somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের আলোকে বনী ইসরাঈল, ইসরাঈল রাস্ট্র এবং অন্যান্য।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বনী ইসরাঈল কারা?
ইসরাঈল হিব্রু ভাষার একটি শব্দ। এর মানে ‘আবদুল্লাহ’ (আল্লাহর দাস)। ইয়া’কুব (আঃ) এর অপর নাম। ওলামায়ে কেরামের মতানুসারে হুযুর পাক (সাঃ)ব্যতীত অন্য কোন নবির একাধিক নাম নেই। কেবল হযরত ইয়া’কুব (আঃ)এর দু’টি নাম রয়েছে-ইয়া’কুব ও ইসরাঈল। কোরআন পাক এক্ষেত্রে তাদেরকে বনী-ইয়াকুব বলে সম্বোধন না করে বনী-ইসরাঈল নাম ব্যবহার করেছে। এর তাত্পর্য এই যে, স্বয়ং নিজেদের নাম ও উপাধি থেকেই যেন তারা বুঝতে পারে যে, তারা ‘‘আবদুল্লাহ’ বা আল্লাহর আরাধনাকারী দাসের বংশধর এবং তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে হবে।

ইহুদীদের প্রধান নবী হলেন মূসা (আঃ), যার কিতাব হল তাওরাত। ইহুদীরা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, যার নাম তাদের কাছে জেহোভা। এখান থেকেই ইহুদী নামের উৎপত্তি। ইয়াকুব (আঃ)-এর মোট ১২ জন সন্তান ছিল। ১২ ভাইয়ের বড় ইয়াহুদার নামানুসারেই বনী ইসরাঈলকে ‘ইহুদী’ বলা হয়। বনু ইসরাঈলরা পথভ্রষ্ট হয়ে গেলে আল্লাহ তাদের হেদায়াতের জন্য মূসা (আঃ)-কে তাওরাত সহ প্রেরণ করেন। বনী ইসরাঈলের উপর আল্লাহ্র ছিল অগণিত নিয়ামত, অফুরন্ত অনুগ্রহ। পবিত্র কুরআনে প্রায় ৪৩টি স্থানে বনী ইসরাঈলের আলোচনা রয়েছে। তন্মধ্যে প্রায় ১৬টি স্থানে বনু ইসরাঈলের উপর আল্লাহ প্রদত্ত নে‘আমতরাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদের উপর চরম রুস্ট হোন। ইহুদিরা হযরত ঈসা (আঃ) সহ অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যাবাদী বলেছে এবং হযরত যাকারিয়া ও হযরত ইয়াহহিয়া (আঃ) কে হত্যা পর্যন্ত করেছে। তাছাড়াও বহু নবী বিভিন্ন সময়ে ইহুদিদের হাতে নিহত নিগৃহীত হয়েছেন-যা নিতান্ত অন্যায় বলে তারা নিজেরাও উপলব্দি করত, কিন্তু প্রতিহিংসা ও হঠকারিতা তাদেরকে অন্ধ করে রেখেছিল। মূলত ইহুদীরা হচ্ছে একটি প্রতারক, ধুরন্ধর, বিশ্বাসঘাতক নিষ্ঠুর জাতি। তাই লাঞ্ছনা ও অপমান এদের চিরসঙ্গী। এদের উপর আল্লাহ্র সবচেয়ে বড় গযব হচ্ছে মুসলমান বা অন্য কোন জাতির ন্যায় তারা কোন স্থানে একত্রিত জীবন যাপন করতে পারবে না। এজন্য ইতিহাসের পাতায় তাদেরকে সবসময় দুরাচারী, অপমানিত, বহিষ্কৃত অবস্থাতেই দেখা যায়। এইতো গত শতাব্দীতেই তারা মুসলিম খিলাফত আমলে আরব থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রয় নেয়। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার কর্তৃক নিষ্ঠুরভাবে আক্রান্ত ও বিতাড়িত হয়।
এ ক্ষেত্রে কোরআন সেই কথাই বলছে।

কোরআনের একটি আয়াতঃ
আর তোমরা যখন বললে, হে মূসা, আমরা একই ধরনের খাদ্য-দ্রব্যে কখনও ধৈর্যধারণ করব না। কাজেই তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট আমাদের পক্ষে প্রার্থনা কর, তিনি যেন আমাদের জন্যে এমন বস্তূসামগ্রী দান করেন যা জমিতে উৎপন্ন হয়, তরকারী, কাকড়ী, গম, মসুরি, পেঁয়াজ প্রভৃতি। মূসা (আ:) বললেন, তোমরা কি এমন বস্তূ নিতে চাও যা নিকৃষ্ট সে বস্তূর পরিবর্তে যা উত্তম? তোমরা কোন নগরীতে উপনীত হও, তাহলেই পাবে যা তোমরা কামনা করছ। আর তাদের উপর আরোপ করা হল লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এমন হলো এ জন্য যে, তারা আল্লাহ্র বিধি বিধান মানতো না এবং নবীগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তার কারণ, তারা ছিল নাফরমান সীমালংঘকারী।
--------সুরা আল-বাক্বারা, আয়াত ৬১

এই আয়াতে বর্ণিত ঘটনা ‘তীহ’ উপত্যকাসংশ্লিস্ট। মান্না ও সালওয়ার (এক ধরণের (বেহেশতি খাবার) প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তারা ওসব সবজী ও শস্যের জন্য আবেদন করলো। এ প্রস্তাবের প্রান্তরের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি শহর ছিল। সেখানে গিয়ে চাষাবাদ করে উতপন্ন ফসলাদি ভোগের নির্দেশ দেয়া হলো।

‘তীহ’ প্রান্তরের ঘটনাঃ
বনী-ইসরাঈলের আদি বাসস্থান ছিল শাম দেশে। হযরত ইউসুফ আঃ এর সময়ে তারা মিশরে এসে বসবাস করতে থাকে। আর ‘আমালেকা’ নামক জাতি শাম দেশ দখল করে নেয়। ফেরাউনের ডুবে মরার পর যখন এরা শান্তিতে বসবাস করতে থাকে, তখন আল্লাহ পাক আমালেকাদের সাথে জেহাদ করে তাদের আদি বাসস্থান পুনর্দখল করতে নির্দেশ দিলেন। বনী-ইসরাঈল এতদুদ্দেশে মিশর থেকে রওয়ানা হল। শামের সীমান্তে পৌঁছার পর আমালেকাদের শৌর্য-বীর্যের কথা জেনে তারা সাহস হারিয়ে হীনবল হয়ে পড়লো এবং জেহাদ করতে পরিস্কার অস্বীকার করলো। তখন আল্লাহ পাক তাদেরকে এ শাস্ত প্রদান করলেন, যাতে তারা একই প্রান্তরে চল্লিশ বছর হতবুদ্ধি হয়ে দিক-বিদিক জ্ঞানশুন্যভাবে বিচরণ করতে থাকে। ঘরে ফেরা তাদের ভাগ্যে আর জোটেনি।

এ প্রান্তর কোন বিশাল ভু-খন্ড ছিল না। ‘তীহ’ প্রান্তর মিশর ও শাম দেশের মধ্যবর্তী দশ মাইল এলাকা বিশিস্ট একটি ভু-ভাগ। বর্ণিত আছে, এরা নিজেদের বাসস্থান মিশরে পৌঁছার জন্য সারাদিন চলার পর রাতে কোন মঞ্জিলে অবস্থান করত, কিন্তু ভোরে উঠে দেখতে পেত-যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সেখানেই রয়ে গেছে। এভাবে চল্লিশ বছর পর্যন্ত এ প্রান্তরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে শ্রান্ত ও ক্লান্তভাবে বিচরণ করছিল।

যাইহোক, তাদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মধ্যে এটাও ছিল যে, কেয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য ইহুদীদের থেকে রাজ্য ছিনিয়ে নেয়া হলো। অবশ্য কেয়ামতের অব্যবহিত পূর্বে, সর্বমোট চল্লিশ দিনের জন্য নিছক লুটেরা দলের ন্যায় অনিয়মিত ও আইন-শৃংখলা বিবর্জিত, ইহুদিদের কিঞ্চিত ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। একে কোন বুদ্ধিমান ও বিবেকবানই রাজ্য বলতে পারবে না। আল্লাহ পাক হযরত মুসা আঃ এর মাধ্যমে পূর্বেই তাদেরকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, যদি নির্দেশ অমান্য কর, তবে চিরকাল তোমরা অন্য জাতির দ্বারা শাসিত হতে থাকবে। যেমন সূরা আরাফে বলা হয়েছে-

“এবং সে সময়টি স্মরণ করুন, যখন আপনার পালনকর্তা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ইহুদিদের উপর কেয়ামত পর্যন্ত এমন শাসক প্রেরণ করতে থাকবেন, যারা তাদের প্রতি কঠিন শাস্তি পৌঁছাতে থাকবে”।

বস্তুতঃ বর্তমান ইসরাঈল রাস্ট্রের মর্যাদা আমারিকা ও ব্রিটেনের গোলাম বৈ আর কিছু নয়।

ইহুদিদের চিরস্থায়ী লাঞ্ছনার অর্থ, বর্তমান ইসরাঈল রাস্ট্রের ফলে উদ্ভূত সন্দেহ ও তার উত্তরঃ
উল্লেখিত আয়াতসমূহে ইহুদিদের শাস্তি, ইহকালে চিরস্থায়ী লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং ইহকাল ও ,পরকালে খোদায়ী গযব ও রোষের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। বিশিস্ট তাফসিরকারকগণ, সাহাবায়ে কেরামগণ, ও তাবেয়িনের বর্ণনানুসারে ওদের স্থায়ী লাঞ্ছনা-গঞ্জনার প্রকৃত অর্থ, কোরআনের প্রখ্যাত ভাষ্যকার ইবনে কাসীরের ভাষায়ঃ “তারা যত ধন-সম্পদের অধিকারীই হোক না কেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে তুচ্ছ ও নগণ্য বলে বিবেচিত হবে। যার সংস্পর্শে আসবে সেই তাদেরকে অপমানিত করবে এবং তাদেরকে দাসত্বের শৃংখলে জড়িয়ে রাখবে”।

বিশিস্ট তফসীরকার ইমাম যাহহাকের ভাষায় এ কাঞ্ছনা-অবমাননার অর্থ ইহুদীরা সর্বদা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অপরের দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ থাকবে”।

এই মর্মে সূরা ‘আলে-ইমরানের’ এক আয়াতে রয়েছেঃ
“আল্লাহ প্রদত্ত ও মানব প্রদত্ত মাধ্যম ব্যতিত, তারা যেখানে যাবে সেখানেই তাদের জন্য লাঞ্ছনা ও অবমাননা পুঞ্জীভূত হয়ে থাকবে”

সারকথা, ইহুদীরা উপরোক্ত দু’অবস্থা ব্যতিত সর্বত্র ও সর্বদাই লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে।
(১) আল্লাহ প্রদত্ত ও অনুমোদিত আশ্রয়ের মাধ্যমে, যার ফলে তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান-সন্ততি, নারী প্রভৃতি এই লাঞ্ছনা ও অবমাননা থেকে অব্যহতি পাবে। কিংবা
(২) শান্তিচুক্তির মাধ্যমে নিজেদেরকে এ অবমাননা থেকে মুক্ত রাখতে পারবে। এ চুক্তি মুসলমানদের সাথেও হতে পারে। কিংবা অন্যান্য অমুসলিম জাতির সাথেও হতে পারে।

এমনিভাবে সূরা ‘আলে-ইমরানের’ আয়াত দ্বারা সূরা-বাক্বারার আয়াতের বিশদ বিশ্লেষণ হয়ে যায়। অধুনা ফিলিস্তিনে ইসরাঈল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার ফলে মুসলমানদের মধ্যে যে সন্দেহের অবতারণা হয়েছে, এ দ্বারা তাও দূরীভূত হয়ে যায়। তা এই যে, কোরআনের আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, ইহুদিদের রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা কখনো সম্ভব হবে না। অথচ বাস্তবে দেখা যায়-ফিলিস্থিনে তাদের রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উত্তর সুস্পস্ট-কেননা, ফিলিস্তিনে ইহুদীদের বর্তমান রাস্ট্রের গুঢ়তত্ত সম্পর্কে যারা সম্যক অবগত, তারা ভালভাবেই জানেন যে, এ রাস্ট্র প্রকৃত প্রস্তাবে ইসরাঈলের নয়, বরং আমেরিকা ও ব্রিটেনের একটি ঘাঁটি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এ রাস্ট্র নিজস্ব শক্তি ও সম্পদের উপর নির্ভর করে একমাসও টিকে থাকতে পারবে কিনা সন্দেহ। পাশ্চাত্যের খ্রিস্টানদের মিলিত শক্তি ইসলামী বিশ্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে মাঝখানে ইসরাঈল নাম দিয়ে একটি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে। এ রাস্ট্র আমেরিকা-ইউরোপীয়দের দৃষ্টিতে একটা অনুগত আজ্ঞাবহ ষরযন্ত্র কেন্দ্র ছাড়া আন্য কোন গুরুত্ব বহন করে না। এ যেন কোরআনের বাণীরই বাস্তব রুপ। পাশ্চাত্য শক্তিবলয়, বিশেষ করে আমেরিকার সাথে নানা ধরনের প্রকাশ্য ও গোপন চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে তাদের পক্ষপুস্ট ও আশ্রিত হয়ে নিছক ক্রীড়নক রুপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। তাও অত্যন্ত লাঞ্ছনা ও অবমাননার ভেতর দিয়ে।

সুতরাং বর্তমান ইসরাঈল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার দরুন কোরআনের কোন আয়াত সম্পর্কে সামান্যতম সন্দেহেরও অবকাশ সৃষ্টি হতে পারে না।

শেষ যুদ্ধঃ
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলো বিশেষ করে ‘ওল্ড টেস্টামেন্ট’ ও ‘নিও টেস্টামেন্টে’ এই অঞ্চল সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণীগুলোতে কী আছে? এ ব্যাপারে ইহূদি, খৃস্টান ও মুসলমানদের আলাদা আলাদা কিন্তু প্রায় সমপর্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এখানে সংঘটিত লড়াইয়ের ব্যাপারে সবাই একমত এবং প্রত্যেকের ধারণা চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদের স্বজাতি বিজয় লাভ করবে। বাইবেল ও ইহূদিদের ধর্মগ্রন্থে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে । এবং ইহূদি পণ্ডিতরা এ বিষয়ে সুদীর্ঘ গবেষণাও করেছেন। হাদিসের কিতাবগুলোতে ইতিহাসের চূড়ান্ত ফয়সালাকারী এই লড়াই নিয়ে বিভিন্ন ভবিষ্যতবাণী বর্ণিত রয়েছে। তো প্রথমে বালাদে শামের ভৌগলিক অবস্থানটি সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

বালাদে শাম:
ভৌগলিক মানচিত্রে শাম বলে কোনো দেশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। আরবি ভাষায় সিরিয়াকে বলা হয় ‘বালাদে শাম’ বা শাম দেশ। অবশ্য হাদিসের কিতাবে যাকে ‘বালাদে শাম’ বলা হয়েছে, আজকের সিরিয়া তার থেকে ভিন্ন। মূলত বর্তমানে ওই শব্দগুচ্ছের মধ্যে পাঁচটি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- সিরিয়া, লেবানন, জর্দান, মিসর ও ফিলিস্তিন।এই অঞ্চল হাজার হাজার নবী-রাসূলের আবাসভূমি। তাই এটার দখল নিজেদের হাতে রাখার প্রাণান্ত চেস্টা সকলেই করে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এই অঞ্চল যাদের করায়ত্তে থকবে তারাই দুনিয়ার আসল শক্তি। ক্রুসেডের মূল কারণ এটাই। যুগে যুগে এই এলাকার দখল নেয়ার জন্য শত-সহস্র প্রাণ গেছে। এর শেষ এখনো দেখা যাচ্ছে না।

শেষ কথাঃ
ইহুদিরা অভিশপ্ত জাতি। মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং তাদের পরিত্যাগ করেছেন। ওরা দূরাচার। ওদের ধ্বংস অবশম্ভাবী। এসব ওরা জানে। ওদের কাছে নীতি-নৈতিকতা বলে কোন শব্দ নেই। বনী ইসরাঈল জাতির জন্য মহান আল্লাহ পাক অসংখ্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকের সাথে তারা বেঈমানী করেছে। যারা নিজেদের নবীদেরকে হত্যা করতে পারে তাদের কাছে মুসলমানদের হত্যা করা বনভোজনের আনন্দের মতই একটা ব্যাপার। এতে বিচলিত বা অনুতাপের বিশেষ কোন কারণ নেই। ওরা জাতিগতভাবে খুবই ভীরু ও কাপুরুষ। ওদের জন্য দরকার তীব্র প্রতিরোধ। আমরা সবাই মুসলিম বিশ্বের ইদানিংকালের অবস্থা দেখে খুবই ব্যথিত। কোরআনের ভাষ্য মতে আল্লাহর একটা দল সব সময় বিজয়ী হিসেবেই থাকবে। এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, শত অত্যাচার করে কেউ কোনদিন টিকে থাকেনি। বরং অসত্যের পতন অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং ইসরাঈলও একদিন ধ্বংস হবে। কেননা শত সহস্র শহীদের পথ থেকে ফিলিস্তীনীরা এক চুল সরে দাঁড়ায়নি। তাদের বিজয় অনিবার্য।
আল্লাহ সকল শহীদদের কবুল করুন। আমিন।

সুত্রঃ
১.মাওলানা মুহিউদ্দীন খান অনূদিত ও সম্পাদিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ) রচিত ‘তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন’
২. অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি লেখা (পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে না পারার জন্য দুঃখিত।)
নোটঃ লেখাটি খুব তাড়াহুড়া করে সাজিয়েছি। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×