somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

মুভি রিভিউ—“Crucible/ Silenced 2011 (Korean Title: Do-ga-ni)”.... South Korean যে মুভি এক গুরুতর এবং একই সাথে ঘৃণিত সামাজিক অপরাধ Child Abuse এর সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত... সাথে ডাউনলোড লিঙ্কও থাকছে :|:|:|:|:|:|

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলা সাহিত্যের একটি অনেক বিখ্যাত উক্তি দিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করব... ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল থেকে গৃহীত সেই উক্তিটি হচ্ছে “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”... কথাটা কিন্তু অনেক সাধারণ কিন্তু অসাধারণ কিছু অর্থ বহন করে... তাই নয় কি?? একটি সন্তান বা শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন তাকে মানুষের মত মানুষ বানাতে তার বাবা মা বাদেও পারিপার্শ্বিক সমাজের দায়বদ্ধতা নামের একটি element লাগে... কিন্তু এই ভবিষ্যৎ সমাজের উত্তরসূরিদের কি আমরা নিরাপত্তা নামের element টা দিতে পারছি??? শুধু পশ্চিমা বিশ্ব, আফ্রিকা বা প্রাচ্য নয়, আমাদের সমাজেও কি এই বাচ্চাগুলো নিরাপদ?? এর উত্তর... “নিরাপদ নয়”। Child abuse এক গুপ্ত সামাজিক অপরাধ যা আর দশটি গুরুতর অপরাধের মত অহরহ ঘটছে...... কিন্তু পক্ষান্তরে এর আইনি শাস্তি দেশ থেকে দেশান্তরে অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের... একটি সন্তান কি তার মা বাবা বাদেও সমাজের সম্পদ নয়?? আমরা কি পারিনা সবাই মিলে তাদের assurance দিতে “তুমি নিরাপদ” এই সমাজে ??? উত্তরটা কিন্তু ultimately কারও জানা নেই......... আজকের মুভি review টা এরকমই একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে...South Korea তে “Dogani Bill” নামের এক বিলও শেষ পর্যন্ত পাস হয়েছে ২০১১ সালে এই সত্যি ঘটনার প্রতিবাদে। /:)


Crucible/ Silenced 2011 (Korean Title: Do-ga-ni)

IMDB rating: 7.9/10
Genre: Drama/Crime
Cast: Yoo Gong, Yu-mi Jeong, Hyeon-soo Kim
You tube link: https://www.youtube.com/watch?v=pfHsRI-0LK0





“Silence is only frightening to people who are compulsively verbalizing.”
কখনও কখনও নিস্তব্ধতার মাঝেও অনেক গভীর সত্য লুকিয়ে থাকে... Kang In-ho একটি নতুন চাকরি পায় art teacher হিসেবে... একটি বোবাদের স্কুলে। চাকরিটি তার জন্য খুব প্রয়োজনীয় কারণ তার ছোট্ট মা- হারা একমাত্র মেয়ে অসুস্থ... স্ত্রীর আত্মহত্যার পর তাদের একমাত্র মেয়েকে দেখাশোনার ভার চলে যায় তার মায়ের উপর।সিনেমাটি কিছুটা parallel sequence এ শুরু হয়... একদিকে Kan In-Ho তার মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে এবং গাড়ি চালাতে চালাতে Mu-jin এর পথে যায়... অপরদিকে দেখা যায় একটি ৩-৪ বছর বয়সী বাচ্চা ছেলে রেল লাইনের উপর দিয়ে বেখেয়ালে হাঁটছে ... এভাবে চলতে চলতে Kang In-Ho এর গাড়ির accident হয়, গাড়ি থেকে বের হয়ে সে দেখে এক নিরীহ হরিণ প্রজাতি ভুক্ত প্রাণী তার গাড়ির সাথে ধাক্কায় নিহত হয়েছে... অপরদিকে দেখা যায় সমসাময়িক সময়ে বাচ্চাটিও আগত রেল গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়...নিয়তির যেন এক অব্যক্ত পরিহাস দুই নিরীহ প্রাণের প্রতি!!! Accident হওয়ার ফলে In-Ho র গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়... সে স্থানীয় এক গ্যারেজে গাড়িটি নিয়ে যায়... সেখানে তার সাথে সাক্ষাত হয় এক পাগলাটে ধরনের কিন্তু friendly স্বভাবের Seo Yoo-jin এর সাথে। Seo Yoo-Jin এর সহায়তায় সে তার নতুন কর্মক্ষেত্রে আসে। তার নতুন কর্মক্ষেত্রে এসে সে তার নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপে তৎপর হয় কিন্তু সে খেয়াল করে তার ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা ভয় পাচ্ছে তাকে... দূরে দূরে থাকতে চাইছে। এভাবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পরে সে সারমর্মে এসে পৌছায় স্কুল এর পরিবেশ মোটেও স্বাভাবিক নয়... মানবরূপী কিছু হায়েনার আস্তানা বোবাদের সেই স্কুল। Headmaster থেকে শুরু করে faculty member পর্যন্ত সবাই সেখানে একই ক্রাইম এর অংশীদার... ছোট্ট বাচ্চাদের abuse এর শিকারে পরিণত করা, physically এবং sexually নির্যাতন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। তার সাথে এই ঘৃণিত অপরাধ প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে child abuse এর শিকার তিন ছাত্রছাত্রী Yeon-doo, Yoo-ri, Min-soo এবং মানবাধিকার সেই কর্মী Seo Yoo-jin. Kan In-Ho কি পারে বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে ?? ধরা পড়ে কি মানুষরূপী হায়েনাগুলো?? ছোট ছেলেমেয়ে গুলো কি ন্যায় বিচার পায়?? সিনেমাটির সব থেকে pathetic দিক হলো, সিনেমাটি ২০০০ সালের শুরুর দিকে এক hearing impaired দের school এর কিছু বাচ্চাদের সাথে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা... যার ঘটনা অবলম্বনে Gong Ji-young “Dogani” নামে একটি বই প্রকাশ করেছিল.....যার celluloid representation এই মুভি। Gwangju Inhwa School এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই মুভি দেখে শুধু এটুকুই মনে হয়েছে... Crime and Punishment এর ক্ষেত্রে “Birds of a feather flock together” কথাটা অনেক বেশি মানায়....বিচারের নামে পৃথিবীতে শুধু প্রহসন হয়... আর কিছু না.... /:)/:)/:)/:)/:)/:)/:)/:)





এই সেই Gwangju Inhwa School…… X((X((X((X((X((X((




Gwangju Inhwa School এর সেই ঘটনার কিছু newspaper link:

Click This Link
Click This Link
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×