গাড়ী উৎপাদন তাও আবার বাংলাদেশে একটি অকল্পনীয় বিষয়! শুধু তাই নয় গাড়ীটি আবার জ্বালানী বিহীন এটি তো আরো আশ্চর্যের বিষয়! না এসব আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। উত্তরবঙ্গের প্রধান শহর বগুড়ায় এটি নির্মিত হয়েছে। আর এই বিশাল কাজটি করেছেন বগুড়াসহ সারা বাংলাদেশের স্বসামধন্য প্রতিষ্ঠান রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ।
ইতোমধ্যে গাড়ীটির ৮ লাখ ক্রেতার অর্ডার থাকলেও সরকারী অনুমতির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এই যদি হয় সরকারী সহযোগীতার অবস্থা তবে দেশ এগিয়ে যাবে কিভাবে? পার্শ্ববর্তী দেশ গুলো যখন নতুন নতুন উদ্ভাবনকে উতসাতিক করছে দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য ঠিক সেই সময় আমরা ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। দেশটাকে লুটেপুটে খাওয়ায় যেন আমাদের দেশের রাজনীতির মূল লক্ষ্য । আশাকরি একদিন বাংলাদেশের সুদিন নিশ্চয় আসবে । যেদিন দেশের সাধারন মানুষ তাদের সৃজনশীলতার পুরষ্কার নিশ্চয় পাবে। রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপকে ধন্যবাদ এরকম একটি জ্বালানীবিহীন গাড়ী উদ্ভাবনের জন্য এবং একইসাথে অনুরোধ করছি হতাশ না হতে । লেগে থাকলে নিশ্চয় তার প্রতিদান পাবেন।
গাড়ীটি সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য
গাড়ীটি একটি টিভি চ্যানেলে ভিডিওতে দেখুন-
চার চাকার এই গাড়িটি ২৫ টাকার কার্বনদণ্ডে চলবে আট ঘণ্টা। এ গাড়িতে ডিজেল, পেট্রোল বা অন্যকোনও জ্বালানির ইঞ্জিন অয়েল প্রয়োজন নেই। ঘণ্টায় চলবে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে।
জ্বালানি হিসেবে যেই কার্বনদণ্ড ব্যবহৃত হবে সরকারের অনুমতি পেলে তা পাওয়া যাবে দেশের যেকোনও স্থানের গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রির (মটর পার্টস) দোকানে। ২০০ কেজি ওজনের এ গাড়ি পাকা ও কাঁচা রাস্তায় অন্য গাড়ির মতোই চলবে স্বাভাবিক।
শব্দবিহীন এবং পরিবেশবান্ধব এই গাড়িটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য ২০০৭ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও কোনও জবাব মেলেনি। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে তিনি আরেক দফা আবেদন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে। সেখান থেকেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, প্রায় দেড় বছর গবেষণা চালিয়ে তৈরি করা এই গাড়িটি ২০০৬ সালে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রথম প্রদর্শন করা হয়। তখন গাড়িটি দেশি-বিদেশি দর্শকদের বেশ আকর্ষণ করে। এরপর ২০০৮ সালে ঢাকায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মেলায় আমির হোসেনের কাছে এ গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেয় প্রায় ৪০০ ক্রেতা। কিন্তু সরকারের অনুমতি না থাকায় তাদের কাছেও গাড়ি বিক্রি করতে পারেননি আমির হোসেন।
আমির হোসেন জানান, গত আট বছরে সামাজিক গণমাধ্যমে এ গাড়ি কেনার জন্য প্রায় আট লক্ষাধিক ক্রেতা যোগাযোগ করেছে কিন্তু অনুমতি না থাকায় কোনও প্রস্তাবই গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ভারতের টিভিএস, জার্মান, কোরিয়া, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি যৌথভাবে জ্বালানিবিহীন এ গাড়ি তৈরি এবং বাজারজাত করতে প্রস্তাব করেছে কিন্তু দেশের কথা বিবেচনা করে সে প্রস্তাবেও সাড়া দেননি তিনি।
আমির হোসেন জানান, গাড়িটির সব যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করা সম্ভব। মানভেদে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা দামের এ গাড়িটির আয়ুষ্কাল প্রায় এক যুগ।
তথ্যসুত্র: ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮