somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম ভারত ভ্রমণের আখ্যান......... (১০ বর্ষ পূর্তির জন্য লেখা)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাবনার শুরুঃ

সময়টা ২০১০। অফিসে কাজের বয়স প্রায় ৬ মাস। ফেসবুক তখনও এতো জনপ্রিয় আর সহজ লভ্য হয়ে ওঠেনি। আর ভ্রমণের আগে তথ্য, উপাত্ত, আলাপ-আলোচনা করে যে কোথাও যেতে হবে সি পরিপক্কতাও গড়ে ওঠেনি। যে কারণে স্বপ্নের সমাধি করে আশ্চর্য সমাধিতে গিয়ে পূর্ণতা পেল সেবারের সেই ভ্রমন। আমরা ছয়জনের। আজ এখানে সেই গল্পটাই করবো।

দেশে তো বেশ ঘোরাঘুরি হয়েছে। চলেন এবার দেশের বাইরে কোথাও যাই? সবাই এক লাফে রাজী হয়ে গেল! কিন্তু দেশের বাইরে মানে কোথায়, এতো টাকা পয়সা কোত্থেকে আসবে? আর প্লেন ভাড়া! সারা বছরের স্যালারি এক করেও তো প্লেন ভাড়া আর অন্যান্য ভ্রমন খরচ কুলিয়ে ওঠা যাবেনা! তাহলে বিদেশ কিভাবে হবে? দেশেই হোক।

প্রস্তুতিঃ

আরে ধুর দেশের বাইরে যেতে হলে যে প্লেনেই যেতে হবে এমন কি কথা আছে নাকি? আর খরচও তেমন বেশী হবে বলে মনে হয়না। কোথায় তবে, সেই বিদেশ? চলেন ভারত যাই? খুব বেশী খরচ হবে বলে মনে হয়না। এই ধরেন ২০০ ডলারে হয়ে যাবে?
কিন্তু ভারতের কোথায় যাবো, এতো বড় একটা দেশ, আর এতো এতো কিছু আছে দেখার, কোথায় যাবো আর কোথায় যাবনা? চলেন সিমলা-মানালি যাই? অনেক অনেক সুন্দর। সিনেমায় দেখেছি। উহ স্নোফল, বরফ পাহাড়, উঁচুনিচু আঁকাবাঁকা রাস্তা আর পাইনে পাইনে সুশোভিত সম্মোহন জাগানো সৌন্দর্য! সবাই এক কথাতেই রাজী। কিন্তু সবার তো পাসপোর্ট নাই তবে? তবে আর কি পাসপোর্ট করতে দাও সবাই।

পাসপোর্টের অপেক্ষা আর স্বাভাবিক বিড়ম্বনার দেড় মাসের মাথায় পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম সবাই-ই। ফেব্রুয়ারি ২০১১ তে সবাই উঠে পড়ে লাগলাম ভারত যাবো ভারত যাবো। পুরো অফিসে আমাদের ভারত যাবার উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়লো! যেটা আমাদের আরও বেশী উজ্জীবিত করলো। আর স্বপ্নের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল আরও বহু-বহু দূর। এপ্রিলের শেষে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। অফিসে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হল। যেটা সব সময়ই হয়ে থাকে। এবার আমাদের উত্তেজনা একেবারে তুঙ্গে!

গুরুর সাথে, পিছে পিছেঃ

ছয় জনের মধ্যে মাত্র একজনের একবার ভারত ভ্রমণের স্বল্প অভিজ্ঞতা আছে। তার ইচ্ছা আর উপদেশ মত সব কিছু হচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। তার আজমির ভ্রমণের বিভিন্ন গল্পের মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল, দিল্লী থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে কলকাতা ফেরার অভিজ্ঞতাটা। যা আমাদের বাকী সবাইকেই আচ্ছন্ন আর আকর্ষিত করেছিল দারুণ ভাবে! আর সবাই মিলে মনস্থির করেছিলাম যে আর যাই হোক, না হোক রাজধানী এক্সপ্রেসে উঠতেই হবে।

টিকেট কাহিনিঃ

নির্ধারিত দিনের সোহাগ পরিবহনের ভলভোর টিকেট কাটা হল অনেকটা আচমকা ভাবেই! কারণ টিকেট কাটার সময় সবাই একসাথে যেতে চাইবে! তাই এই বিড়ম্বনা আর ছেলে মানুষী এড়াতে টিম লিডার হুট করে টিকেট কেটে নিয়ে এলেন একদিন। যেহেতু সবার পাসপোর্ট ওনার কাছেই ছিল। তিনি টিকেট কেটে এনে ওনার অফিস থেকে আমাদের অফিসে ফোন দিলেন যে আমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে! ওনাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলাম। কিন্তু তিনি শুধু হাসেন, কিছুই বলেন না! আমরা তো এবার অস্থির আর উন্মাদ প্রায়! কি ব্যাপার, কিসের সারপ্রাইজ সেটা জানতেই হবে?

দল বেঁধে ওনার অফিসে চলে গেলাম। ওনার কাজ থামাতে সরাসরি ইউপিএস অফ করে দেয়া হল! আগে সারপ্রাইজ বলেন, তারপর কাজ! না বলা পর্যন্ত কোন কাজ করতে দেবনা আর আমরাও এখান থেকে যাবনা! এবার তিনি নিরুপায় হয়ে বলেই দিলেন যে ভারতে যাবার টিকেট কেটে ফেলেছেন! উহ কিজে ছিল ওনার মুখ থেকে শোনা সেই কথাগুলো, ভীষণ ভীষণ রোমাঞ্চকর আর উত্তেজনার বারুদে ঠাসা! কই টিকেট দেখি দেখি ক্যামন ভারতে যাবার বাসের টিকেট?

তিনি এবার উত্তেজনার আগুনে দিলেন এক বালতি পানি ঢেলে! কি রকম? তিনি টিকেট কেটেছেন কিন্তু অফিসে নিয়ে আসেননি, সবাই দেখলে টিটকারি করবে বলে! আমরা পাঁচজন রাগে, ক্ষোভে আর দুঃখে সেই মুহূর্তে সমস্বরে ওনাকে জরিমানা ধার্য করেছিলাম যে ভারতে গিয়ে একটা গ্র্যান্ড ডিনারের স্পন্সর করবেন তিনি! আমাদের রোষের মুখে তিনি জরিমানা গ্রহন করে তখনকার মত নিস্তার নিলেন। কিন্তু আগামীকাল টিকেট না নিয়ে এলে ওনাকে অফিসের গেটে ঢুকতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দিয়ে দেয়া হল!

টিকেট, ফটোশুট আর ফেসবুকঃ

পরদিন সকালে গ্রুপের পাঁচজন আগেই অফিসে এসে হাজির আর টিম লিডারকে ফোন দিয়ে দিয়ে অস্থির করে তোলা যেন, টিকেট নিয়ে আসে না হলে তার খবর আছে? তিনি বারবার আসস্থ করলেন যে নিয়ে আসবেন। কিন্তু আমরা নাছোড় বান্দা, একজন ফোন ছাড়ে আর একজন ফোন করে, এভাবে উপোরজপরি ফোন আর ফোন! পুরাই পাগলামিতে পেয়েছিল সেদিন! অবশেষে তিনি সকালের নাস্তা না খেয়ে আর দুপুরের খাবার না নিয়েই বাসা থেকে বের হলেন যেটা তিনি কখনোই করেন না! টিকেট নিয়ে! যত তারাতারি পারে নিজেকে আমাদের অত্যাচার থেকে নিস্তার দিতে!

আহ, অনেক অনেক কাঙ্ক্ষিত আর স্বপ্নের ভারত ভ্রমণের টিকেট হাতে পেলাম! যেন কোনদিন বাসের টিকেট চোখে দেখিনি! এমনই অপরিপক্ক আর অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করলাম যে টিম লিডার তার সম্মান বাঁচাতে আমাদের রেখে দ্রুত চলে গেলেন টিকেট গুলো দিয়েই! এরপর সবাই সেই টিকেট নেড়েচেড়ে দেখি, ছবি তুলি আবার টিকেটের সাথে সেলফিও! অবশ্য তখনও এই নিজে নিজে ছবি তোলার নাম সেলফি হয়নি! তখন এটাকে হাভাতেপনা বলা হত, যা এখন হালের ক্রেজ “সেলফি”।

এরপর সেই টিকেটের ছবি ক্যামেরা থেকে পিসিতে নেয়া। সেখান থেকে পেন ড্রাইভে করে নিজের পিসিতে নেয়া। তারপর ফেসবুকে আপলোড করে বন্ধুদেরকে জানানো! আসলে জানানো তো নয় ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে মারা! আর সবাই ঈর্ষার আগুনে পুড়ছে এটা ভেবে ভেবে আত্নসুখে বিলীন হওয়া! উহ দারুণ কয়েকটি দিন কাটিয়েছিলাম শুধু টিকেটকেই উপজীব্য করে! ভাবলে বা এখন মনে পড়লে নিজেই নিজের কাছে লাজে মরে যাই!

চরম উত্তেজনা আর সীমাহীন ভুলঃ

বৃহস্পতিবার অফিসের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে সাথে সেমিস্টার ব্রেকেরও ছুটি হয়েছে মোট সাত দিন। সেদিনই যাত্রা শুরু করবো স্বপ্নময় এক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। রক্ত গরম যেন টগবগ করে ফুটছে উত্তেজনা আর উন্মাদনায়। সকালে আসার আগেই ব্যাগ ট্যাগ সব গুছিয়ে রেখে আসা হয়েছে। পাসপোর্ট ও টিকেটের একাধিক করে কপি করে রাখা হয়েছে ট্র্যাভেল ব্যাগে, হ্যান্ড ব্যাগে আর নিজের পকেটেও। যার যারটা, তারতার কাছে।

ইস সেদিনের মত লম্বা আর গুমোট দিন যেন আর আসেনি জীবনে! এক একটি মিনিটকে মনে হচ্ছিল এক একটি দিনের চেয়েও লম্বা! প্রতি মিনিটে একবার করে ঘড়ি দেখি! যেখানকার কাটা সেখানেই আছে, নড়েইনা যেন? মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল সালার ঘড়িটা খুলে আছাড় মেরে তছনছ করে ফেলি! সকালের চা মনে হল বিষের পেয়ালা! অফিসের কাজকে আযাবের চূড়ান্ত আর দুপুরের খাবার যেন জলন্ত কয়লা! আসলে এমনই ছিল সেদিনকার সেই অস্থির আর অস্বাভাবিক আবেগের বহিঃপ্রকাশ!

যাই হোক একটি দিনকে বছরের বেশী সময় হিসেবে কোন রকমে পার করে বাসার পানে ছুট। একটু ফ্রেস আর খাওয়া দাওয়া দেশে সবাই একত্র হব কল্যানপুরে। এবারের সময়টুকু বেশ ভালোই কাটল। ফুরফুরে মেজাজে আর দারুণ আনন্দে। প্রথমবার ভারত যাবার টানটান উত্তেজনায়! রাত ৮:৩০ এ বেরিয়ে পড়লাম বাসা থেকে। ৯:৩০ মধ্যে সবাই কল্যানপুর এসে যাবে।

মোটামুটি সবাই পৌঁছে গেছে। এবার সবাই সবার পাসপোর্ট আর টিকেট বের কর, কাউন্তারে দেখাতে হবে। এখানেই প্রথম আর চরম ক্লাইম্যাক্স এর শুরু! কি? সবাই এসে গেছে, সবার পাসপোর্ট আর টিকেট হাতে বের করে চেক করছে, কিন্তু আমার টিকেট আছে পাসপোর্ট নাই! নাই তো নাই-ই। সারা ব্যাগ তন্নতন্ন করে খোঁজা হল। একবার বা দুই বার নয় বেশ কয়েকবার! পাগলের মত এর ব্যাগ ওর ব্যাগও খোঁজা শুরু করলাম। নাহ কোথাও নাই! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো, গুমরে গুমরে কান্না বেরিয়ে আসতে চাইলো, অজান্তেই দুই চোখ বেঁয়ে পানি ঝরতে লাগলো! পুরো পৃথিবীকেই তখন অর্থহীন, নারকীয় বিভীষিকাময় লাগছিল।

কোথায় পাসপোর্ট, কার কাছে দিয়েছিলাম, কে কে দেখেছিল আর কখন শেষ দেখেছিলাম? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্নে তখন জর্জরিত। অবশেষে মনে পড়লো যে ওটা অফিসের ড্রয়ারে সংগোপনে রাখা আছে, অতি যত্নের সাথে! এখন কি হবে? কে যাবে, আর আনবে অতদুর থেকে? সেই সময়ও তো আর নাই। আর এমনই একটা সেকশনে কাজ করি যে আমি আর আমার সহকারী ছাড়া আর কারো আমার অফিসে ঢোকার কোন রকম এখতিয়ার নাই। অফিসিয়াল গোপনীয়তার জন্য। কিন্তু আমার সহকারীও তো বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেছে সেই সন্ধাতেই! তবে?

অবশেষে টিম লিডারই পরামর্শ দিলেন, যে আমার বস যেহেতু জানে আমরা দেশের বাইরে যাচ্ছি। তাই ঘটনা খুলে বলে, অফিসের কেয়ারটেকার কে দিয়ে তালা খুলে, আমার ড্রয়ার থেকে পাসপোর্ট বের করে, যত দ্রুত সম্ভব সিএনজি নিয়ে কল্যানপুর চলে আসার জন্য।

বসকে খুলে বলাতে তিনি বুঝলেন এবং সম্মতি দিলেন। তবে শর্ত আছে! কি? আগে অফিসের করিডোরের সব লাইট জ্বালাতে হবে এবং অফিসের ভিতরেরও! কেন? যেন যা কিছু করবে বা ঘটবে সব যেন সিসি টিভিতে স্পষ্ট ধরা পরে! খুবই স্বাভাবিক আর যৌক্তিক আদেশ। বসের নির্দেশ আর আমাদের টানা মোবাইল ফোনের নির্দেশনা অনুযায়ী কেয়ারটেকার পাসপোর্ট খুঁজে পেলেন! উহ একটু যেন স্বর্গের আরামের উপলব্ধি পেলাম। এক ঘণ্টার মধ্যে পেয়েও গেলাম জানের জান পাসপোর্টকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম! বাস ছাড়তে আরও ৩০ মিনিট বাকী আছে এখনো!

আজব আর অদ্ভুত অনুভুতিঃ

ঢাকা থেকে কলকাতা কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই চলে এলাম। কিন্তু বেনাপোল সীমান্ত পেরনোর পরে এক অত্যাশ্চারজ অনুভূতি হতে শুরু করলো। যা দেখি তাই ভালো লাগে, যেদিকে তাকাই যেন সব নতুন নতুন! আসলে তো তেমন কিছুই না। আমাদের দেশের মতই, রাস্তা-ঘাট, দোকান-পাট, গাছ-লতা-পাতা আর মাঠ। কিন্তু সেতো এখন বুজছি ছয়বার ঘুরে আসার পরে। তখন এমনই লেগেছিল! এর চেয়েও বেশী আশ্চর্যের যেটা হয়েছিল, সেটা হল যেন ক্ষুধার অনুভূতিটাই মরে গিয়েছিল! হ্যাঁ আসলেই তাই। খুধাই লাগেনা আমার। পেট আর পাকস্থলী যেন বাংলাদেশেই রেখে এসেছি!

সবাই খায়, আমি খাইনা কিছুই। আমি শুধু দেখি আর দেখি। ভাবি আর ভাবি। কি ভাবি কে জানে? শুধুই অনুভব করি, সুখ সুখ আর সুখ। বাংলাদেশ ছেড়ে প্রথমবার অন্য কোন দেশে আসার এক অপার্থিব সুখ আর আবেগ আমাকে আবিলুপ্ত করে রেখেছিল। রেখেছিল মোহে অন্ধ আর বোধহীন করে প্রায়।

স্বপ্নের সমাধি, স্বর্গীয় সমাধিতেঃ

কলকাতা পৌঁছে প্রথমেই গেলাম রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকেট কাটতে। উদ্দেশ্য দিল্লী গিয়ে, জীপ রিজার্ভ করে সিমলা আর মানালি যাবো। তখনো জানিনা যে কলকাতা থেকে দিল্লী যেতেই দের দিন লাগে প্রায়! আর দিল্লী থেকে সিমলা একদিন!! সিমলা থেকে মানালি আরও একদিন!!! আর খরচ? সেই আমাদের সকলের সাধ্যসীমার অনেক অনেক বাইরে। তার মানে কলকাতা থেকে দিল্লী-সিমলা-মানালি হয়ে আবার ফিরে আসতেই সময় লাগবে সাত দিনের উপরে। কোথাও একদিনও থাকাতো অনেক পরের ব্যাপার! আর যে টাকা আমাদের সবার আছে তা দিয়ে শুধু যাওয়াই হলেও হতে পারে, ফিরে আর আসা যাবেনা! সুতরাং সিমলা-মানালির স্বপ্নের ওখানেই সমাধি!

তবে কোথায় যাই? কিভাবে যাই আর কতদিনের জন্যই বা যাই? সেটা ভাবছি আর একে অন্যের সাথে তর্ক করে উষ্ণ সম্পর্কের তিক্ততা বাড়াচ্ছি। এই দেখে ট্যুর অফিস আর মুদ্রা বিনিময় দোকানের দাদা পরামর্শ দিলেন, আমরা তবে সোজা আগ্রায় গিয়ে, তাজমহল দেখে আসিনা কেন? বাহ, সুন্দর এবং সময়উপযোগী পরামর্শ। প্রস্তাব আর খরচের কথা শুনে আর উল্লাসিত। কারণ যে টাকা আছে, তা দিয়ে আগ্রা-দিল্লী ঘুরে এসেও বেশ কিছু বেঁচে যাবে কেনাকাটার জন্য! তবে বেশ তো, চল তাজমহলই দেখে আসি এবারকার মত। এক স্বর্গীয় সমাধি!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×