somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাজিদ ঢাকা
পড়াশোনা কোন রকমে শেষ , , এখন আমি কর্পোরেট __ > সামুতে কেবল ভ্রমণ ব্লগ লিখি , না আসলে লিখতাম আবার লিখা শুরু করবো , , , শার্ট টাইয়ের নিছে বৈরাগী মনটা এখনও জীবিত আছে তাই মাঝে মাঝে সব কিছু তুচ্ছ করে বেড়িয়ে যাই বাংলার পথে থে থে থে থে থে

বাংলার পথে(পর্ব ২০) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ঙ - শেষ

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বগালেক থেকে আবার ট্রাকে , , রাস্তা একটু ভালো , , অনেকক্ষণ পরে ঝাঁকুনি একটু কমে যেন স্বর্গের শান্তি । শরীরের মাসেল গুলোতে যেন একটু স্থবিরতা । কিন্তু কোথায় আছে শান্তি সকলের জন্য নয় । ভেবেছিলুম এভাবেই হয়তো চলে যাব কেওকারাডং এর চূড়ায় । ট্রাকে করে কেওকারাডং জয় , তাহা ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেল যখন ট্রাকওয়ালা নামিয়ে দিল দারজেলিং পাড়ায় ।


এখানে চায়ের দোকান গুলোতে বসে হালকা খেলাম এর পরবর্তী সময় গুলোতে যে কি কুফা এসে টা ভাবতে লাগলাম ।
এখান থেকে ২০ মিনিটের পথ কেওকারাডং এর চূড়া ।
আমাদের ব্যাগ গুলোর বেশ ওজন । প্লান ছিল কেওকারাডং জাদিপাই হয়ে বগালেক এ গিয়ে রাত থাকব । তাই ব্যাগ গুলো চায়ের দোকানে রেখেই কেবল পানির বোতল নিয়ে রউনা দিলান । নিতান্তই নতুন,অজ্ঞ আর বোকা ছাড়া এই ধরনের প্লান কেও করে না।

গাইডের ভাষ্য মতে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে প্রায় ঘণ্টা খানেক লাগলো । রোদের মধ্যে পাহাড় বেঁয়ে ওঠা অসাধারণ ।
অবশেষে আমরা কেওকারাডং এর চূড়া তে ওঠার সিঁড়িতে

চূড়াতে বসার ছাউনি

কেওকারাডং এর উচ্চতা প্রায় ৪৩৩২ ফুট । চূড়া টার মালিক
লালা মামা । তিনি তার পরিবার নিয়ে এখানেই থাকেন । এরশাদ সরকারের আমলে তাকে এই চূড়া ও আশেপাশের বেশ কিছু জায়গার মালিকানা দিয়ে দেয়া হয়। চূড়া থেকে লালা মামার বাড়ি

তিনি পর্যটকদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন । খাওয়া জনপ্রতি ১০০ টাকা , রাতে থাকা জনপ্রতি ১০০ টাকা ( বালিস কমলসহ) , , পানির লিটার ৬০ টাকা , এক বদনা পানি ১০ টাকা ।
লালা মামার কটেজ

দূর হতে আমি তারে দেখেছি , আর মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থেকেছি

জাদিপাই

কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে রউনা দিলাম জাদিপাই এর পথে । কেওকারাডং থেকে ৪ কিমি দূরে জাদিপাই পাড়া । সেইখান থেকে আরও কিছুদুর । আনুমানিক ৬+৬= ১২ কিমি আসা যাওয়া কেওকারাডং থেকে ।
আদা রাখা আছে

যাওয়ার সময় বেশ আরাম , ঢালু পথ খালি লাফিয়ে লাফিয়ে নামছি । কিন্তু আসার সময় যে এই পথ বাইতে হবে ।
ধুলোতে লিফানের পাহাড়ি ডাকাত বেশে

জাদিপাই পাড়া



একেবারে সন্নিকটে , এই পথের অবস্থা একেবারেই খারাপ । এক কথায় জানের ভয় আছে । কোন রাস্তা নেই , মাটিগুলোও বালির মতো স্থায়ী না । একবার ভেবেছিলাম আর যাবই না , ফিরে যাই , কিন্তু তাহলে পুরো কষ্টটাই বৃথা ।

ঝর্ণাটা বেশ নিচে , , এই নিচে নামাটাই রিস্কি

অবশেষে জাদিপাই , , আ হাহা !!!!

ঝর্না সাধারণত সরু হলেও এটি চওড়া , , সবসময়ই পানিতে রংধনু দেখতে পাবেন


পানিতে লাফালাফি ঝাপাঝাপি করে আবার ফেরার পালা । ফেরার কথা মনে হতেই আঁতকে উঠি । বিশেষ করে ঝর্নাতে নামার পথের কথা ভেবে , , নামা সহজ উঠবো কিভাবে , আলাহ মালিক । ভিজা কাপড়েই রউনা দিলাম ।
পাহাড়িরা এভাবেই আদা তুলে কেওকারাডং এ , , পারিশ্রমিক ৩ টাকা / কেজি । :|:|

ঐ দিন কেওকারাডং ফিরে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল । যদিও প্লান ছিল বগালেক ফিরে যাব , কিন্তু টা আর সম্ভব না । শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা । একবার ভেবেছিলাম , ঢাকা আর ফিরব না ;) , , প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে নয় , , পথ পারি দেয়ার ভয়ে । আমাদের ব্যাগ গুলো দার্জিলিং পাড়ায় । কাপড় না হলেও হয় কিন্তু , ঔষধ , সিম , টর্চ, ল্যাপটপ সবকিছু ব্যাগে ।
উপায় না পেয়ে গাইড সাদেক ভাইকে পাঠালাম অন্তত ২ টা ব্যাগ আনতে । তিনি আবার কষ্ট করে গিয়ে আমাদের ব্যাগ ২ টা আনলো আর ২ টা রেখে আসল , , এজন্য আমরা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ
কেওকারাডং এ রাত জাপনঃ
এ এক নতুন অভিজ্ঞতা । আবহাওয়া যে এত তাড়াতাড়ি বদলাতে পারে টা আগে বুজতে পারি নি । সন্ধার পর থেকেই বাতাস এর তোলপাড় । ফিরে এসে সবাই খেয়েছিলাম , মুরগি আর কুমড়ার তরকারি দিয়ে । তাই রাতে অনেকেই খেতে চাইছিল না । কিন্তু আমার আবার খুদা লেগে গেল । রাতে আমরা ৩ জন আবার খেলাম । কারেন্ট নেই , চারিদিক নীরব ।
মোবাইল এ নেটওয়ার্ক নেই , সারাদিন বাসার সাথে যোগাযোগ নেই । সাদেক ভাইের টেলিটকে হাল্কা নেটওয়ার্ক থাকলেও তা দিয়ে কথা বলা গেল না ।
চূড়ার ছাউনিতে গিয়ে বসলাম , সে এক অন্যরকম অনুভূতি ।
রাত বারার সাথে সাথে বাতাস আরও বেরে যাচ্ছে । রাত ১২ টার দিকে পুরা টর্নেডোর মতো অবস্থা । শো শো বাতাস , , সব যেন উরিয়ে নিয়ে যাবে । সেই কি অবস্থা । আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা । মার্চ মাসে এত ঠাণ্ডা কল্পনাই করা যায় না ।
কটেজের ভিতর

ডবল কম্বল গায়ে আমরা

লালা মামার ছেলে রুবেল ও রুবেলের নবাগত সন্তান । (রুবেলের স্ত্রী অর্থাৎ লালা মামার পুত্রবধূ নিঃসন্দেহে সুন্দরী)

পরদিন সকালে নাস্তা আর করলাম না , ১৭০০ টাকা বিল পরিশধ করে বিদায় নিলাম । ৮ টা খাবার ৮০০ , থাকা ৫০০ , আর বাকি টাকা পানি ও অন্যান্য । ৬ :৩০ এ রউনা দিলাম ।
লালা মামার সাথে আমরা

ফিরতে পারেন ঝিরিপথে এজন্য বগালেক আগে আসতে হবে। আসার সময় ও আপনি ঝিরিপথে বলালেক এর পর কেওকারাডং । তাতে ৫-৭ ঘণ্টা লাগবে । তাই ঐ পথে আর পা বারালাম না । তবে চিংড়ি ঝর্না দেখব , তাই কেওকারাডং থেকে হেঁটে বগালেক আসার সময় পাবেন চিংড়ি ঝর্না
কাঠের পুল


চিংড়ি ঝর্না ( পানি নেই )


বগালেক থেকে আরও অনেক দূর পাহাড় বেয়ে নামলাম । কারণ রুমা ফিরতে হলে , গাড়ী চাই । আমরা আগে থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চান্দের গাড়ী ভাড়া করি নি , কারণ আমরা এসেছি ট্রাকে । তাই ট্র্যাকের আশায় বসতে বসতে একসময় ঘুমিয়ে গেলাম , , হঠাৎ ট্র্যাকের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে মহাআনন্দে জেগে উঠলাম । শুরু হল আবার ট্রাক যাত্রা । অবশেষ প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর আসলাম রুমাতে । এসেই আগে খেতে বসলাম ।

তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলাম । আজকেই ফিরতে হবে বান্দরবান সদরে । রাতে রউনা দিব ঢাকা ।
রুমা থেকে কাইক্ষ ঝিরি পর্যন্ত নৌকা ছাড়ার সময় সূচি

বিদায় বেলা , সাদেক ভাইয়ের সাথে ।

৮০০ টাকা দিয়ে নৌকা রিজার্ভ করলাম । প্রায় ১ ঘণ্টা পর ওপারে পৌছালাম । এপারে এসে সদরে আসলাম লোকাল বাসে করে । ৬ টার দিকে সদরে । এসেই উঠলাম চট্টগ্রাম এর বাসে ১০০ টাকা জনপ্রতি । ৯ টার দিকে পৌছালাম। গ্রিন লাইনের টিকেট কাটলাম , , ৯০০/৯৫০ করে ।
প্রচণ্ড ক্ষুদা নিয়ে বসে আছি । টাকা ও তেমন নেই , , এমন সময় বন্ধু জাবেরের ফোন, তার বাসায় আসার নিমন্ত্রন ও বেশ অন্তরিকতার সাথেই । আমরা মুখে মানা করলেও মনে ঠিকই চাইছি । অবশেষে চলেই গেলাম তার আন্দরকিল্লার বাসাতে । নানান পদের তরকারি ও রকমারি ফল , আমরা গিয়েই খেতে বসে গেলাম সকল লজ্জা উপেক্ষা করে । হাফ প্যান্ট পরে কারো বাসায় গমন আমার জীবনেচ এই প্রথম।তার আপ্যায়ন আজীবন মনে থাকবে ।
ফিরে আসলাম ঢাকায় , একগুচ্ছ সৃতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে । কষ্টের চেয়ে প্রাপ্তিই বেশি । পরিচিত হয়েছি নতুন কিছু মানুষের সাথে । নতুন ভাবে জীবন উপলব্ধি করেছি ।
দেখেছি প্রকৃতির রূপ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালাকে ।
সবাইকে অনুরোধ করব , অন্তত বান্দরবান সদরের ৬ টি স্পট পরিবার ও বন্ধুনবান্ধব নিয়ে ঘুরে আসুন । দেখুন বাংলাদেশ আর্মি কিভাবে অক্লান্ত পরিস্রম করে গড়ে তুলেছে ।


বাংলার পথে(পর্ব ১৬) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ক
বাংলার পথে(পর্ব ১৭) -- বান্দরবান ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, খ
বাংলার পথে(পর্ব ১৮) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, গ
বাংলার পথে(পর্ব ১৯) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ঘ

কিছু প্রয়োজনীয় কথা :

* যাবার আগে ভালো করে সব জেনে যাবেন পরিবেশ পরিস্থিতি । পাহাড়ি- বাঙ্গালী প্রায় মারামারি লাগে ।
* প্রয়োজনীয় মোবাইল নাম্বার গুলো পূর্বের পোস্ট থেকে নিয়ে নেন এবং কাগজে লিখে সাথে রাখবেন ।
* পানির বোতল সবসময় সাথে রাখবেন ।
* অবশ্যই কেডস পরে যাবেন , কারণ পাহাড় ট্র্যাকিং এ স্যান্ডেল খুলে যাবে আর পায়ে ফস্কা পরে যাবে ।
* কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে খারাপ হোটেলে থাকবেন না , নিরাপত্তা অনেক জরুরি ।
* প্রয়োজনীয় ঔষধ নিবেন , ওডমাস , স্যালাইন , ফ্লাজিল , মুভ ক্রিম অবশ্যই ।
* কাপড় যত কম নেয়া যায় । কারণ বদলানোর সময় ও প্রয়োজন কোনটাই নেই । হালকা রঙের কাপড় নিন , ফুল প্যান্ট নেয়া ভেজাল বাড়ানো ছাড়া আর কিছু না ।
* বর্ষায় জোঁক ও মশার উপদ্রব বেশি ।
* বাঙ্গালী গাইড নেয়াই ভালো ।
* গাইডের ১ ঘণ্টা বলা মানে আমাদের জন্য ২ ঘণ্টা ।
* পাহাড়িদের ছবি তুলার আগে জিজ্ঞাসা করে নিবেন ।
* তরকারির ঝোল ও কলের পানি এড়িয়ে চলুন ।
* স্থানীয় তামাকের চুরুট ও বাংলা মদ " মহুয়া " পাওয়া যায়।
* কারো সাথে বিবাদে যাবেন না ।
* রুমা সদরে আর্মি , রুমা থানা ও বগালেক এ আর্মি ক্যাম্পে সশরীরে রিপোর্ট করতে হয় ( গাইডই তা করবে )
* রিপোর্ট করার সময় ক্যাম্পের ভিতর ছবি তুলবেন না ।
* অতিরিক্ত একটা চশমা ( যদি পড়েন ) , মোবাইল ও ক্যামেরার ব্যাটারি রুমা থেকেই চার্জ দিয়ে নিবেন , কারণ আর পর আর কারেন্ট নেই ।
* রুমা পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক সব অপারেটরের থাকে । এর পরেই বিপদ । বগালেকের পর থেকে রবি আর টেলিটক পাবেন । কেওকারাডং এ শুধু টেলিটক , তবুও হালকা ।
* গামসা গলাতে রাখুন , কারণ তা ব্যাগ কোমরের সাথে বাঁধতে ও ঘাম মুছতে কাজে দিবে ।
* যে কোন সমস্যায় আর্মিকে জানান । বান্দরবান সদর থানা ০৩৬১-৬২২৩৩
* পাহাড়িরা খুবই বিশ্বাসী । আপনি যদি টাকা ও কোথাও ফেলে যান , ঐ টাও ফিরে এসে পাবেন । তাই ব্যাগ যে কোন দোকানে রেখে যেতে পারেন ।
* ৬ জনের দলে - বান্দরবান ৬ টি স্পট , বগালেক , কেওকারাডং , জাদিপাই , ৪ দিন ৩ রাত খরচ হবে ৫০০০+ টাকা ।
দয়া করে পরিবেশ নোংরা করবেন না । চিপসের প্যাকেট , কলার খসা , পলিব্যাগ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন ।
বিশেষ ধন্যবাদ-- লিফান প্রিন্স তানভীর জাবের ও সাদেক ভাইকে ।

ধন্যবাদ সকলকে । বানান ও গুরুচণ্ডালী দোষ মার্জনা করবেন । ;)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:৪২
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×