somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৪—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“Cinema is a matter of what’s in the frame and what’s out.”

সিনেমা...রূপালী জগতের সোনালী মোড়কে জড়ানো কল্পনা। সহজাত প্রবৃত্তি বা বৈশিষ্ট্য অনুসারে, মানুষ কল্পনা করতে ভালবাসে। ছোটবেলাতে আমরা রূপকথার বই যখন পড়তাম, পড়ার সাথে সাথে সেটার চিত্রায়নও কিন্তু মনে মনে করে ফেলতাম...সিন্ডারেলা আকর্ষণীয় সুন্দরী হতে পারে কিন্তু সে অত্যাচারিত, রাজার বাড়িতে যাওয়ার দিন পরীমা তার আসল চেহারার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়, যে সে অতুলনীয় সুন্দরী। জ্যাক অ্যান্ড দ্য বিন গল্পের বিন গাছ হয়ত সত্যি আকাশ ফুঁড়ে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম...এবং মেঘের উপরে থাকা হাঁস ২৪ ক্যারেটের বিশুদ্ধ সোনার ডিম দেয় (সেই ডিম না জানি কি হবে)। ছোটবেলাতে এগুলোর যখন ভিজুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন সিনেমা বা কার্টুনের মাধ্যমে দেখতাম তখন ভাবতাম ‘হ্যা, হ্যা, আমার কল্পনা তো এর ধারে কাছেই ছিল’ !!! পর্বটি শুরু করেছিলাম, অভিনেতাদের নিয়ে, তারপরে এক পর্বে অভিনেত্রীরা এসেছিল, পর্যায়ক্রমে আবারও অভিনেতা...এবারের পর্ব পুনরায় অভিনেত্রীদের নিয়ে থাকছে। প্রথম পর্বে ছিল, জেমস স্টুয়ার্টের Vertigo, জ্যাক নিকোলসনের The Shining, শ্যেন কনেরির Entrapment,টম হ্যাঙ্কসের Cast Away এবং ব্রাড পিটের The Curious case of Benjamin Button. দ্বিতীয় পর্বটি পাঁচজন অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছিলাম, অড্রে হেপবার্নের My Fair Lady, মেরিল স্ট্রিপের Sophie’s Choice, জোডি ফস্টারের The Silence of the Lambs, হিলারি সোয়াঙ্কের Million Dollar Baby এবং ক্যামেরন ডায়াজের My Sister’s Keeper. অভিনেতা কেন্দ্রিক তৃতীয় পর্বে, গ্রেগরী পেকের Roman Holiday, ড্যানিয়েল ডে লুইসের My Left Foot , জেফ ব্রিজেসের Arlington Road, শ্যেন পেনের I am Sam এবং রাসেল ক্রোর A Beautiful Mind নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আজকে সেই ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার সিরিজের চতুর্থ পর্বে আবারও পছন্দের পাঁচজন অভিনেত্রীর ভিন্নধারার, ভিন্ন ঘরানার সিনেমালোচনা থাকছে। প্রথম জন, সোফিয়া লরেন...Two Women >> দ্বিতীয় জন, ফে ড্যানাওয়ে... Chinatown >> তৃতীয় জন, জুলিয়া রবার্টস... Stepmom >> চতুর্থ জন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি...The Bone Collector >> এবং পঞ্চম জন, জেনিফার কনেলি... Dark Water.

প্রথম মুভি :

“The most identifying trait of humanity is our ability to be inhumane to one another.”




রোমে বসবাসরত সেসিরা একজন বিধবা মুদিদোকানী। রোজকার মত একদিন দোকান খুলে সে। কিছুক্ষণ পর জার্মান সৈন্যদের ফেলা বোমে আশেপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেসিরার একমাত্র মেয়ে রোসেট্টা কিছুটা দুর্বল চিত্তের হওয়ায় বোমের শব্দে ভয় পেয়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে সবসময় যেন তাড়িয়ে বেড়ায়। সবকিছু দেখে সেসিরা সিদ্ধান্ত নেয় সে রোম ছেড়ে কিছুদিনের জন্য নিজের জন্মস্থান মধ্য ইটালির পর্বতঘেরা এলাকা সিওসিয়ারাতে চলে যাবে, যতদিন না যুদ্ধবিরতির কোন ঘোষণা আসে। নিজের চিন্তার তুলনায় তার মাথায় অনেক বেশি প্রাণপ্রিয় রোসেট্টার চিন্তা কাজ করে, কিভাবে মেয়ের একটি নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করবে সে। এসব ভেবে, সে তার স্বামীর বন্ধু জিওভান্নির কাছে যায় সাহায্যের আশায়, যেন সে তাদের সিওসিয়ারাতে যেতে সাহায্য করে। জিওভান্নি সময় এবং সেসিরার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পাঠানোর সব ব্যবস্থা করে ফেলে। এরপর মা- মেয়ে রওয়ানা হয় নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পথমধ্যে ট্রেন খারাপ হয়ে গেলে, মাইলের পর মাইল হেঁটেই তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। সেখানে তার কোন আত্মীয় স্বজনের দেখা পায়না সে, স্থানীয়দের কাছে জানতে পারে তাদের কেউ কেউ মারা গেছে, আবার কেউ চলে গেছে যুদ্ধের প্রাক্কালে এই জায়গা ছেড়ে। নতুন আত্মীয়-স্বজন হিসেবে এগিয়ে আসে তারই মত কিছু উদ্বাস্তু এবং বর্বর পরিবেশের শোষণধর্মী মানুষের একেবারেই বিপরীত স্বভাববিশিষ্ট মিখেইল। জীবন-মরণের এক নতুন খেলায় অবতীর্ণ হয় তারা। সেসিরা আর রোসেট্টার পরিণতি কি হয় শেষ পর্যন্ত? যুদ্ধ তাদের জীবনে কোন বিভীষিকা ডেকে আনে? সিনেমাটি আলবার্তো মোরাভিয়ার ‘লা সিওসিয়ারা’ নামের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি ফিকশনাল, কিন্তু এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইটালির বাস্তব একটি ঘটনা ব্যক্ত করে, যাকে ইটালিয়ানরা তাদের ভাষাতে ‘মরোক্কিনেট’ বলে থাকে। ইটালিয়ানদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাসম অধ্যায় এই ‘মরোক্কিনেট’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন সময়ে ইটালির মন্টে ক্যাসিন্নোর যুদ্ধে বলি হয় হাজার হাজার ইটালিয়ান নারী। মরোক্কান গৌমিয়ার্স, আলফোন্সে জুইনের তত্ত্বাবধানে কর্মরত ফ্রেঞ্চ এক্সপিডিশনারি কর্পস (এফইসি) এর সৈন্যরা ক্যাসিন্নো ১৮মে, ১৯৪৪ সালে দখল করে নেয় এবং পরের রাত থেকে সিওসিয়ারার পাহাড়বেষ্টিত গ্রাম এবং মফস্বলের এলাকাগুলোতে ১১ থেকে ৮৬ বছর বয়সী প্রায় ৬০০০০ নারীকে গণধর্ষণের শিকারে পরিণত করে। যেসব পুরুষেরা নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে প্রতিরোধ করতে গিয়েছিল, বর্বরতার বলি হয়েছিল তারাও। ধারণা করা হয়ে থাকে এই ঘটনায় প্রায় ৮০০ পুরুষকে হত্যা করেছিল মরোক্কান গৌমিয়ার্স, আলফোন্সে জুইনের তত্ত্বাবধানে কর্মরত ফ্রেঞ্চ এক্সপিডিশনারি কর্পস (এফইসি) এর সৈন্যরা। সেই ভয়াবহ ঘটনার কালের সাক্ষী হিসেবে সেখানে ‘মাম্মা সিওসিয়ারা’ নামের একটি স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটি কেমন ধরণের, এটা শব্দে ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। কিছু কিছু সিনেমা দেখলে সেটা চলচ্চিত্র কম, রূঢ় বাস্তবতা বেশি মনে হয়। এটাও ঠিক তেমন। যুদ্ধের ফলে জনজীবনের বিপর্যয়ের চিত্র ব্যতিরেকে এটা একটা চাপা কষ্টও অনুভব করানোর ক্ষমতা রাখে। এবং যা আরও বেশি নজর কাড়বে সে স্বয়ং সেসিরা মানে সোফিয়া লরেন...যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১২ বছর বয়সী মেয়ের অভিভাবকত্ব, তার নিরাপত্তা, সব কিছুর উপরে নিজের বহুমূল্য সন্তানটিকে যে কোন পরিস্থিতিতে রক্ষার যে আপ্রাণ প্রচেষ্টার লড়াই...মনকে অনেক বেশি নাড়া দেয় সেই ঘটনাগুলো। অবর্ণনীয় তার অভিনয়শৈলী। ছোট্ট রোসেট্টাও হতবাক করে দিবে। বিখ্যাত পরিচালক ভিট্টোরিও ডে সিকার এই সিনেমার অনন্য এবং একই সাথে অতুলনীয়। এই সিনেমার একটি রেকর্ড রয়েছে অস্কারে, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ইতিহাসে এটিই প্রথম নন-ইংলিশ সিনেমা যা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ক্যাটেগরিতে পুরষ্কার জিতে নিয়েছিল। একা লরেনই এই সিনেমার জন্য সব মিলিয়ে ২২ টি পুরষ্কারে জিতেছিলেন। সোফিয়া লরেনকে যারা শুধু গ্ল্যামারাস নায়িকা হিসেবে জানেন, তাদের ধারণা কিছুটা পরিবর্তন করার জন্য এই সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রইল। অসাধারণ সিনেমাটি অনেকদিন মনে রাখার মত একটা অনুভূতি দিবেই দিবে। A great film which portrays the heart wrenching story of mother and daughter and inhumanity.



Two Women (1960) { Original Title: La Ciociara }

IMDB rating: 7.9/10
Genre: War/Drama
Cast: Sophia Loren, Eleonora Brown, Jean-Paul Belmondo, Raf Vallone
Country of Origin: Italy




এই সেই মরোক্কান গৌমিয়ার্স



'মাম্মা সিওসিয়ারা' র সেই স্মৃতিস্তম্ভ



দ্বিতীয় মুভি :

“At the end of every light, is a tunnel of darkness.”



প্রাইভেট ডিটেকটিভ জে. জে. গিট্টিসের অফিসে একদিন সকালে ইভিলিন মালরে নামের একজন মহিলা আসে তার স্বামী হলিস আই মালরের উপর গোয়েন্দাগিরির প্রস্তাব নিয়ে, যে লস আঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। ইভিলিন সন্দেহ করে তার স্বামীর অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে, সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য সে গিট্টিসকে কেসটির দায়িত্ব দিয়ে যায় এবং গিট্টিসও অর্থের খাতিরে রাজি হয়। পরের দিন থেকে গিট্টিস তার কাজে নেমে পড়ে এবং লোকটির উপর নজরদারি শুরু করে। একটি মেয়ের সাথে তাকে দেখে ফেলে সে এবং তাদের ছবি গোপনভাবে তুলে নিয়ে পরেরদিনের পেপারে ছাপিয়ে দেয়। এদিকে গিট্টিস লক্ষ্য করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এলাকায় নতুন একটি বাঁধ তৈরি সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার বাধা দেয় তার হর্তাকর্তা ব্যাক্তিদের। অফিসে ফিরে আসার পর সে আরও একজন সুন্দরী নারীর সাক্ষাত পায়, সে বলে আসল ইভিলিন সেই এবং তাদের আগে কখনও দেখা হয়নি। আজকে খবরের কাগজে যে খবর প্রকাশ করার জন্য সাহায্য করেছে গিট্টিস, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে চলে যায় সে। হতভম্ব গিট্টিস নেমে পড়ে, নিজেকে বাঁচাতে। সে বুঝতে পারে তাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ বা কারা কোন ধরণের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এই ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার কারণগুলো অনুসন্ধানে নেমে পড়ে সে দেরী না করেই এবং বুঝতে পারে, যার কাজই হোক না কেন এগুলো, তার আসল উদ্দেশ্য গিট্টিস বা অন্য কিছু নয় বরং মি. মালরে। মি. মালরের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে যাওয়ার আগেই লেফটেন্যান্ট লু এস্কোবার তাকে একটি মৃদু পানির রিসার্ভারে মৃত অবস্থায় পায়। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি আত্মহত্যা লাগলেও, গিট্টিস বুঝতে পারে কোনভাবেই এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত খুন। খুনের তদন্তে নেমে গিট্টিসের নজরে আসে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়- প্রত্যেক রাতে রিসার্ভার থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি নির্গমনের ব্যবস্থা করে দিলেও তাদের এলাকাটি কোন একটা রহস্যময় কারণে শুষ্কই থাকে। প্রত্যেক ঘটনা কি একই সূত্রে গাঁথা? মালরে খুন হয় কেন? রহস্যময় মহিলাটিরই বা রহস্য কি? এই সিনেমার ব্যাপারে শুধু একটা কথায় বলবো, আমার কাছে অন্যতম সেরা টুইস্টেড মিস্ট্রি সিনেমা এটা। প্রত্যেক মুহূর্তে মনে হয়, হায় হায় কোনদিকে যাচ্ছে কাহিনী, এই তো ধরতে পারলাম বোধ হয়, গ্যারান্টি দিলাম শেষ ৫ মিনিট আগে ছাড়া এই সিনেমা বোঝা সম্ভব না। নয়্যের এবং নিও-নয়্যের গোত্রের মুভির একটা আলাদা বৈশিষ্ট্যই আছে---ত্যানা প্যাঁচানো এবং শেষ হওয়ার পরে মনে হবে ‘আরও কিছু গল্প হয়ত সামনে আসতে চলেছে কোন সিক্যুয়েলে’। বিখ্যাত পরিচালক রোমান পোলানস্কির এটা একটা মাস্টারপিস বললেও খুব একটা ভুল হবে না। জে. জে. গিট্টিস চরিত্রে রয়েছে জ্যাক নিকোলসন...এই মানুষটা সব পারে আগেও বলেছি- কি পাগল, কি ডিটেকটিভ, কি ভূতধরা মানুষ, কি ভিলেন---ভার্সেটাইল একজন অভিনেতা। নাকভাঙ্গা ডিটেকটিভের ভূমিকায় এই সিনেমার মূল আকর্ষণ সেই এবং সাথে আছে রহস্যমণ্ডিত সুন্দরী ইভিলিন মালরে চরিত্রে ফে ড্যানাওয়ে। সিনেমাটি বাস্তব ঘটনা, ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াটার ওয়ার্সের অনুপ্রেরণায় তৈরি করেছিলেন পোলানস্কি। ২০ শতকের শুরুর দিকে, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া পানি বণ্টন সংক্রান্ত কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল যার ফলে ওয়েনস ভ্যালির পানি বণ্টনের অধিকার পায় লস আঞ্জেলেস। বাস্তব এই ঘটনার সাথে সাইকোলজিক্যাল মিস্ট্রির মসলা মিশিয়ে চায়নাটাউন নামের সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পোলানস্কি। রোমান পোলানস্কির এটাই শেষ আমেরিকান সিনেমা ছিল...এর পরে তিনি পোল্যান্ড চলে গিয়েছিলেন। A brilliant movie with a lot of spiral mystery.



Chinatown (1974)

IMDB rating: 8.3/10
Genre: Crime/Mystery/Neo-Noir
Cast: Jack Nicholson, Faye Dunaway, John Huston
Country of Origin: USA




তৃতীয় মুভি :

“When you are a mother, you are never really alone in your thoughts. A mother always has to think twice, once for herself and once for her child.”



লিউক এবং জ্যাকি হ্যারিসন নিউইয়র্কের আর দশটা ডিভোর্সড কাপলদের মতই। লিউক হ্যারিসন তার দুই সন্তান অ্যানা ও বেন এবং তার গার্লফ্রেন্ড ইসাবেলকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে। ইসাবেলকে নতুন মায়ের দায়িত্বে বসায় সে এবং সেও তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করে। কিন্তু বাধ সাধে লিউকের সন্তান অ্যানা। কোনভাবেই সে ইসাবেলকে পছন্দ করে না, বেন ছোট হওয়ায় সে কোন উচ্চবাচ্চ্য না করলেও। প্রতিদিন সকালে উঠার পর সে তাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে করতেই অ্যানা এবং বেনের মা জ্যাকি দায়িত্ববানের মত তাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসে হাজিরা দেয়। অ্যানা ইসাবেলের সামনেই তার নামে অভিযোগ করে জ্যাকির কাছে। ইসাবেল চুপচাপ থাকে এবং জ্যাকি সন্তানদের নিয়ে চলে যায়। ইসাবেল তার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও তাদের সামনে ভালো হতে পারে না। পেশায় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার এবং স্বভাবে কিছুটা পাগলাটে ইসাবেলের কাছে আবার বাধ্য হয়ে জ্যাকি নিজের ছেলেমেয়েকে রেখে যায় কোন এক দায়বদ্ধতার দরুণ। ইসাবেলকে জ্যাকি খুব একটা ভালো দৃষ্টিতে না দেখলেও, গোপনীয় এক কারণে তার উপর বিশ্বাস করে নিজের ছেলেমেয়ের খেয়াল রাখার তাগিদে। এভাবে চলতে চলতে একদিন জ্যাকির জীবনের কালোমেঘ আরও পুঞ্জিভূত হয়। কি হয় জ্যাকির? কেন সে ইসাবেলের উপরেই এত দায়বদ্ধ? অ্যানা এবং বেন কি পারে ইসাবেলকে আপন করে নিতে? অনেক সাধারণ একটা সিনেমা, কিন্তু সাবলীল এর উপস্থাপন ভঙ্গি। কেমন যেন একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া ভাব আছে সিনেমার গল্পে, চরিত্রগুলোর মধ্যে। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা নিখাদ হয়, কিন্তু সেই মা যখন নিজের সম্পদগুলোকে আরেকজনের হাতে কোন এক অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে তুলে দিতে বাধ্য হয়, তখন ব্যাপারগুলো কেমন দাঁড়ায়...এই সিনেমা তারই বহিঃপ্রকাশ। ইসাবেল চরিত্রে আছে জুলিয়া রবার্টস...নব্বইয়ের দশকের অসাধারণ একজন অভিনেত্রী। সরল সাদামাটা ভাব দিয়ে সে অনায়সেই মন জয় করে নেয়। জ্যাকি চরিত্রে আছে সুজান স্যারান্ডন, যার আবেগগুলো আরেকটি মুখ্য দিক এই সিনেমার। সিনেমাতে দুই ভিন্ন সত্ত্বার, ভিন্ন মায়ের গল্প আছে...কিন্তু তাদের মধ্যে কমন বিষয় একটা- সন্তানের প্রতি আবেগ। সৎ মা বলতে আমরা মেজাজি, রূঢ় চরিত্রের নারীকুলের চিত্র সহজেই আঁকতে পারি...কিন্তু স্টেপমমের এই সৎ মা, নিজের অবস্থান আলাদা বানায় এবং যা অনবদ্য। এর আদলে বলিউড ‘We are Family’ তৈরি করেছিল...বলা বাহুল্য দেখার ইচ্ছা হয়নি কেন জানি !! A beautiful movie about two different moms.



Stepmom (1998)

IMDB rating: 6.6/10
Genre: Comedy/Drama
Cast: Julia Roberts, Susan Sarandon, Ed Harris
Country of origin: USA




চতুর্থ মুভি :

“The possession of knowledge does not kill the sense of wonder and mystery. There is always more mystery.”



সাল ১৯৯৯, রাতের ফ্লাইটে ফেরার পর এক দম্পতি একটি ট্যাক্সি ক্যাবের যাত্রী হয়। তারা ট্যাক্সি ড্রাইভারকে তাদের গন্তব্যের কথা জানিয়ে দিয়ে ক্লান্ত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। তন্মধ্যে তাদের মধ্যে একজনের ঘুম ভেঙ্গে গেলে কিছু সময় যাওয়ার পর দেখে, ট্যাক্সি ড্রাইভারটি তাদেরকে তাদের বলা ঠিকানাতে না নিয়ে গিয়ে অন্য কোন সুনসান রাস্তায় নিয়ে চলে এসেছে। কিছু বলতে গেলে দেখে ড্রাইভারের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই তাতে এবং গাড়ির দরজাও সে লক করে দিয়েছে। এরপর পরিত্যক্ত একটি জায়গায় থামিয়ে দেয় সে গাড়িটিকে। ক্রিমিনালিস্ট লিঙ্কন রাইম এক দুর্ঘটনায় কোয়াড্রোপেলাজিক হয়ে পড়ে, ডান হাতের কয়েকটি নখ এবং মাথা ছাড়া সমস্ত শরীর অসাড় হয়ে যায় তার। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, সূক্ষ্ম মস্তিস্ক এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একটি বাচ্চা ছেলে পরেরদিন পরিত্যক্ত স্টেশনের পাশের জায়গায় একটি মানুষের হাত খুঁজে পেলে পুলিশে খবর দেয়। আশেপাশের জায়গায় টহলরত পেট্রোল অফিসার অ্যামেলিয়া স্যাকস আসে জায়গাটিতে এবং নমুনাগুলো সংগ্রহ করে খুব সূক্ষ্মভাবে। সে দেখে হাতটির একটি নখের একটি হাড় অর্ধেক কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে একটি ম্যারেজ রিং পরিয়ে রেখে গেছে খুনি। কেসটির তদন্তের দায়ভার পড়ে ক্রিমিনালিস্ট লিঙ্কন রাইমের কাঁধে এবং সে নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখে খুনি একটি সুনির্দিষ্ট পথ রেখে দিয়ে গেছে তার পরবর্তী কাজের। আবারও ডাক পড়ে আমেলিয়া স্যাকসের...এবার আর পেট্রোল অফিসার হিসেবে নয় বরং ফরেন্সিকের কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে। প্রতিভাবান একজন উঠতি ডিটেকটিভ এবং কোয়াড্রোপেলাজিক একজন ক্রিমিনালিস্টের সমন্বয়ে শুরু হয় ইঁদুর বিড়ালের সেই চিরাচরিত খেলা...চেজিং ওয়ান অ্যানাদার। ভয়াবহ ঠাণ্ডা মাথার খুনিটি অভিনব পদ্ধতিতে খুন করতেই থাকে এবং পরবর্তী খুনের ব্যাপারেও সচেতন করে দিয়ে যায় সে সেখানেই, রেখে যায় কিছু ক্লু। কি উদ্দেশ্য তার? সে কি ধরা পড়ে? আমেলিয়া এবং রাইমের যৌথ উদ্যোগে কেসটি কোন পর্যায়ে যায়? বিখ্যাত ক্রাইম থ্রিলার নভেলিস্ট জেফ্রি ডিভারের ‘দ্য বোন কালেক্টর’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। জেফ্রি ডিভারের বইটা আরও বেশি লোমহর্ষক, সিনেমা যতটা না। অনেক তাড়াতাড়ি এগোয় হয়ত সেজন্য এর লোমহর্ষক ভাব হ্রাস পেয়েছে! কিন্তু লিঙ্কন রাইম মিস্ট্রির সেই চরম ট্রিটটার কমতি নেই কোথাও। লিঙ্কন রাইম চরিত্রে অভিনয় করেছে ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন এবং আমেলিয়া স্যাকস চরিত্রে আঞ্জেলিনা জোলি। লিঙ্কন রাইম একজন উচ্চ মানের জিনিয়াস ক্রিমিনালিস্ট...তার তুলনা সে নিজেই। মানুষ ক্রাইম সিনে গিয়ে যা খুঁজে পায় না, রাইম ঘাড় উঠিয়ে ধুলো, মাটি, ট্রেস এভিডেন্স দেখে সেইসব অনায়সেই বলার ক্ষমতা রাখে। ফরেনসিকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জিনিসপত্রের ক্যারিশমা দেখতে চাইলে এর বিকল্প নাই। জোলির সেই অ্যাকশনধর্মী লুকটা আবারও দেখা যাবে, যেটা তার একটা আইকনিক পরিচয়ই বলা যায়। ফিলিপ নয়েসের পরিচালনায় চরম টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই সিনেমা সময় নষ্ট করবে না আর কিছু হলেও। A good movie about an intense crime.



The Bone Collector (1999)

IMDB rating: 6.6/10
Genre: Crime/Thriller/Mystery
Cast: Denzel Washington, Angelina Jolie, Queen Latifah
Country of Origin: USA




পঞ্চম মুভি :

“From the dear comes grief;
From the dear comes fear.
If you're freed from the dear
You'll have no grief, let alone fear.”





সিনেমার প্রথম সিন ১৯৭৪ সালের ঘটনা, যেখানে ছোট্ট ডাহলিয়া স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজে ভিজে মায়ের জন্য অপেক্ষা করে। এরপরের ঘটনা সোজা ২০০৫ সালের, ডাহলিয়ার সাথে তার স্বামী কাইলের বিচ্ছেদের পর মেয়ে সিসিলিয়ার দায়িত্ব পায় সে। কাইল ডাহলিয়াকে জার্সি সিটিতে তার অ্যাপার্টমেন্টের আশেপাশে থাকতে বললে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে রুজভেল্ট আইল্যান্ডে থাকবে, সেখানে একটি ভালো স্কুলও খুঁজে নিবে সে। কাইল তাকে হুমকি দেয়, এভাবে খামখেয়ালী চিন্তার কারণে সে মেয়ে সিসিলিয়ার কাস্টডির জন্য আপিল করবে এবং এও বলে যে ডাহলিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সিসিলিয়ার স্কুলের কিছুটা দূরে ডাহলিয়া এবং সিসিলিয়া রুজভেল্ট আইল্যান্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকার জন্য কথা পাকাপাকি করে যায় ।সিসিলিয়ার প্রথমে ভগ্নপ্রায় বিল্ডিংটি আবাসস্থল হসেবে পছন্দ না হলেও কোন এক রহস্যময় কারণে সবশেষে সে রাজি হয়ে যায়। বিল্ডিংটার ছাদে সিসিলিয়া প্রথমদিন একটি ‘হ্যালো কিটি’ স্কুল ব্যাগ খুঁজে পায় পানির ট্যাঙ্কের ধারে। বিল্ডিং এর সুপারিটেন্ডেট ভেক তাকে বলে যদি কেউ এই ব্যাগটি চাইতে না আসে এবং ব্যাগটি কার সেটি খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে সেটি সে সিসিলিয়াকে দিয়ে দিবে। তারা অ্যাপার্টমেন্টে আসার পর হঠাৎ করে একদিন খেয়াল করে, শোবার ঘরের একদিক দিয়ে কালো রঙের পানি চুইয়ে পড়ছে এবং সেটা অনবরত। এরপর থেকে সিসিলিয়া এবং ডাহলিয়া তাদের আশেপাশে অদৃশ্য একজনের উপস্থিতি টের পায় সর্বক্ষণ। বিল্ডিংটির ম্যানেজারকে জানালো হলে, সেও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা করে না। এদিকে অশরীরীটির ভূমিকা ক্রমেই বাড়তে থাকে তাদের জীবনে। পানির উৎস কি? অদৃশ্য সত্ত্বাটিই বা কি চায়? সিসিলিয়া এবং ডাহলিয়ার ভাগ্যে অপেক্ষা করে কোন পরিণতি? সিনেমাটি একটি জাপানী হরর সিনেমার অ্যাডাপ্টেশনে তৈরি হয়েছে, যা কোজি সুজুকির একটি ছোট গল্প ‘ফ্লোটিং ওয়াটার’ অবলম্বনে তৈরি। এই একই মানুষ ‘দ্য রিং’ হরর সিরিজেরও স্রষ্টা। সিনেমার প্রধান দিক, এর গল্প। এটা টিপিক্যাল হরর সিনেমার মত না...গল্পে একটা টাচিং ভাব আছে যেটা হরর এলিমেন্টটাকে সেভাবে টিপিক্যাল ‘হু হু হা হা (মহা ভয়ঙ্কর)’ হরর হতে দেয় না । এমনিতেই জাপানীদের হরর অনেক উচ্চ মাত্রার হয়ে থাকে, তাদের হরর গল্প বলার ধরণ আলাদা। একটা দুঃখজনক ঘটনা এবং দুর্ভাগ্যজনক কোন পরিণতিকে তারা বিষয়বস্তু বানিয়েই হররের ডার্ক শেড দেয় । প্রথম এই সিনেমাটা যখন দেখেছিলাম, ভয়ের থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা গল্প আছে এতে। জেনিফার কনেলিকে বিধ্বস্ত মার্কা চরিত্রে কেন জানি খুব ভালো মানিয়ে যায়। এটাতেও ব্যতয় ঘটেনি। It’s a mild horror movie which unfolds an untold grief.



Dark Water (2005)

IMDB rating: 5.5/10
Genre: Horror/Drama
Cast: Jennifer Connelly, Ariel Gade, John C. Reilly
Country of origin: USA





এই সিরিজের আগের তিন পর্বের লিঙ্ক :

ফাইভ গ্রেটেষ্ট স্টার পর্ব ১—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ২—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৩—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~ =p~ =p~ =p~



**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×