বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো (সব নয়) চলছে তাদের ইচ্ছামত। কোথাও দেখা যাচ্ছে যে সাব্জেক্ট খুলছে তার কোন টিচার নাই। আবার কোথাও সাধারন ডিগ্রী পাশ করা লোকজন প্রফেসর বা ডীন হয়ে বসে আছে। এসব হচ্ছেটা কি। আমার এক বন্ধু ঢাকার প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই. তে পড়ে। সেখানে ভর্তির সময় তাকে বলা হয়েছিল যে তার সাথে আরো দশজন ভর্তি হয়েছে কিন্তু ভর্তির পর সে দেখতে পেল স্টুডেন্ট তো কেউই নাই তার সাথে একজনই টিচার আছে ডিপার্টমেন্টে যে কিনা চেয়ারম্যানও বটে সে Physics এ অনার্স করছে। তো এরকম মানুষ দিয়ে কি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো সম্ভব। আর ল্যাব বলতে বিভিন্ন রুমের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলানো যে এই ল্যাব সেই ল্যাব কিন্তু তালা দেয়া সেই সব রুমে ভাঙা চেয়ার টেবিল ছাড়া আর কিছুই নাই। আর তাদের ক্লাস নাকি একই সাথে একি টাইমে দু তিনটা থাকে ক্লাস থাকে আসলে টিচার না থাকায় কৌশলে ক্লাস না করানোর ফন্দি আর কি। আরো শুনলাম সে একটি বিষয়ে ৯৫ পেয়েছে কিন্তু সে মোট ৭০ নাম্বার এর উত্তর করেছিল। তাহলে কিভাবে এটা সম্ভব? তারা নাকি বাড়তি টাকা পেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এমন কি দু তিন বছরে কোর্স কমপ্লিট করে দেয়। আবার পাশ করা ছাত্রদের তারা যে সার্টিফিকেট দিযেছে তাতে ভিসির স্বাক্ষর এর জায়গায় ভাইস চ্যান্সেলর বানানটিই ভুল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকলে সমাবর্তন করা যায় না। কিন্ত তারা ভাড়া করা বিল্ডিং নিয়ে সমাবর্তনও করে ফেলেছে। কি হচ্ছে এসব? আসলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো সুন্দর একটা বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে কিছু সুন্দর মহিলা রিসিপশনিস্ট দিয়ে সাজসজ্জা করলেও ভেতরকার অবস্থা হচ্ছে এই। এভাবে তারা ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ব্যাবসা করছে এগুলো দেখার কি কেউ নাই? বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাজ টা কি?
আর প্রাইম, গ্রীন, রয়েল, কুইন্স, ভিক্টোরিয়া এসব ইউনিভার্সিটি এখনই বন্ধ না করলে ভবিষ্যৎ পরিনতি খুবই খারাপ।সরকারের মন্ত্রী বা এম.পি. হলেই এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাবসা করবেন এটা আবার কোন নিয়ম?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




