সবসময়ই বুঝি আমার মতো দুই-চারটা থাকে যারা কোন খেলাই পারেনা...(কিন্তু খেলা দেখে)

সেভেন-এইটে তো হাঁকাও ভলিবল মাঠে গিয়ে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি করতাম...নাইন থেকে পালানোর শুরু...মাঝে মাঝে পালিয়ে হাউসে লুকিয়ে থাকতাম, মাঝে মাঝে ধরা খেতাম স্টাফদের কাছে.

একদিন আমি আর বাশাদ (আমার ৪বছরের রুমমেট) ধরা খাওয়ার পর (স্টাফের নাম ভুলে গেছি) স্টাফ বিরক্ত হয়ে পানিশমেন্ট না দিয়েই ফুটবল খেলতে নামায়ে দিল. ভালো, আমি আমার পছন্দের জায়গা লেফট ব্যাকে দাঁড়ালাম. ঐসময়ে কলেজের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার জাহাঙ্গীর হাউসের (নাম ভুলে গেছি আবারও) ১৭তম ইনটেকের ভাইয়া তেড়েফুঁড়ে বল নিয়া আসতেছেন দেখলাম..তো আমিও পজিশন নিয়ে ফেললাম যে কোন এ্যাঙ্গেলে ল্যাংটা মারলে তাকে ঠেকানো যাবে.. সবই ঠিক ছিল, শুধু গতিটা ছাড়া, ভাইয়া বল নিয়ে আগায়ে তো গেলেনই, উল্টা আমি চিত-পটাং

শয়তান বাশাদটা এইরকম কিছু একটার ধান্দাতেই বোধ হয় ছিল... ও দৌড়ে এসে মোটামোটি সিন-ক্রিয়েট করার চেষ্টা করলো, আর আমাকে সবাই মিলে ধরে উঠানোর পর যখন খেলা নতুন করে শুরু হবে , তখন বাশাদ আমাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে বলে স্টাফকে বুঝালো, আর ডাইনিং পর্যন্ত এসেই ওর ইউনিক স্টাইলে বলল "কিরে..(আমার টিজ-নাম), যাবি কি হাউসে নাকি হাসপাতালে???"

তো কি আর করা, চরম ইনজুরড এই আমি ন্যূনতম চিকিতসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে হাউসেই ফিরে গেলাম