somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোলাগা, নাকি ভালোবাসা?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনি একজন মানুষকে দেখলেন(অবশ্যই বিপরীত লিঙ্গের)। তার কানগুলা খাঁড়া-খাঁড়া, নাকটা খোঁচা-খোঁচা, চোখ তিনটা বোঁচা-বোঁচা, এককথায় সেইরকম একটা চেহারা। পরে গেলেন প্রেমে, ধপাস! আবার একজনকে দেখলেন যে সেইরকম গান গায় অথবা সেইরকম অভিনয় করে অথবা সেইরকম লেখে কিম্বা আঁকে। তার প্রতিভায় লুক্কায়িত আবেগ আপনার হৃদয়ে খচখচ করে খোঁচা দিতে থাকলো। পড়ে গেলেন প্রেমে, ধপাস! আবার একজনকে দেখলেন যার সেইরকম টাকাপয়সা। সে সেইরকম বিলাসি জীবনযাপন করে। আপনার তার টাকাপয়সা দেখে ভালো লেগে গেল, পড়লেন প্রেমে। ধপাস! আবার একজনকে দেখলেন যার সেইরকম ক্ষমতা, আপনাকে তুড়ি বাজাতে বাজাতে হিপনোটাইজ করে ফেলতে পারে। আপনিও হিপনোটাজড হয়ে গেলেন প্রেমে। এবার ধধধপাস!

বর্তমান যুগে মানুষ সাধারনত উপরোক্তভাবেই কোনো একজনের প্রেমে পড়ে যায়। সে দিনে-রাতে, চলতে-ফিরতে, জেগে-সপ্নে, খাবার টেবিলে কিম্বা বাথরুমে থাকতে শুধু তাহারই কথা ভাবতে থাকে। শুধুমাত্র তাহাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে থাকে। তাতেই ডুবে যায়। একসময় হয়তো তাহার সাথে পরিচয়ও হয়। ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে। দুজন দুজনার হয়েও যায় একসময়। আবার কোনো একসময় প্রতিদিনকার নিয়ম হয়ে যাওয়া পার্কের বেঞ্চিতে বাদাম ছিলতে ছিলতেই দুজন হুট করে আলাদা হয়ে যায়। ইয়েস, ব্রেকআপ। সবক্ষেত্রে না ঘটলেও বেশীর ভাগক্ষেত্রে শেষমেশ এটাই ঘটে। কারণ তাদের মধ্যে ভালোবাসাইতো ছিলনা, যা ছিল তা হলো ভালোলাগা।

ভালোবাসা আর ভালোলাগা অবশ্যই ভিন্ন জিনিস। ভালোলাগাটা সাময়িক কিন্তু ভালোবাসাটা সার্বক্ষণিক। কারো রুপ, প্রতিভা, টাকা কিংবা অন্য কোনো বাহ্যিক দিক দেখে কখনোই ভালোবাসা হয়না, ওটা হলো ভালোলাগা। ভালোবাসা হলো কারো ভিতরটাকে ভালোবাসা। পছন্দ-অপছন্দটাকে ভালোবাসা, আচার-আচরনকে ভালোবাসা। সে যেরকম আছে তেমনভাবেই তার সাথে মনের সাথে মিলন ঘটাতে পারলে তবেই তা হয় ভালোবাসা। নচেত্ সেটা ভালোলাগাই। একপাক্ষিক কিম্বা কখনো দিপাক্ষিক কিন্তু কখনোই তা পক্ষহীন হয়ে ওঠেনা। দুটা মন মিলে এক মনে পরিণত হয়না। তাই, বাহ্যিক দিক বাদ দিয়ে মনকে ভালোবাসা উচিত্। যাইহোক, সবচেয়ে ভালো হবে এইসব মানব-মানবীর ভালোবাসার ক্যাচাল বাদ দিয়ে প্রকৃতিকে ভালোবাসা, মানুষকে ভালোবাসা, মানবতাকে ভালোবাসা। এবং অবশ্যই খাওয়া-দাওয়াকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×