somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

Grave of the Fireflies (1988)--- জাপানিজ যে animation মুভিটি “the greatest film ever” হিসেবে animation জগতে ধ্রুবতারা হয়ে থাকবে :( :( :( :( :( :( :( :(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"Sometimes even to live is an act of courage."

কিছু কিছু সিনেমা রয়েছে যা দেখার পর আমাদের স্মৃতিতে ১-২ দিন থাকে, কিছু কিছু সিনেমা দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ctrl+shift+delete এর ব্যবস্থা গ্রহণ করি... আবার কিছু কিছু সিনেমা রয়েছে... যেগুলো মর্মভেদী হয়, অর্থাৎ তাদের impact তাদের ভুলতে দেয় না... আমার কাছে Grave of the Fireflies ঠিক তেমন একটা সিনেমা...একসময় animation খুব প্রিয় একটা জিনিস ছিল, এখন কিছু কিছু renowned animation ছাড়া আর animation দেখা হয়ে উঠে না...আমার ধারণা ছিল animation এমন একটা মাধ্যম যা কোন serious থেকে serious issue কেও তার দর্শকের কাছে lightly, softly moreover fun realistic way তে represent করে...fun, entertainment, reality in a different way র মাধ্যম ছিল animation… কিন্তু Grave of the Fireflies এমন একটা মুভি... যেটা প্রথাগত animation এর বৈশিষ্ট্য পাল্টে দিয়েছে...Reality in a grief animated way... এই মুভিটা দেখার পর প্রায় ১ সপ্তাহ কোন মুভি দেখার মত মনের অবস্থা ছিল না...এত কষ্ট পেয়েছিলাম literally…. তরুণ Seita আর বাচ্চা Setsuko, মনের কোন অংশে যেন গভীরভাবে নাড়া দেয় ... আজ সেই Grave of the Fireflies নিয়ে লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। /:)

কোথাও না কোথাও জাপানী সেই মেয়ে Setsuko র সাথে ছিন্নমুকুলের সেই বাচ্চা মেয়েটির মিল খুঁজে পেয়েছিলাম... তাই সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘ছিন্নমুকুল’ কবিতাটি দিয়ে আজকের মুভি রিভিউ শুরু করব---


সবচেয়ে যে ছোট পিড়ি খানি
সেখানি আর কেউ রাখেনা পেতে,
ছোটথালায় হয় নাকো ভাতবাড়া
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে।
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট
খাবার বেলা কেউ ডাকে না তাকে।
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল,
তারই খাওয়া ঘুচেছে সব আগে।

সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি,
খুশি ছিল ঘেষাঘেষির ঘরে,
সেই গেছে হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে,
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে।
ছেড়ে গেছে পুতুল, পুঁতির মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি।
ভয়ভরা সে ছিল যে সব চেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি।

হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে ওরে!
হারিয়ে গেছে 'বোল' বলা সেই বাঁশি
দুধে ধোওয়া কচি সে মুখখানি
আঁচল খুলে হঠাৎ স্রোতের জলে
ভেসে গেছে শিউলী ফুলের রাশি,
ঢুকেছে হায় শশ্মান ঘরের মাঝে
ঘর ছেড়ে হায় হৃদয় শশ্মানবাসী।

সবচেয়ে যে ছোট কাপড়গুলি
সেইগুলি কেউ দেয় না মেলে ছাদে,
যে শয্যাটি সবার চেয়ে ছোট,
আজকে সেটি শূন্য পড়ে কাঁদে।
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
সেই গিয়েছে সবার আগে সরে।
ছোট্ট যে জন ছিল রে সবচেয়ে,
সেই দিয়েছে সকল শূন্য করে।





সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের...আমেরিকার জাপানের উপর বিধ্বংসী আঘাত হানার ফলে জাপানের সাধারণ মানুষের জীবনের দুঃসময়ের এক চরম বাস্তব চিত্র এই "Grave of the Fireflies"...Seita এবং Setsuko জাপানের Kobe শহরের হাজারো দুর্ভাগা বাসিন্দাদের অন্যতম। Seita আর Setsuko র অভিভাবক বলতে থাকে তাদের মা... তাদের বাবা নৌবহরে কর্মরত। তাদের শহরে একদিন মার্কিন বিমানবহরের incendiary bombing শুরু হলে তারা নিজেদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে bomb shelter এর পথে যাত্রা করে। তারা safe থাকে কোনভাবে কিন্তু তাদের মা bombing এর ফলে মারাত্মকভাবে আহত হয়...তাঁর সমস্ত শরীর ঝলসে যায় এবং কিছু সময় যাওয়ার পর সে মারা যায়। তরুণ Seita র ছোট্ট বোন Setsuko তার একমাত্র আপনজন হিসেবে থাকে...এবং তারা আশ্রয় নেয় তাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসাতে...কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর আত্মীয় মহিলাটি তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে... একে একে Seita র মায়ের রেখে যাওয়া শেষ সম্বল খাদ্য, তার দামি কাপড় সব তাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়....Seita তার বাবাকে চিঠি লেখে কিন্তু সেগুলো নিরুত্তর হয়েই রয়ে যায়। এরপর শুরু হয় তাদের জীবনের কঠিন এক অধ্যায়....Survival. বাঁচার তাগিদে মানুষ কি না করে....আর মানুষের অত্যন্ত দূর্যোগে মানুষ কিভাবে অন্য মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয় এবং মানবিকতা হেরে যায় স্বার্থপরতার কাছে !! Seita আর ছোট্ট Setsuko র করুণ পরিণতি এবং তাদের অসহায়ত্ব যে কাউকেই emotional করে দিবে….. Animation এই মুভিটা Akiyuki Nosaka-র ১৯৬৭ সালের একটি semi-autobiographical উপন্যাস “Grave of the Fireflies” অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল... এটি Akiyuki Nosaka র জীবনের কিছু দুর্বিষহ স্মৃতির একটি অংশ মাত্র... ১৯৪৫ সালে Kobe শহরের উপর মার্কিন হামলার ফলে তার বাবা এবং দুই বোন মারা গিয়েছিল... তার ছোট বোন Keiko র স্মরণে সে Grave of the fireflies লিখেছিল..!!! মুভিটা 1988 সালের animation মুভি হলেও প্রত্যেকটা character চরম পরিমাণে প্রাণবন্ত specially Seita এবং Setsuko… Mesmerize একটা আবহ তৈরী করে রাখে....dialog গুলো অন্তর্ভেদী এর...."Why must fireflies die so young?".... A phenomenal movie with a lot of grief... :((:((

"Grave of the Fireflies 1988 (Original Title: Hotaru no haka)”


IMDB rating: 8.5/10
Genre: War/ Drama/Animation
Country of Origin: Japan






সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৩
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×