somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবার ইচ্ছে মেয়েটার বিয়ে হয়

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবার ইচ্ছায় মেয়েটার বিয়ে হয় ,
আপন মানুষ চেনা জায়গা ছেড়ে হুট করে চলে যেতে হয়,
বুক চিড়ে কান্না আসে ... কখনো "মা" কে জড়িয়ে,
কখনো বা বাবাকে জড়িয়ে।
মেয়েটার বুক ছেড়া কান্নায় হু হু করে উঠে সবার মন।
তবুও যেতে দিতে হয়
তবুও একটি মেয়েকে চলে যেতে হয়
অচেনা কোন এক নগরে
অচেনা কারো হাত ধরে।

কত ভাবনা ই না মেয়েটার মনে ঘুরপাক খায়,
মানুষ টা কেমন হবে ?
আমার স্বপ্নের মত হবে তো ?
আমাকে ভালবাসবে তো ?
ও বাড়ীর সবাই কেমন হবে ?
আমাকে আপন করে নেবো তো ?
আমি কি পারবো সবার আপন হতে ?
মেয়েটা হাজার ভাবনায় যখন আচ্ছন্ন
হুট করে অচেনা একটা হাত,
অচেনা একটা হাত মেয়েটার হাত চেপে ধরে, মেয়েটা একটু সাহস পায়্‌ একটু ভরসা পায়...এই টুকু ভরসা আর সাহস নিয়ে মেয়েটা অচেনা মানুষ গুলোকে আপন করে নেয়, একটু একটু করে ভয় কেটে যায়... মেয়েটা এক সময় ভাবতে থাকে, এটাই আমার সংসার, আমার আসল ঠিকানা, আমার আপন ঘর ।

বিয়ের প্রথম বছর স্বামী, শ্বশুর- শাশুড়ি , শ্বশুরালয়ের সবার ভালোবাসা পায় ,কিন্তু এক বছর পর যে মানুষ টার হাত ধরে এসেছে হুট করে একটা পরিবর্তন লক্ষ করে। মানুষ টা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ! আগের মত করে আর আর ভালোবাসে না ! খুব বিষণ্ণতা নিয়ে মেয়েটা খুজতে থাকেঃ

খুব আদর করে যে নাম ধরে ডাকতো।

খুব যত্ন করে যে আমার খেয়াল রাখতো

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় যে

বার বার আমার দিকে ফিরে তাকাতো

ঘরে কাজ করার সময় যে মানুষটা
আমায় সহযোগিতা করতো

একটু অসুস্থ হলে নিজ হাতে খাইয়ে দিত

সেই মানুষটার বিশাল একটা পরিবর্তন লক্ষ করে
কিছুতেই মন কে বুঝাতে পারে না মেয়েটা ...


মাঝে মাঝে মেয়েটা বুঝতে চায়...
জিগ্যেস করে "
কি হয়েছে আপনার ?
কোন কারণে কি আমার উপর রাগ ?
আমি কি কোন ভুল করেছি ?
কিন্তু ওপাশ থেকে কোন উত্তর আসে না
কিছু জিগ্যেস করলে রাগ করে ,
এ ভাবে দিনের পর দিন অবহেলা অনাদর শয়ে যায় মেয়েটা

এক সময় মারধোরও করে । মেয়েটা খুব অসহায় হয়ে পরে... শারীরিক , মানুষিক ভাবে অত্যাচার শুরু হয় ,
তবুও মেয়েটা কাউকে কিছু বুঝতে দেয় না ,নীরবে সয়ে যায়... হয়তো এক সময় ঠিক হয়ে যাবে এই আশায়...।

কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না , যত দিন যায়
ততো অত্যাচার আরও তীব্র হয়ে ,
এক সময় মেয়েটা সহ্য করতে না পেরে " মা " কে কল দেয়ঃ

আম্মু আমি এই নরকে আর থাকতে পারবো না , মানুষ টা আমার উপর খুব অত্যাচার করে ! এতো দিন তোমাদের বলিনি ভেবেছি ঠিক হয়ে যাবে , কিন্তু ঠিক হচ্ছে না , আম্মু ... আম্মু বলতেই মেয়েটার বুক ছিঁড়ে কান্না আসে ।
মেয়ের কান্না শুনে মা দিশে হারা !

এমন টাতো হওয়ার কথা ছিল না!
কেন এমন হল!
মা মেয়েটাকে শান্তনা দিয়ে ফোন রেখে দেয়!

মেয়েটা হু হু করে কেঁদে যায়... এ ভাবেই আরও কিছুদিন পর এক দিন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটা একা একা বাপের বাড়ী চলে আসে ।

হুট করে মেয়েটার চলে আসা কেউ মেনে নেয় না ,
এক দম কাছের মানুষ মা , বাবা , ভাই বোন , কেউ না । সবার একটা'ই কথা অভাবে চলে আসা ঠিক হয়নি ,
মেয়েটার কষ্ট কেউ বুঝে !

সবাই বলেঃ

মেয়েদের বিয়ে এক বারই হয় ,
অটা ই তোর আসল ঠিকানা !
তুই এ ভাবে না বলে চলে এসে ভুল করেছিস !
খুব অসহায় হয়ে পরে মেয়েটা,
আপন ভেবে যাদের কাছে ছুটে এসেছে
তারাই আজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে !
তাঁদের কাছে একটা বিবাহিত মেয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে চলে আসলে বাবা- মায়ের কাছেও বোজা হয়ে যায়।
সবাই শুধু সবার মান সম্মানের কথা ভাবে।

কিন্তু মেয়েটার ভয়ঙ্কর সেই তীব্র কষ্টের
রাতের গল্পের কথা কেউ ভাবে না ।
এক দম কেউ শুনতে চায় না !!
কাছের মানুষ গুলোও না...কেউ না !
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×