somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৫ —যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~ =p~ =p~

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“I think cinema, movies, and magic have always been closely associated. The very earliest people who made film were magicians.”

সিনেমা...ভ্রমেছি তুলিকা হাতে কল্পনার রাজ্যে। কথাটা কি ঠিক তাইনা.....মেঘের রাজ্যে আমি দেখি বালিহাঁস, তুমি দেখ কি? একের জনের কাছে এটা একেক তাৎপর্য বহন করে এই সাধারণ রূপের চিত্ত বিনোদনের বস্তুটি। আমি দেখি আরেকটা জীবনের প্রতিচ্ছবি, আমি দেখি কিছু চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগত দিক,আমি দেখি ভালোলাগা অনুভূতিগুলোর এক অন্য প্রকাশ...সিনেমা আমার কাছে এটাই। পর্বটি শুরু করেছিলাম, অভিনেতাদের নিয়ে, তারপরে এক পর্বে অভিনেত্রীরা এসেছিল, পর্যায়ক্রমে আবারও অভিনেতা, পরের পর্ব পুনরায় অভিনেত্রী, এবারের পর্বটি সাজানো হয়েছে অভিনেতাদের নিয়ে। প্রথম পর্বে ছিল, জেমস স্টুয়ার্টের Vertigo, জ্যাক নিকোলসনের The Shining, শ্যেন কনেরির Entrapment,টম হ্যাঙ্কসের Cast Away এবং ব্রাড পিটের The Curious case of Benjamin Button. দ্বিতীয় পর্বটি পাঁচজন অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছিলাম, অড্রে হেপবার্নের My Fair Lady, মেরিল স্ট্রিপের Sophie’s Choice, জোডি ফস্টারের The Silence of the Lambs, হিলারি সোয়াঙ্কের Million Dollar Baby এবং ক্যামেরন ডায়াজের My Sister’s Keeper. অভিনেতা কেন্দ্রিক তৃতীয় পর্বে, গ্রেগরী পেকের Roman Holiday, ড্যানিয়েল ডে লুইসের My Left Foot , জেফ ব্রিজেসের Arlington Road, শ্যেন পেনের I am Sam এবং রাসেল ক্রোর A Beautiful Mind নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পুনরায় অভিনেত্রী কেন্দ্রিক চতুর্থ পর্বে আলোচনা করেছিলাম সোফিয়া লরেনের Two Women , ফে ড্যানাওয়ের Chinatown , জুলিয়া রবার্টসের Stepmom , অ্যাঞ্জেলিনা জোলির The Bone Collector এবং জেনিফার কনেলির Dark Water নিয়ে. আজকে সেই ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার সিরিজের পঞ্চম পর্ব নিয়ে উপস্থিত হলাম পছন্দের পাঁচজন অভিনেতার ভিন্নধারার, ভিন্ন ঘরানার সিনেমা নিয়ে। প্রথম জন, হেনরি ফন্ডা...The Grapes of Wrath >>> দ্বিতীয় জন, রবার্ট ডি নিরো... Raging Bull >>> তৃতীয় জন, রবিন উইলিয়ামস... Awakenings >>> চতুর্থ জন, ক্রিশ্চিয়ান বেল...Rescue Dawn >>> এবং পঞ্চম জন, জেরার্ড বাটলার...Law Abiding Citizen. এই পাঁচটি সিনেমা নিয়ে আজকে বিস্তর আলোচনা থাকছে।


প্রথম মুভি:

“Some infinities are bigger than other infinities.”




টম জোয়াড অনেকদিন পর জেল থেকে প্যারোলে বের হয়ে ওকালোহোমাতে তার বাবা-মা এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সাথে পুনরায় একত্রিত হওয়ার পথে পাড়ি জমায়। কিন্তু এলাকায় ফিরে গিয়ে দেখে কোন জন-মানবের চিহ্ন নেই সেখানে। ভূতপূর্ব এক যাজকের সাথে সেখানে রাস্তার ধারে গাছের নিচে বসা অবস্থায় দেখা হয় তার এবং জানতে চায় সে লোকটির কাছে এলাকার এই সম্যক চিত্র সম্পর্কে। যাজক কেসি, যে ছোটবেলায় টমকে ব্যাপ্টাইজের কাজ করেছিল জানায় সেখানে তার কোন পরিচিত মানুষজন আর নেই, সবাই এই জায়গা ছেড়ে পেটের তাগিদে পালিয়ে গেছে। কেসি এবং টম জোয়াডদের বাড়ির এলাকাতে যায় এবং দেখে তার পরিবারের কেউ নেই সেখানে। বাড়ির ভিতরে সে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু মুলি গ্রেভসকে লুক্কায়িত অবস্থায় পায়। তার কাছে জানতে পারে, কিভাবে তাদের এলাকার কৃষকেরা রাতের রাত কোম্পানি এবং ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপে জমি বাড়ি হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। মুলির বাড়িও এভাবে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। টম জানতে পারে তার পরিবারের সদস্য সেখান থেকে অদূরবর্তী এলাকায় অবস্থিত আঙ্কেল জনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে উৎখাতের পরে। টম এবং কেসি রওয়ানা হয় তার পরিবারের সাথে দেখা করতে, কিন্তু মুলি থেকেই যায় তার ভিটেমাটিতে।টমকে দেখে তার পরিবার আপ্লুত হয়ে পড়ে, বিশেষত মা জোয়াড। রাতের রাত দুর্বিষহ অবস্থার সম্মুখীন হওয়া এই পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় কালিফোর্নিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে তারা উন্নত জীবন এবং জীবিকার তাগিদে। কেসি সহ পরিবারের ১২ জন তাদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে রওয়ানা হয়ে যায় লক্করঝক্কর মার্কা সুপার সিক্স সিডানে করে ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশ্যে। পৌঁছায় কি তারা তাদের গন্তব্যে? উন্নত জীবন ফিরে পায় কি শেষ পর্যন্ত? নাকি জীবনের এই দুর্বিষহ অবস্থাতে চিরদিনের মত হারিয়ে যায় এই পরিবার? এই সিনেমার জন্য বিশেষণ একটাই হতে পারে ‘অতুলনীয়’। অনেকদিন কোন সিনেমা হৃদয় নিংড়ে ফেলা কষ্টের অনুভব করাতে পারেনি, এই সিনেমা দেখে যা হয়েছিল। দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল হয়ত জোয়াড পরিবারের একজন সদস্য আমি নিজেই। ঘটনার প্রেক্ষাপট গ্রেট ডিপ্রেশন...এবং সবার হয়ত মোটামুটিভাবে জানা আছে গ্রেট ডিপ্রেশনের ১০ বছরের সময়টুকুতে (১৯২৯-১৯৩৯ সাল) সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির একটা ক্রান্তিকাল চলেছিল...এই ডিপ্রেশন ইউনাইটেড স্টেটস এ শুরু হলেও পরবর্তীতে এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়েছিল। গরীব, ধনী নির্বিশেষে আর্থিকভাবে অনেকে দেউলিয়াও হয়ে যায় এই সময়। কর্মসংস্থান, খাদ্য, বাসস্থান সব কিছুতে প্রভাব পড়েছিল এই সময়টুকুতে। সাধারণ দৃষ্টিতে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে যখন সংকটাপন্ন অবস্থা এসেছে স্বাভাবিকভাবে বা প্রকৃতিগতভাবে, কিছু কিছু মানুষ সেই অবস্থার সুযোগ নিয়ে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করতেও কিন্তু কুণ্ঠাবোধ করেনি। এই গ্রেট ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। এবং তারই একটা চিত্র ফোটানো হয়েছে এই সিনেমাটিতে। জন স্টেইনব্যাকের ১৯৩৯ সালের পুলিৎজার পুরষ্কারপ্রাপ্ত বই ‘দ্য গ্রেপস অফ র‍্যাথ’ অবলম্বনে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। এর মূল চরিত্র টম জোয়াডের মধ্যে প্রতিবাদী এক মানুষের ভিন্নরূপ দেখা যায় যেখানে অবস্থাভেদে সে প্রতিবাদ করতে সক্ষম হয় কখনও কখনও, আবার সেই অবস্থাই তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বিকার থাকতে বাধ্য করে ফেলে...এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন হেনরি ফন্ডা। এরপরে যে চরিত্রটি দৃষ্টি কাড়বে সে মা জোয়াড...টম জোয়াডের মা। এই চরিত্রটি তৈরি হয়েছে মমত্ববোধ, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি যে কোন পরিস্থিতিতে এক বড় মনের অধিকারিণী হিসেবে... ‘আমি যদি এক টুকরো রুটি পায়, আমি তা ভাগ করে খেয়েই বাঁচব, সবাইকে নিয়েই বাঁচব, একা বাঁচবো না’!!! গল্প বলার ক্ষমতা অনেকেরই থাকে কিন্তু সেটা মন ছুঁইয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে নগণ্যতম। পরিচালক জন ফোর্ডের এই সিনেমা এই সিনেমা সেই নগণ্যতম সিনেমার একটা। জন ফোর্ড সেরা পরিচালক হিসেবে এবং জেন ডারওয়েল (মা জোয়াড) পার্শ্ব অভিনেত্রীর অস্কার জিতে নিয়েছিল এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই...আরও পাঁচটা ক্যাটেগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল এটি। সিনেমার অনেক অংশ দেখে মানিক বন্দোপ্যাধ্যায়ের সেই উক্তিটি বারবার মনে পড়বে...... ‘ঈশ্বর থাকেন ঐ ভদ্রপল্লীতে। এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’ অসাধারণ এর গল্প, মর্মস্পর্শী এর উপস্থাপন। সব মিলিয়ে অনবদ্য একটা সিনেমা।

“How can we live without our lives? How will we know it's us without our past?”




The Grapes of Wrath (1940)

IMDB rating: 8.1/10
Genre: Drama
Cast: Henry Fonda, Jane Darwell, John Carradine
Country of Origin: USA





দ্বিতীয় মুভি :

“Sometimes the questions are complicated and the answers are simple.”




জেক লামোট্টা...একজন মিডলওয়েট বক্সার। জিমি রিভসের বিপরীতে তার বক্সিং ম্যাচ দিয়ে সিনেমা শুরু হয়, যে ম্যাচে লামোট্টা জেতার পরেও প্রতারণার শিকার হয়, জিমি রিভসকে জিতিয়ে দেয় জুরি কমিটি। উগ্র মেজাজি, মারমুখী লামোট্টা নিজের হার মেনে নিতে পারে না কোনভাবেই। দিনের পর দিন তার পেশাগত জীবনের প্রভাব পড়তে থাকে তার ব্যাক্তিগত জীবনের উপরেও। জেকের ভাই জো লামোট্টা মাফিয়া একজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে, তার বড় ভাইকে মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো একটা সুযোগ করে দেয়ার জন্য। এর মধ্যে জেক লামোট্টার সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে ১৫ বছর বয়সী ভিকির। বিবাহিত জেক নিজের সম্পর্ক জলাঞ্জলি দিয়ে ভিকির সাথে নতুন প্রেমপাশে আবদ্ধ হয়। সুগার রে রবিনসনকে হারানোর পর জেকের ভাগ্যের চাকা যেন আবার তার নিজের হাতে চলে আসে। বিয়ে করে সে ভিকিকে। আবারও একটা নতুন জীবন শুরু করতে চায়। কিন্তু বাধ সাধে তার মারমুখী, মেজাজি এবং সন্দেহপ্রবণ ভাব। জেক লামোট্টার জীবন কোথায় গিয়ে পৌঁছায়? কি হয় জেকের? জেক লামোট্টা কোন কল্পনাপ্রসূত মানুষ নয়...তার বাস্তব জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনেই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। জিয়াকোব ‘জেক’ লামোট্টা প্রাক্তন মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিল যাকে বক্সিং বিশ্ব ভালবেসে ডাকত ‘দ্য ব্রনক্স বুল/ দ্য রেজিং বুল’ নামে। লামোট্টার প্রচণ্ড মারমুখী স্বভাব আজও বিখ্যাত। বক্সিং ফিল্ডে ‘বুলিং’ এর জন্য বেশি সে অধিক পরিচিত ছিল, আজকের যুগে ‘সোয়ার্মার/ স্লাগার’ বলা হয়ে থাকে যে বৈশিষ্ট্যকে। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চোয়াল বিশিষ্ট এই মানুষটিকে তার বক্সিং এর ধরণের কারণে তার যুগে শ্রেষ্ঠ মিডলওয়েটদের মধ্যে গণ্য করা হত। কিন্তু বিখ্যাত এই মানুষটির পেশাগত জীবনের প্রভাব অনেকবেশি পরিমাণে তার ব্যাক্তিগত জীবনে পড়েছিল এবং প্রথম জীবনে করা ভুলগুলো পরবর্তীকালে সে অন্য এক ধরণে শুধরানোর চেষ্টা করে। বিখ্যাত এই মিডলওয়েট বক্সার পরবর্তীকালে তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পেশা বেছে নিয়েছিল এবং সেটাই তাকে আরও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছে। সেই জেক লামোট্টার অটোবায়োগ্রাফি ‘রেজিং বুল: মাই স্টোরি’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। এবার আসা যাক, সিনেমাটির মুখ্য চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর ব্যাপারে। এখানে একই ব্যাক্তি নিরো ‘দুইভাবে’ রয়েছে...এবং দুটো একে অপরের থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা!!! এই সিনেমা করার জন্য সে নিজের ওজন ৬০ পাউন্ড বাড়িয়েছিল এবং তার বক্সিং প্রশিক্ষক ও ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে ছিলেন স্বয়ং লামোট্টা!! গ্যারান্টি দিলাম ডি নিরোর এই সিনেমা যাদের এখনও দেখা নাই, চরম পরিমাণে অবাক হবেন তার ডেডিকেশন দেখে। বিখ্যাত পরিচালক মার্টিন স্করসিজির পক্ষেই এরকম একটা বায়োগ্রাফিক্যাল মাস্টারপিস বানানো সম্ভব। নিরো কেন এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার অস্কারটা বাগিয়ে নিয়েছিল একমাত্র দেখলেই বোঝা সম্ভব...জাস্ট ফেনোমেনাল হি ইজ ইন ইট। মানুষ ভুল করতে করতে একসময় ভুল শুধরে নিতে শিখে এবং সব কিছু আয়ত্ত্বে চলে আসলে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু তার জীবনে আর অবশিষ্ট থাকে না। বক্সিং নির্ভর সিনেমা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে একটু বেশিই পছন্দ করি। এই সিনেমাগুলোতে শুধু জীবনের একটা ফিল্ডই যে দেখানো হয় শুধু তা না, তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে খেলার সেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাবটাও সমসাময়িকভাবে তুলে ধরা হয়। মার্টিন স্করসিজির আরেকটা চরম মাপের মাস্টারপিস।

“ Though I'm no Olivier … I would much rather... And though I'm no Olivier … If he fought Sugar Ray … He would say … That the thing ain't the ring, it's the play…. So give me a stage… Where this bull here can rage… And though I could fight… I'd much rather recite…... that's entertainment.”



Raging Bull (1980)

IMDB rating: 8.3/10
Genre: Biography/ Sports
Cast: Robert De Niro, Cathy Moriarty, Joe Pesci
Country of Origin: USA




এই সেই বাস্তবের জেক লামোট্টা (রেজিং বুল) এবং রূপালী পর্দার জেক লামোট্টা (রবার্ট ডি নিরো)



তৃতীয় মুভি :

“A miracle is when the whole is greater than the sum of its parts. A miracle is when one plus one equals a thousand.”



সিনেমা শুরু হয় সদ্য কৈশোরে পা দেয়া লিও’র আস্তে আস্তে নিজের জীবনের প্রতি সময়ের উপহাসের এক দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির মধ্যে দিয়ে। একদিন একদিন করে তার জীবনের সময়গুলো যেন স্থির হয়ে পড়ে কোথাও। ১৯৬৯ সাল, ড. ম্যালকম সেয়ার নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় এক হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ পায়। এর পূর্বে নিজের রিসার্চে ব্যস্ত থাকায় কোনদিন ডাক্তার হিসেবে কোথাও চাকরি করেছিল না সে, অর্থাৎ তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকলেও ব্যবহারিক দক্ষতা শূন্য ছিল তার। স্থানীয় সেই হাসপাতালে তার উপর দায়িত্ব দেয়া হয় নিউরো ওয়ার্ডের। প্রথম কয়েকদিন হাসপাতালে গিয়ে রুগীদের অবস্থা দেখে নিজেই ঘাবড়ে যায় সে এবং খেয়াল করে তার সেই ওয়ার্ডে কিছু কিছু মানুষের একই ধরণের নিউরোলজিক্যাল সমস্যার বিষয়টি। ফাইল খুঁজে দেখতে গেলে সে দেখে, তাদের সবার সম্পর্কে একই জিনিস লিখে রেখেছে পর্যবেক্ষণে থাকা অন্যান্য ডাক্তারেরা ‘incurable’...উদ্যোগ নেয় ড. সেয়ার রুগীগুলোর সত্যিকারের অবস্থা খুঁজে বের করবে, কি সমস্যা তাদের নিরীক্ষা করে দেখবে। অসাড় হয়ে থাকা এই মানুষগুলোকে পরীক্ষার জন্য নিজের ঘরে একে একে নিয়ে আসলে সে দেখতে পায়, তারা সবাই একটা বিশেষ সময়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর মত সামর্থ্য রাখে। তাদের দিকে বল ছুঁড়ে মারলে অসাড় থাকার পড়েও সেটিকে ধরতে সক্ষম তারা। এই ধরণের মানুষগুলোর ফাইল নিয়ে ড. ম্যালকম সেয়ার ঘাঁটাঘাঁটি করার পর খুঁজে পায় তারা সবাই একটা নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত...এই মানুষগুলো ১৯১৭-২৮ সালব্যাপী এনসেফালাইটিস লেথার্জিকার মহামারীর আক্রমণ থেকে বেঁচে ফিরেছে এবং তারপর থেকেই ক্যাটাটোনিক অবস্থার মধ্যে বিরাজ করছে তারা। তারা সবকিছু শুনতে পারে, দেখতে পারে, এমনকি অনুভবও করতে পারে কিন্তু স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়া তাদের নিজেদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। ড. সেয়ার নিজেই একটা উদ্যোগ নিয়ে তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেয় একটা ছোট্ট গবেষণার অংশ হিসেবে। লিওনার্ড ক্রো এর উপরে পার্কিনসন রোগে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ এল-ডোপা বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ করতে থাকে সে। এবং এভাবে একদিন সেই জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় দীর্ঘসময় নিথর হয়ে পড়ে থাকা লিও পুনর্জীবন লাভ করে...স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায় সে। ড. সেয়ারের গবেষণা সূর্যের আলো দেখে অবশেষে। কিন্তু...এরপরের ‘কিন্তুটা’ দেখে নেয়ার জন্যই থাক! স্বাভাবিক জিনিস ঠিক কত সময়ব্যাপী ‘স্বাভাবিক’ থাকে? ‘অতিআশ্চর্য’ পর্যায়ের জিনিসগুলো কি সত্যি দীর্ঘস্থায়ী হয়? এটাও একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত...অলিভার স্যাকসের ‘অ্যাওয়েকেনিংস’ নামের মেমোয়ারের উপর ভিত্তি করে । ড. অলিভার স্যাকস একাধারে একজন নিউরোলোজিস্ট, প্রকৃতিবিদ এবং লেখক। ড. অলিভার স্যাকসই হলেন সিনেমার ড. ম্যালকম সেয়ার। ডাক্তারী পেশাতে তার দক্ষতার থেকে অনেকবেশি যে জিনিসটা নজর কাড়বে সেটা হল তার আত্মিক সম্পর্ক পেশাটার প্রতি...তার উৎসর্গ। আশাহীন বিষয়গুলোতে আশার আলো জ্বালিয়েছিল সে... স্বল্প সময়ের জন্য হলেও তার চেষ্টা কাজে লেগেছিল অদ্ভুতভাবেই। এই ড. সেয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবিন উইলিয়ামস। এই মানুষটা একজন রূপকার বললেও কম বলা হবে। ভার্সেটাইল এই অভিনেতা সব ধরণের সিনেমাতেই নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেই দেয়...ড. সেয়ারের ক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটেনি। এবার আসা যাক লিওনার্ডের চরিত্রটাতে...আবারও ডি নিরো...এখানে ডি নিরোকে অন্য এক রূপে দেখবেন গ্যারান্টি থাকলো এবং যারপরনাই এই মানুষটা চরম অবাক করবে... ‘এই মানুষটা কি দিয়ে তৈরি?’ নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ক্যাটাটোনিকের রুগী হয়েছে সে এই সিনেমাতে। অস্কারে নমিনেশন পেয়েছিল সে এই রোলের কারণে।সর্বোপরি রবিন উইলিয়াম-ডি নিরোর এই জুটির কথা মেলাদিন মনে থাকবে দেখার পর..এই জুটির জুড়ি মেলা ভার।

“What we do know is that, as the chemical window closed, another awakening took place; that the human spirit is more powerful than any drug - and that is what needs to be nourished: with work, play, friendship, family. These are the things that matter. This is what we'd forgotten - the simplest things. “




Awakenings (1990)

IMDB rating: 7.8/10
Genre: Drama/ Biography
Cast: Robert De Niro, Robin Williams, Julie Kavner
Country of Origin: USA




বাস্তবের ড. অলিভার স্যাকস



চতুর্থ মুভি :

“Sometimes even to live is an act of courage.”



ভিএ ১৪৫ স্কোয়াড্রনের ইউ এস নেভি পাইলট জার্মান বংশোদ্ভূত ডিয়েটার ডেঙ্গলার। কম্বাট মিশনে থাকাকালীন সময়ে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাওসে, বিমানে বোমা মেরে তাকে ভূপাতিত করা হয়। বিমান ক্রাশে নিহত হওয়া থেকে বেঁচে গেলেও প্যাথেট লাওরা জিম্মি বানায় তাকে। আমেরিকার খুঁটিনাটি গোপনীয় খবর দেয়ার বিপরীতে একটি চুক্তিতে সই করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে এই কথা জানানো হলে, ডিয়েটার অস্বীকৃতি জানায় তাদের এই প্রস্তাবে। প্রস্তাব নাকচের পর বন্দি বানানো হয় তাকে এবং অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। একটা প্রিজন ক্যাম্পে আটক করে রাখা হয় তাকে। সেখানে তার সাক্ষাত হয় জিম্মিতে থাকা আরও কিছু আমেরিকান পাইলট এবং সৈনিকদের, যাদের কাছে জানতে পারে অনেক বছরব্যাপী আটক অবস্থায় রয়েছে তারা। সেই ক্যাম্পে ভিয়েতনামীদের অত্যাচার সহ্য করার পাশাপাশি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভাবতে থাকে তারা প্রতিনিয়ত জায়গাটি থেকে পালানোর কথা। মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে তারা কি পালাতে সক্ষম হয় ক্যাম্প থেকে? জীবন রক্ষা করতে পারে কি তারা প্রতিকূল পরিবেশে? ডেঙ্গলার কিভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে পারে নির্মম অত্যাচার সহ্য করার পরেও? এই সিনেমাটি জার্মান আমেরিকান পাইলট ডিয়েটার ডেঙ্গলারের ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কালের অভিজ্ঞতার সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। সিনেমার উল্লেখযোগ্য বিষয় যুদ্ধ...এটা দেশের সাথে দেশের যুদ্ধ নয় বরং জীবনযুদ্ধ, মৃত্যুর সাথে লড়াই করে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা। কখনও কখনও জীবনধারণ শুধুমাত্র শ্বাস নেয়াটাই হয়ে যায়...বুক ভরে শান্তির শ্বাস। এর বেশি হয়ত আর কিছু হয়না...কি খেলাম, কি পরলাম, কেমনভাবে থাকলামের মত বিষয়গুলো গৌণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সিনেমার অনেক জায়গা দেখলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় কি করছে শুধুমাত্র একটু বাঁচার জন্য। হ্যা, বাঁচার লড়াইটাই দীর্ঘসময়ব্যাপী হতবাক করে রাখবে। ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস বইটি পড়ে ন্যাচারাল সিলেকশনটি সংক্ষিপ্ত অর্থে প্রকাশের ক্ষেত্রে হার্বাট স্পেন্সার একটি ফ্রেজ ব্যবহার করেছিলেন ‘Survival of the fittest’...হয়ত চরম সত্যটাও ঠিক তাই। পৃথিবীর বুকে তারাই বেঁচে থাকে তারা জয় পরাজয়ের দৌড়ে নিজেকে সবসময় একধাপ এগিয়ে রাখে সংগ্রাম করে।সিনেমাটা দেখেও এই কথা মনে হবে। মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ ডিয়েটার ডেঙ্গলারের ভূমিকায় রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান বেল। এই অভিনেতার অভিনয়শৈলী সম্পর্কে নতুন করে ভূমিকা দেয়ার প্রয়োজন আছে কি?!!!?? সে চরিত্রে ভিন্নতা আনতে, ভিন্নধর্মী কিছু করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন...এবং যে চরিত্রটাতে অভিনয় করেন সেখানে নিজেই নিমজ্জিত হয়ে যান। তার বিশেষত্ব এটাই। অসাধারণ এই সিনেমাটির পরিচালক ওয়ার্নার হার্জোগের নিজের ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘লিটল ডিয়েটার নিডস টু ফ্লাই’ থেকে একটা চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন আরও বৃহৎ পরিসরে ডিয়েটার ডেঙ্গলারকে তুলে ধরতে এবং সফলও হয়েছেন তিনি সন্দেহাতীতভাবে। অসাধারণ এক জীবনযুদ্ধের গল্প এটি।

“ I remember, I was in the attic with my brother. We were looking out, and we see this fighter plane, beautiful, coming right at us. And it's firing from its wings. And I see the machine gun, it's flashing and - whooosh - it goes flying past the house. It's so close. I mean, it's *feet* away from the house. And the canopy was open. And this pilot, he had his goggles up on his helmet. And I could see his eyes. And he was looking at me. Right at me. He's looking right at me. And then as he turns to go, he's starting back, he's looking right at me still. And the thing is, from that moment on, little Dieter, he needed to fly.”



Rescue Dawn (2006)

IMDB rating: 7.4/10
Genre: War/ Adventure
Cast: Christian Bale, Steve Zahn, Jeremy Davies
Country of Origin: USA




বাস্তবের ডিয়েটার ডেঙ্গলার



পঞ্চম মুভি :


“A good act does not wash out the bad, nor a bad act the good. Each should have its own reward.”



১৯৯৯ সাল, ফিলাডেলফিয়া। ইঞ্জিনিয়ার ক্লাইড শেল্টন তার পরিবারের সাথে সুখী এবং নিরুৎকণ্ঠিত জীবনই অতিবাহিত করছিল ঠিক সেই সময় পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না তার বাড়িতে কিছু অযাচিত মানুষের আক্রমণ করে বসল একদিন। ক্লাইভের চোখের সামনে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা এবং হত্যা করে। তার একমাত্র ছোট মেয়েটিকেও হত্যা করে ক্লারেন্স জেমস ডার্বি এবং তার সহযোগী রুপার্ট অ্যামেস। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর, সেই ঘটনার বিচার চাইতে ক্লাইভ দ্বারস্থ হয় আইনের কাছে। কিন্তু প্রসিকিউটর নিক রাইসের ডিএনএ এভিডেন্স না পাওয়ায় আসামীদের সত্যটা সে প্রমাণে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এরপরেও এই কেসের বিপরীতে সে মূল অপরাধী ডার্বিকে রাজি করায় অ্যামেসকে পুরো ঘটনার দোষী সাব্যস্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে। ভুয়াভাবে অ্যামেস দোষী প্রমাণ হওয়ার পরে ডার্বি বেঁচে যায় শুধুমাত্র কয়েক বছর জেলে থাকার রায় পেয়ে। রাইসের এই পদক্ষেপ ক্লাইভ মেনে নিতে পারে না কোনভাবেই এবং নেমে পড়ে নতুন এক সংগ্রামে। ক্লাইভ কি নিজের পরিবারের উপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে? কি করে সে প্রচলিত ভুয়া আইনের বিপরীতে? বাংলা ভাবসম্প্রসারণে একটা লাইন সেই ছোটবেলা থেকেই পড়েছি আমরা, ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে’! কথাটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, এই সিনেমা ধাপে ধাপে দেখাবে।একটা সাধারণ নির্ভেজাল মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সে কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে এখানে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অন্যায়ের প্রত্যুত্তরের এক অন্য রকমের ব্যাখ্যা আছে সিনেমাটিতে। ক্লাইভের চরিত্রে আছে জেরার্ড বাটলার...এই অভিনেতাকে অনেকে কিং লিওনাইডাস হিসেবে পছন্দ করলেও আমার তাকে ‘ক্লাইভ শেল্টন দ্য মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবেই অনেক অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছিল। অনেকদিন মনে রাখার মত একটা সিনেমা।

“ Well, justice should be harsh Nick... especially for those who denied it to others.”




Law Abiding Citizen (2009)

IMDB rating: 7.4/10
Genre: Crime, Thriller, Action
Cast: Gerard Butler, Jamie Foxx, Leslie Bibb
Country of Origin: USA





এই সিরিজের আগের চার পর্বের লিঙ্ক :

ফাইভ গ্রেটেষ্ট স্টার পর্ব ১—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~ =p~ =p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ২—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৩—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৪—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!!

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
৭০টি মন্তব্য ৭০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×