সকাল ৫টায় পৌছে গেলাম বেনাপোল। তবে ৭টার আগে সীমান্তপথ অবমুক্ত না হওয়ায় ঘন্টা দুয়েক কাষ্টমস অফিসে জিরিয়ে নিলাম। ৭টায় সীমান্ত পার হলাম। আধাঘন্টায় সকল কাজ শেষ করে ভারতীয় সীমান্তে বসে কলকাতাগামী বাসের অপেক্ষায় থাকলাম। আশপাশ ঘুরে দেখলাম। অবশেষে বাস ছাড়ল সকাল ৯.৩০ মিনিট ভারতীয় সময়ে। শ্যামলী পরিবহনের এসি বাস। বেশ আরামদায়ক।
বাস চলতে শুরু করল। আমার ক্যামেরা ক্লিক চলতে লাগল। কিছুটা ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। বাসের থেমে যাওয়া ঘুম ভাঙ্গালো একসময়। যাত্রাবিরতিতে দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, সবজী আর মুরগী খেয়ে নিলাম। বাস আবারো চলতে শুরু করল আর দমদম আসামাত্রই যেন রাস্তায় নয়, অশান্ত সমুদ্রে বাস এসে পড়ল। এমন বেহাল রাস্তা আমি আগে দেখিনি বললেই চলে। যাই হোক, সমুদ্র পেরিয়ে দুপুর ২টায় কলকাতার মির্জা গালিব রোডে এসে বাস থেকে নামলাম। আমি চাইছিলাম জলদি স্টেশনে পৌছাতে তাই দেরী না করেই ট্যাক্সি নিয়ে নিলাম। পথে যেতে চোখে পড়ল কলকাতা শহর। চলল ক্যামেরা ক্লিক।
স্টেশনে পৌছে গেলাম আধা ঘন্টায়। ওয়েটিং রুমে গিয়ে লাগেজগুলো একসাথে লক করলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ১ম শ্রেণীর এসি টিকেট বিধায় বাথরুম ঝকঝকে-তকতকে ছিল যেটা আগে সাধারন ক্লাসে যাত্রাকালীন পাইনি। এরপর এদিক-ওদিক ঘুরলাম, ছবি তুললাম। কিছু হালকা খাবার কিনলাম। মাঝে দেশে ফোন করলাম কেমন আছি জানাতে।
রাজধানী এক্সপ্রেসের অনেক নাম শুনেছি তাই কিছুটা আগেভাগেই ট্রেনে উঠে নিজের লাগেজ গুছিয়ে ট্রেনটি ঘুরে দেখলাম। ট্রেন ছাড়ার আগে ডগ স্কোয়াড এসে পুরো ট্রেন চেক করল। সাবমেশিনধারী নিরাপত্তারক্ষীরা উঠে পড়ল আর টহল দিতে লাগল।ঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়ল। সহযাত্রী হিসেবে পেলাম এক বক্সারকে। তবে আমি ব্যাস্ত হয়ে গেলাম ট্রেনটিতে সদ্য দেওয়া ওয়াই-ফাই সুবিধার খোজে। কিন্তু আমাকে হতাশ করে ঘোষনা এল সাময়িক অসুবিধার কারনে ওয়াই-ফাই কাজ করছেনা। কি আর করা! জানালা দিয়ে দেখতে লাগলাম ট্রেনের ছুটে চলা..(চলবে)
**আগামী পর্বে থাকছে রাজধানী এক্সপ্রেসে ভ্রমনের বৃত্তান্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



