একটু জলদি জলদিই লিখে ফেলছি ধারাবাহিকের খন্ডগুলো। চেয়েছিলাম একসাথে লিখতে তাই প্লটটা মাথায় আছে পুরোটাই কিন্তু তা অনেক বড় হয়ে যাবে বলে খন্ডগুলোর সৃষ্টি। পিসিতে হলে একসাথে লিখতাম। ট্যাবলেট সম্বল তাই খন্ডই সই।
৩য় খন্ডে কথা বলি একজন মিয়ানমারবাসীর ভাবনা নিয়ে। আমার একজন কোর্সমেট মিয়ানমারের ছিল। আমার দেখা পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। সবকিছুতেই হাসি, কোনকিছুতেই কোন অভিযোগ নাই। তার কাছে বাংলাদেশের কথা বললে মিটিমিটি হাসে সে। কারন কি জানতে চাইলাম। উত্তরে সে আমাকে দেখালো তার কাছে থাকা নানা রকম ঔষধ যেমন প্যারাসিটামল বা এই জাতীয়। সবই বাংলাদেশী। আমাদের দেশে স্বল্প মূল্যের। মায়ানমারেও স্বল্প মূল্যের অন্যান্য দেশ থেকে আসা ঔষধের তুলনায়।
একই কথা পোশাকাদির ক্ষেত্রেও। তার মতে মান ভালো, দাম কম.....এ কারনেই বাংলাদেশী পোষাক খুব জনপ্রিয়। তবে ইদানীং নাকি চায়নিজ পোষাকের আধিক্য বাড়ছে যদিও তার কাছে মানে সেরা বাংলাদেশী পণ্য।
মায়ানমারের বন্ধুটির ধারনা বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাগ্যবান, অনেক সুখী। আমি তাকে বলি, হ্যা সুখী আমরা, অনেক সুখী, কোনো কারন ছাড়াই এমনিতেই খুশী বাংলাদেশী হিসেবে।
তাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম মিয়ানমারে মুসলিম নিধন নিয়ে। উত্তর দেয়ার আগে তার মুখে এমন একটা ভাব চলে আসল যে মনে হল নিধনের কলকাঠি সেই নাড়ছে।অপরাধী অপরাধী ভাব নিয়ে স্বভাজাত মিটিমিটি হেসে সে সরি বলল। আর বলল, দেখো তোমরা কত সুখী, দেশের হয়ে কাউকে সরি বলতে হয়না। আমি বললাম তথাস্ত।
মাঝে মাঝেই বন্ধুটির মেইল পাই, একজন সুখী মানুষের মেইল। মিয়ানমার যাওয়ার কোনো সখ ছিলনা কখনোই ছিলনা তবে সুখী মানুষটাকে দেখতে একবার যেতে চাই। তাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার সুখী দেশ ভ্রমনের। কথা দিয়েছিল আসবে যদি অনুমতি পায়।
বাংলাদেশ সুখী দেশ...........আহা কি চমকিত ভাবনা আমার দেশকে নিয়ে এক প্রতিবেশীর। ভাবতে ভালোই লাগে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




