“নামাজের সময়ে নিজের শরীরকে অতিক্রম করে মানুষ বিশ্বজগতের সঙ্গে এক হয়ে যায়, যেখানে ধনী-দরিদ্রের, বয়সের, জাতির, ধর্মের কোনও ভেদ নেই।”
“যখনই মানুষ দেখে সে একা, প্রথমেই সে সঙ্গী খুঁজতে আরম্ভ করে। যখনই সে বিপদে পড়ে সে এমন কাউকে খোঁজে যে তাকে সাহায্য করতে পারে। যখনই সে দেখে পথ খুজে পাচ্ছে না, সে খোঁজে এমন একজনকে যে তাকে পথ দেখাতে পারে। যখনই যন্ত্রণা, তৃষ্ণা, আকাঙ্ক্ষা আসে তখনই আসে তার জন্যে বিশেষ সাহায্যকর্তা। দুঃখ-কষ্টে পড়ে আমার কাছে যারা আসে, অতিপ্রাকৃত যে সমস্ত শক্তিকে তারা প্রার্থনার সাহায্যে, অর্ঘ্য দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চায় আমি হই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম। এ আদৌ সঠিক পন্থা নয় এবং এই পথ অনুসরণ করা উচিত নয়। আমাদের অদৃষ্টে কী আছে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সে কথা চিন্তা করা এক জিনিষ, আর আমাদের আকাঙ্ক্ষা-পূর্তির পথ রোধ করেছে যে শত্রু, আমাদের নিজেদের মধ্যেই তাকে অনুসন্ধান করার মতো দৃষ্টি লাভ করা, এ অন্য জিনিস।”
“জীবনে কৃতকার্য হতে গেলে, ফল লাভ করতে গেলে, তিনটি প্রবল শক্তিকে নিজের আয়ত্তে আনতে হবে।
-আকাঙ্ক্ষা
-বিশ্বাস
-প্রত্যাশা।”
“বিশ্বাস থাকলে তুমিও নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে।”
“বেঁচে থাকাকে উপভোগ করো।”
“আমি বিস্মিত হয়ে ভাবি, অনেকে একথা কেন মনে করেন যে, বিজ্ঞান মানুষকে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়? আমার যা মনে হয়, বিজ্ঞান সর্বদাই হৃদয়ের মধ্যে দিয়ে পথ করে যেতে পারে। আমার দৃষ্টিতে বিজ্ঞান চিরকালই আধ্যাত্বিক সম্পদ এনে দেয় আর আত্মোপলব্ধি দান করে।”
“অন্যদের যে জানে সে পন্ডিত, কিন্তু জ্ঞানী হল সে-ই, যে নিজেকে জানে। জ্ঞান না থাকলে বিদ্যায় কোনও কাজ হয় না।”
“আল্লাহর ওপরে আশা রাখো, তিনিই তোমার ভবিষ্যতের পথ আলোকিত করবেন।”
“আকাংখা যখন হৃদয় থেকে, অন্তর থেকে আসে, যখন সে আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়, একাগ্র হয়, তার এক ভয়ংকর বিদ্যুত-চুম্বকী শক্তি জন্মায়(Electro-magnetic energy)। মনের ঘুমন্ত অবস্থায় সেই শক্তি প্রত্যেক রাতে মুক্ত হয়ে ইথারের মধ্যে প্রবেশ করে, মহাজাগতিক হয়ে বিভিন্ন স্রোতধারায় তার শক্তিবৃদ্ধি হওয়ার পর প্রত্যুষে আবার সচেতন মনে ফিরে আসে। মনশ্চক্ষে যা দেখেছো তা অবশ্যই বাস্তবে আত্মপ্রকাশ করবে; তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারো, এ চিরদিন হয়েছে, আজও হবে। যেমন তুমি জানো সূর্য উঠবেই, বসন্ত আবার আসবেই।”
“তোমার যা নিয়তি তাকে স্বীকার করে নাও, তারপর তোমার জীবনে তুমি এগিয়ে যাও। বিমানবাহিনীর পাইলট হওয়া তোমার নিয়তি নয়। ভবিষ্যতে তুমি কী হবে এখনও তা প্রকাশ পায় নি। কিন্তু তা পূর্ব-নির্ধারিত। আজকের ব্যর্থতা ভুলে যাও, কেননা তোমাকে তোমার নিয়তি-নির্ধারিত পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ অত্যাবশ্যক ছিল। তার বদলে তোমার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যের সন্ধান করো। বৎস, নিজের সঙ্গে একাত্ম হও, ভগবানের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করো।”
- আব্দুল কালামকে স্বামীজি।
“আমি জানতাম নিজের সুযোগ আমাকে নিজেকেই সৃষ্টি করে নিতে হবে!”
“এতদিন পর্যন্ত আমি ভাবতাম আমাদের সামনে বাধাবন্ধনহীন অসীম সম্ভাবনা। এখন মনে হল, একটা বেশ বড় সীমাবদ্ধতা আছে। জীবনে অনেক সীমারেখা থাকে। কতটা ওজন তুলতে পারবো তার সীমা আছে, কত দ্রুত শিখতে পারি তার সীমা আছে। কত পরিশ্রম করতে পারি তার সীমা আছে, কতদূর যেতে পারি তারও সীমা আছে।”