somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমজান মাস এলেই মনে পড়ে যায় শৈশব কৈশোরের সেই অসাধারণ সময়গুলোর কথা…।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের বাণী নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের দুয়ারে আবারও উপস্থিত হয়েছে পবিত্র রমজান। রমজান ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাস। কোরআনের মাস, ইনসানিয়াতের মাস এবং ইসলাম ধর্মমতে সবচেয়ে পবিত্রতম মাস এটি। এই মাসে মুসলমানগণ ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন। একে আরবীতে 'সিয়াম' বলে; বাংলাদেশে ইহা মুলতঃ 'রোজা' নামে এই মাস সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে পবিত্রতম রমযান মাস উপস্থিত হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবাইকে আর একটি পবিত্র মাস অবধি জীবনদাবের জন্য।

রমযান মাস আসলেই আমি ফিরে যাই যাই সেই শৈশব-কৈশোরের সেইসব সোনালী দিনের সন্ধানে। আলাপ না বাড়িয়ে চলুন কিছু স্মৃতিচারণা করি। দেখুন তো, কয়টা জিনিষ মিলে যায় আপনাদের সাথে?

সেহরির খাওয়ার আনন্দঃ
সেহরী দিয়েই শুরু হোক আলাপন। আমাদের বাড়িতে খুব মজার মজার ঘটনা ঘটতো সেহরির সময়ে। রাতে সাধারণত আব্বার-মায়ের ঘরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় আমরা ‘বড়’ ঘর বলে থাকি)খাওয়া-দাওয়া হত। আর আমরা ছোটবেলায় ঘুমাতাম ঐ ঘরেই। মা অনেক আগেই উঠে যেতেন। রান্না-বান্না শেষে যখন সবাই খেতে বসত তখন হত মজা। আমরা ছোট বিধায় স্বভাবতই মা বা বড় ভাই-বোনেরা আমাদের ডাকতেন না। সবাই যখন একসাথে খেতে বসত তখনকার দৃশ্য ছিল দেখার মত। বিশেষ করে আমি খুব আকর্ষণ অনুভব করতাম। বড়দের খাওয়ার সময় আমি পুরোপুরি জেগে থাকতাম। কিন্তু উঠতে বিব্রত বোধ করতাম। আমার একটা দাম আছে না! আমি মনে প্রাণে চাইতাম মা বা যে কেউ অন্তত আস্তে করে হলেও একবার ডাকুক, ‘কিরে খাবি নাকি? উঠে পর’। কিন্তু সত্যি বলতে কি বেশীরভাগ সময়েই কেউ ডাকত না। তবে আমিও দমে যাবার পাত্র নই। বিছানায় শুয়ে অযথা এপাশ-ওপাশ করতাম যাতে কারো নজরে পড়ে যাই আর কেউ আমাকে ডাক দেয়। এটাও যখন কাজ করত না তখন অন্য কৌশল নিতাম। তখন আমি একটু জোড়ে ‘হাই’ তুলতাম যাতে অন্যের কানে যায়। এটাতেও যখন কাজ হত না তখন ব্যবহার করতাম শেষ অস্ত্র। হঠাৎ করেই বিছানা ছেড়ে উঠে বলতাম, ‘মা আমি প্রস্রাব করব’। এটাতেই কাজ হত। আমার বড় ভাই খুব মজার মানুষ। সে বুঝতে পেরে বলত, ‘মোচরা-মুচরি ম্যালা হইছে। হাত-মুখ ধুইয়া আইসা ভাত খা’। ভাইয়ের কথা শুনে সবাই হেসে উঠত। আমি খুব লজ্জায় পড়ে যেতাম। তবে আমি দ্রুত হাত-মুখ ধুয়ে এসে টুপ করে অন্যদের পাশে খেতে বসে যেতাম। খাবার মেন্যু যাইহোক না কেন খেতে অমৃতের মত লাগত।

এখনো ইফতার করি। ‘ঘড়ির/মোবাইলের ডাকে’ সেহরি খেতে উঠি। অনেকটা অভ্যাসবশতই এটা করি। আজও স্মৃতিপটে পুরনো দিনের কথা হানা দিলে বড়ই আনন্দ পাই। আর মনের মাঝে একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে, ‘আর কোনদিন ফিরে আসবে না ওই সোনামাখা দিনগুলি’।

মজা করে ইফতারি খাওয়াঃ



সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারদের জন্য ইফতার মহানন্দ ও ফযিলতপূর্ণ এবং অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ হলো ইফতার করা। ইফতারের মাধ্যমে রোজার পূর্ণতা আসে। এ সময়টি আল্লাহ মুমিনের পুরস্কারের জন্য নির্ধারণ করেছেন। নানা ধরনের খাবার সামনে পড়ে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর বিধান না থাকায় খাচ্ছে না-এটা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দের। রাসুল সা. বলেছেন, রোজাদারের খুশির মুহূর্ত দুটি:

এক. ইফতারের মুহূর্ত,
দুই. তাকে যেদিন জান্নাতে স্বাগত জানানো হবে।

যখন ছোট ছিলাম তখন খুব মজা হত এই সময়ে। মনে পড়ে তখনও রোযা রাখার বয়স হয়নি। কিন্তু ইফতারীর সময় ঘনিয়ে আসার আগেই আমরা যেখানেই থাকি না কেন (অন্যান্য ভাই বোনেরা) ঠিক সময়ে বাড়ি এসে পৌঁছাতাম। মা সবার জন্যই ইফতারী বানাতেন। তিনি সবাইকে তা পরিবেশন করতেন। বড়রা মানে রোযাদারগণ ঘরে পাটিতে বসে ইফতারি করতেন। তবে আমাদের বসার জায়গা হত একটু দূরে, বারান্দায় বা উঠোনে। তবে এটা কোন সমস্য হত না। আযান হওয়ামাত্র আমরা পরমানন্দে ইফতারী সাবাড় করতাম। কি যে মধুর লাগত!!

সেহরীর সময়ে মাইকে ডাকাডাকিঃ
রোযার সময়ের একটা কমন বিষয় হল স্থানীয় মসজিদ থেকে সেহরি খেতে উঠার জন্য সবাইকে ডাকাডাকি করা। রাত ২টা থেকে ডাকাডাকি শুরু হয়। পাশাপাশি চলে তেলওয়াত ও হামদ-নাত পরিবেশনা। ঘুমিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। কোন কোন জায়গাতে আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে তোলা হয়। যখন হলে থাকতাম তখন দেখতাম মেসের বা ক্যান্টিনের ছেলেরা প্লেটে বারি দিয়ে সবাই কে জাগানোর চেস্টা করছে! খুবই পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা!!! অনেকে অবশ্য কিছুটা বিরক্ত হন। তবে আমার মনে হয় একটা মুসলিম প্রধান দেশে এটা অমূলক নয়। বরং রোযার মাসের একটা অভ্যাস এটা। যদি কোন মসজিদ থেকে মাইকে ডাকাডাকি না হয় তবে বেশীরভাগ মানুষের খারাপই লাগবে।

তারাবীর নামাজ পড়াঃ
তারাবীহ নামাজ রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত। সারাদিন রোজা রেখে রাতের বেলায় ২০ রাকাত তারাবিহ-র নামাজ পড়া নিঃসন্দেহে এক কস্টসাধ্য ইবাদত। প্রবল ঈমানী জোর না থাকলে এটা পড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। ছোটবেলায় তারাবীর নামাজ নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটত। বন্ধুদের কেউ ৮ রাকাত পড়েই কেটে পড়ত। আমিও ‘বের হব’ ‘বের হব’ করতে করতে কতদিন যে পুরো নামাজই পড়ে ফেলেছি তার ইয়ত্তা নেই। আসলে এভাবে নামাজ আধা রেখে বের হতে মন সায় দিত না। তবে একটা ব্যাপার হলো, হাফেজ সাহেবের তেলাওয়াত যদি সুমধুর না হয় তাহলে ২০রাকাত নামাজ সত্যি বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

এখন পুরো নামাজ শেষ করতে আপ্রাণ চেস্টা করি। তবে ছোটবেলার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে একসাথে তারাবিহ পড়ার কোন তুলনা নাই।

এবার ঈদ নিয়ে কিছু বলা যাক।
একমাস রোজা রাখার পর আসে ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। তবে যারা ইসলাম সম্মতভাবে একমাস সিয়াম সাধনা করে মূলত এই আনন্দ তাদের জন্যই। এই আনন্দের অধিকার ধনী-গরীব সবার। গরীবের আনন্দ নিহিত ধনীদের দানে। আল্লাহ ধনীদের সম্পদের মাঝেই গরীবের সম্পদ রেখেছেন। গরীবের আনন্দকে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার মাঝেই ধনীদের প্রকৃত আনন্দ।

ঈদে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে আনন্দদায়ক ছিল তাহলোঃ

নতুন জামা-কাপড় পাওয়াঃ
ছোটদের জন্য ঈদের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে নতুন পোশাক উপহার পাওয়া। এখনকার বাচ্চা পোলাপানের মত আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে মাসে মাসে নতুন জামা-কাপড় কেনার প্রচলন কম ছিল। খুব ধনী পরিবারের ছেলে-মেয়েরা হয়ত বেশী পেত। তবে মধ্যবিত্ত বা গরীব পরিবারে উপলক্ষ ছাড়া নতুন পোশাক কপালে জুটত না। আমার বাবা সরকারী চাকুরী করতেন। খুব সীমিত বেতন দিয়ে তার পক্ষে মাসে মাসে ত দুরের কথা ৬ মাসেও আমাদের সবার কাপড় দেয়া সম্ভব ছিল না। কাজেই আমাদের চোখ থাকত দুই ঈদের প্রতি।

নতুন কাপড় নিয়ে আর একটি মজার ব্যাপার কান্ড হত। আমাদেরকে যে পোশাকই দেয়া হত ঈদের দিনের আগে কোনভাবেই এটা কাউকে জানাতাম না, দেখানো ত পরের কথা। বন্ধু-বান্ধবদের জিজ্ঞাসা করতাম তাদের কাপড়ের ব্যাপারে। ওরাও বলত না। মনে হত বললেই সেটা পুরাতন হয়ে যাবে!!! ঈদের দিন গোসল করে নতুন পোশাক পড়ে গায়ে আতর মেখে নামাজ পড়ে এসে খেয়ে-দেয়ে বন্ধুদের সাথে খেলা করতে যেতাম। এটাই হত সারপ্রাইজ!!! তখন আবার প্রতিযোগিতা চলত কার জামা সুন্দর এটা নিয়ে। এটা অধিকাংশ সময়ে ঝগড়ায় রুপ নিত। হাহাহা।

ঈদে নতুন জামাকাপড় পেলে মনটা আনন্দে নেচে উঠত। আর যেই বার কপালে নতুন পোশাক জুটত না সেইবার মনটা বিষাদে ছেয়ে যেত। ঈদের আনন্দ তখন নিরানন্দে পরিণত হত।

আর এখন? প্রয়োজন পড়লেই কেনা হয়, উপলক্ষ্য এলেও কেনা হয়। কিন্তু ঐ Feelings টা পাই না। আসলে ঐ বিজ্ঞাপনটার মত বলতে হয়, ‘স্বাদ পাই না’।

ঈদের বখশিশঃ
অতি আনন্দের একটা পর্ব। আমার মনে হয় এমন কোন মুসলিম নেই যে বা যিনি ঈদের বখশিশ বা সেলামি পান নি। আমিও পেয়েছি ছোটবেলায়। মনে পড়ে আব্বা ঈদ উপলক্ষে ১০০ বা ২০০ টাকা খুচরা করে আনতেন আমাদের মাঝে বিলি করার জন্য। আমাদের ছোটদের প্রত্যেককে ৫ থেকে ১০ টাকা করে দেয়া হত! প্রিয় ব্লগারগণ, আপনাদের যাদের বয়স কম তারা হয়ত টাকার অংক পড়ে হাসছেন। কিন্তু এটা একদম সত্যি। মনে রাখবেন, আমি আজ থেকে ২০/২২ বছর আগের কথা বলছি। তখন ৫ বা ১০ টাকা একদম খারাপ ছিল না। তাই এটা নিয়েই সন্তুস্ট থাকতাম। আমরা একটু দমে যেতাম (তবে তা কোনদিন হতাশায় পরিণত হয়নি) যখন দেখতাম আমার ফুফাত ভাইয়েরা তখনি ঈদের সেলামি পেত ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। যাইহোক, অনেককেই দেখতাম তাদের চাচা, মামা, দুলাভাই বা অন্য কোন আত্বীয়র কাছ থেকে ঈদ সেলামি পেত। কেউ স্বেচ্ছায় দিলে নিতাম কিন্তু ‘পায়ে সালাম করে টাকা নেয়া’ আমাদের খুব একটা টানত না। বাবা মা ‘নিজের যেটুকু আছে তাই নিয়ে খুশি থাকতে’ শিখিয়েছিলেন।

এখন বখশিশ পাওয়ার দিন শেষ। এবার দেয়ার পালা...

ঈদের দিন মোলাকাতঃ



খুব মজার একটা ব্যাপার। পরিচিত অপরিচিত সবার সাথে মোলাকাত করতাম। খুব শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করত। মনের মধ্যে অনাবিল আনন্দ অনুভব করতাম। এটা এখনো করা হয়।

ঈদের ভুরিভোজঃ



ঈদের আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যেত মা এবং আপারা যখন মজার মজার রান্নার আয়োজন করতেন। সেমাই, পায়েস, খিচুরি, মাংশ, পোলাও। আহা! জিভে জল এসে গেল! যখন মনে হত তখনই খেতাম। ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’। নিজের বাড়ি পেট পুরে ত খেতামই। পরে বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি গিয়েও উদরপূর্তি করা হত। তাদেরদেও দাওয়াত করতাম। সত্যিই সে ছিল এক মজার অভিজ্ঞতা।

দাওয়াত দিয়ে এখনো খাওয়াই তবে গিয়ে খাওয়া হয় খুব কমই।

মনে রাখবেন সকল ক্রিয়ার একটি প্রতিক্রিয়া আছে। তাই ভেবে চিন্তে খাবেন।



ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম একপথে আর আসতাম অন্যপথেঃ
এটা সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। মহানবী (সাঃ) পথ পরিবর্তন করতেন কোন অভাগা মানুষের খোঁজে, যাদের জন্য ঈদ কোন আনন্দ বয়ে আনত না। পথে এরকম কাউকে পেলে তিনি সাথে করে বাড়ি নিয়ে আসতেন। পাশে বসিয়ে পরম মমতায় তিনি তাকে খাওয়াতেন। পালকপুত্র হযরত যায়েদ (রাঃ) কে তিনি এভাবেই পেয়েছিলেন। তবে আমি আজ অবধি কোন হতভাগ্য ব্যক্তিকে বাড়িতে নিয়ে আসিনি। হয়ত কিছু দান করেই দায়িত্ব শেষ করেছি। আমরা আসলে নামে মুসলমান।

এটা এখনো করা হয়।

এমনি আরো অনেক আনন্দের ব্যাপার ঘটেছে ঈদ বা রোযার সময়ে। স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে মাঝে মাঝেই আকুলি-বিকুলি করে। ফিরে পেতে ইচ্ছে করে সেসব দিনরাত্রি। কিন্তু কখনো আর ফিরে পাব কী???

রমজান উপলক্ষ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিঃ
রমজানের আগে থেকে এবং মাসের শুরুতেই কিছু অসৎ ব্যবসায়ী রোজায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িয়ে দেয়। এ প্রবণতা যেমন ইসলামসম্মত নয়, তেমনি দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়মনীতির লঙ্ঘন। এতে সংযমের পরিবর্তে অসংযম সাধিত হয়। এটা বড়ই পীড়াদায়ক। কিন্তু কিছুই বলার নেই। এটা এখনো সমানতালে চলছে। গত পরশু বেগুন কিনতে গিয়ে মাথা চক্কর দেয়ার অবস্থা। কারণ ৪০ টাকা কেজির বেগুন ১০০টাকা দিয়ে ‘কিনতে’ হলো।

আর একটা ব্যাপার হলো, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি কিছু নাদান শেণির মানুষ প্রকাশ্যে রোজার পবিত্রতা নস্ট করে। এটা এখনো আছে। এ ব্যাপারে সবার সচেস্ট হওয়া দরকার।

এখন বিশ্বকাপ খেলা চলছে। খেলা দেখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের জাগতিক উৎসব, খেলাধুলা যাতে আমাদের বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ না করে। হে আল্লাহ। রমজানের বরকতময় রাতগুলোতে আমরা যেন তোমার প্রতিশ্রুত দয়া, ক্ষমা ও মুক্তি লাভ করতে পারি।

যাইহোক, শেষ করবো আমাদের এলাকার একটা প্রচলিত কৌতুক দিয়ে।

এক বয়োবৃদ্ধ মানুষ প্রথম রোজার দিন দুপুর গড়িয়ে বেলা পশ্চিমের দিকে ঢলে পড়ার সময় স্বগোক্তি করছেন,
“আইলো রোজা গেল রোজা
আর আছে এক কুড়ি সাড়ে নয়টা রোজা”।

এই তো, রোজা প্রায় শেষ হতে চলল। আর মাত্র সাড়ে ঊণত্রিশটা (চাঁদের উপর নির্ভরশীল) রোজা!

মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সর্বোত্তমভাবে সবগুলো রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা।


পশ্চিমের দিকে ঢলে পড়ার সময় স্বগোক্তি করছেন,
“আইলো রোজা গেল রোজা
আর আছে এক কুড়ি সাড়ে নয়টা রোজা”।


এই তো, রোজা প্রায় শেষ হতে চলল। আর মাত্র সাড়ে ঊণত্রিশটা (চাঁদের উপর নির্ভরশীল) রোজা!

মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সর্বোত্তমভাবে সবগুলো রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

নোটঃ ছবিগুলো গুগল থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×