথে তাল দিয়া লাফাইতে লাফাইতে শ্যাষ!!
হৃদয় খান চোর পাবলিক, সবাই জানেন বোধহয়। স্প্যানিশ থেইকা এই সুর, ল্যাটীন থেইকা ওই সুর, হাওয়াই থেইকা আরেক সুর মাইরাই তার দিন চলে। প্রোগ্রামে সে তেমন হাস্যকর কিছু করেনাই, তয় আল্লাহ তারে সুন্দর একখান বদন দিছে, আমার মনে হয় একটূ সিম্পল থাকলে তারে অনেক ভালা লাগত। কয়দিন আগে দেখছিলাম খড়ের রঙের লম্বা লম্বা চুল, এখন ওই রঙই আছে, তয় সাইজটা একটূ ভদ্র হইছে। আর তার ক্যারেক্টার থেকে অহংকারটাও যদি একটু কমায় ভদ্রস্থ হইতে পারত! ফুয়াদ দেখলাম চশমা লইছে। এই মোটকুর প্রতি আমার যতোটূকু সম্মান ছিল এই প্রোগ্রাম ছিল এই প্রোগ্রাম দেইখা চইলা গেল।একটা ক্যালাস!! সে জানে তার ট্যালেন্ট আছে, এবং সেইটা নিয়ে দেমাগে তার মাটিতে পা পড়েনা, যেই দর্শকের জন্যে সে এতো উপরে উঠল, তার সামান্য কথায় মুখ কুঁচকায় বান্দরের মতো কইরা ফালায়!!
সোজা কথায় কই, এইসব শিল্পীগো আমার একেবারে পার্সোনালিটিলেস মনে হয়। দেশের সব মানুষ যে তাদের এইসব ভাঁড়ামিতে বিরক্ত, সেইটা বুঝার ক্ষমতাও তাগো নাই। চটুল সব রসিকতা, ফালতু আড্ডার নাম কইরা কি যে গেজায়, হেরাও বুঝেনা। নিজেদের নিয়া নিজেরাই লাফায়। চ্যানেলগুলাও তাল দেয়। চ্যানেল আইরে এইজন্যে দেখতে পারিনা, এখন এনটিভিও শুরু করল কিনা কে জানে!! সবাই দেশ কিন্যা নিছে বইলা মনে করে। আররে বেটা আমগো জন্যেই তোরা ওই জায়গায় যাইতে পারছস, ভুইলা যাস ক্যান??? জন্মদিনে যেই জাম্বো কেক কাটতে পারলি, ওইটাও আমগো লাইগাই!! আর সত্য কথা কই, চ্যানেল আই+ অন্যান্য চ্যানেলের এইধরনের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কোন সাধারণ দর্শক পছন্দ করেন বইলা আমার জানা নাই। কেউ কইরা থাকলে ভাই আওয়াজ দিয়েন। আমরা যে তাগো উপর কি পরিমাণ বিরক্ত, সেইটা যদি এইসব টাকার ব্যাপারীর বুঝার ক্ষ্যামতা থাকত!!
মিলারে নাকি তার বাপে ঘর থেইকা বাইর কইরা দিছে, কোথায় জানি পড়ছিলাম। সত্য হোক মিথ্যা হোক, এখন দেশ থেইকা এইসব 'উলটা মডার্ণ'দের খেদানোর সময় আসছে।
তয় আরটিভি্র প্রোগ্রামটা সত্যি ভালা পাইছি।
এখনো এমন ভালা কিছু শিল্পীর কারণেই দেশের সঙ্গীত টিক্যা আছে। আরও কিছুর প্রয়োজন। তাইলেও মিলার মতো সস্তা পাবলিকগো ভাত কমতে বেশি সময় লাগবোনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



