ইসলামী রাজনীতি বন্ধের কথা এই মূহুর্তে যারা বলে তারা রাজাকারদের রক্ষার চেষ্টা করছে
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি ইসলামও সমর্থন করে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বৈরাচারী এরশাদের একটা ভণ্ডামী। জেনারেল এরশাদ এই ধারণা এনেছেন খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলো থেকে। যেমন বৃটেনের রাষ্ট্র ধর্ম খ্রিস্টান। সেখানে রাণী হলেন রাষ্ট্র এবং ধর্মের প্রধান। রাষ্ট্র ধর্মের ধারণাটা খ্রিস্টান জগতে এসেছে মূলত ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারে ব্যাটিকান সিটির সাথে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সংঘাত থেকে। খ্রিস্টধর্মে মূলগতহভাবে রাজনীতি না থাকায় এই সমস্যার উৎপত্তি। আমাদের সমাজে দ্বীনি জ্ঞানহীন পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিতরাই ইসলামকে ধর্ম ভেবে খ্রিস্টান সহ অন্যান্য ধর্মের সাথে তুলনা করে বিভ্রান্তিতে আটকে যান। ওদের অনেকের গীতা-বাইবেল পড়া থাকলেও কোরআন-হাদিস পড়া নেই বলে তারা ইসলামের মূল বিষয়টি বুঝতে পারে না। ভারতবর্ষের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের জনক এম এন রায় কিংবা বাংলার বিশিষ্ট্য চিন্তক রাজা রামমোহন রায়ের যে ইসলামী জ্ঞান ছিলো বর্তমান বাংলাদেশে অনেক মুসলিম নেতার ইসলাম সম্পর্কে এমন জ্ঞান নেই, তা আমাদের স্বীকার করতে হবে। কেউ চাইলে এম এন রায়ের ‘দ্য হিস্টোরিক্যাল রোল অব ইসলাম’ বইটি পড়তে পারেন। এই বই বর্তমানে বাংলায়ও পাওয়া যায়। এম এন রায় ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং রুশ বিপ্লবে লেনিনের সহযোগি ছিলেন। তিনি কোনদিন ইসলামকে রাজনীতিমুক্ত করার মতো বোকামী চিন্তা পর্যন্ত করেননি। বরং তিনি ইসলামের রাজনৈতিক চিন্তাকে মানুষের মুক্তির জন্য কাজে লাগানোর প্রেরণা নিজে অনুভব করেছেন এবং অন্যকে প্রেরণা দিতে ‘দ্য হিস্টোরিক্যাল রোল অব ইসলাম’ বইটি লিখেছেন। সবার উচিৎ এই বইটি পাঠ করা। এম এন রায় যে সত্যটি আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে বুঝলেন তা আমাদেরন মুসলিম বাম মার্কসবাদীরা এখনও বুঝলেন না। এখানেই আমাদের দুঃখ। এখানেই আমাদের ব্যর্থতা ।
ইসলাম মনে করে রাষ্ট্র হবে ইসলামিক। রাজনীতি হবে ইসলামিক। ইসলাম নিচক কোন ধর্ম নয়। ইসলাম হলো দ্বীন। আর দ্বীন বলা হয় পূর্ণাঙ্গ কোন জীবন ব্যবস্থাকে।
রাজাকারদের বিচার ধ্বংসের জন্য যারা ইসলামের উপর আঘাত করছে, ইসলামী রাজনীতি বন্ধের কথা বলছে তারা হয়তো রাজাকার, নয়তো রাজাকারদের এজেন্ট। ওরা চাচ্ছে জনগণের কাছে এই বিচারকে ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রুসেড হিসাবে চিহ্নিত করতে। সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে এদেশের মানুষ যেমন রাজাকার বিরোধী তেমনি নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী। শাহবাগের আন্দোলনকারীরা একথা জানেন বলে-ই নাস্তিক রাজিবেরও জানাজার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। এবং এই আন্দোলনের সাথে জনগণকে সংপৃক্ত করার জন্য তা জরুরী ছিলো। শাহবাগে যারা আন্দোলন করছেন তারা সবাই কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষী নয়। অনেক নামাজি কিংবা পূঁজারী ধার্মিকও আছেন। ফরিদ উদ্দিন মাসউদের মতো একজন কট্টর মৌলবাদিও গিয়ে সমর্থন করে এসেছেন। আজ যারা শাহবাগের জোয়ার দেখে ভাবছেন এই হলো ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহনের শ্রেস্ট সময়, তারা ভুল করছেন এবং বলতে হবে তারা রাজাকারদের বিচার বন্ধের চেষ্টা করছেন। যারা আজ ইসলামী রাজনীতি বন্ধের দাবী করছেন তারা গোপনে গোপনে রাজাকারদের এজেন্ট কি না তা খুঁজে দেখা প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে...
...বাকিটুকু পড়ুন
এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের...
...বাকিটুকু পড়ুন
আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।
হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন