
আমরা সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিকে অতিক্রম করেই জয়ী হব ১৯ মার্চ, ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে । আমাদের বাধার শেষ নেই। তবুও আশা করি আমরা জিতব।

বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মনোবল চাঙ্গা। আমাদের হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশ যদিওবা হারে তবে সারা বাংলাদেশের সকল জনগন আমাদের ক্রিকেট দলের পাশেই থাকব।
কিন্তু যদি ভারত হারে তবে ১২০ কোটি জনগনের কান্নার রোল পরে যাবে আমাদের পাশের বাড়িতে। আমরা চাই তারা কাঁদুক ১৯ তারিখে!
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত এবং আইসিসি উভয়ই। কিভাবে?
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অস্ট্রেলিযায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যায় ভারত। কারণ, নিজেদের ওই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া। কিন্তু সেখানে একের পর এক নাস্তানাবুদ হয় ধোনির দল। পুরো সিরিজ জুড়ে ভারতের খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স ছিল যাচ্ছেতাই। সেই দলটিই বিশ্বকাপ শুরু হতেই রাতারাতিই বদলে গেল। তাদের খেলা দেখলে মনে হয় তারা হাতে জাদুর কাঠি পেয়েছে। সেই জাদুর কাঠির স্পর্শেই এতো ভালো খেলা শুরু করেছে তারা। বিশ্বকাপে কোনো দলই তাদের সামনে এখন পর্যন্ত দাঁড়াতেই পারলো না। গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো ধোনি বাহিনী।
তাদের এই পারফরমেন্সের পেছনে আইসিসির দেয়া বাড়তি সুবিধাকে দায়ী করেছেন অনেকেই। পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড় বলেন, বিশ্বকাপে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তাদের অনুকূলে পিস তৈরি করা হচ্ছে। অবশ্য ওই খেলোয়াড়ের অভিযোগকে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তার কারণ, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সিডিউল দেখলেই বোঝা যায়।
বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগে তৈরি করা সিডিউল ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে কেবল ভারতীয় দলকে বাড়তি সুবিধা দিতে।
কিভাবে বাড়তি সুবিধা পেল ভারত?
কোয়ার্টার ফাইনালের পুরো সিডিউলই পরিবর্তন করে ফেলেছে আইসিসি। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ মেলবোর্নে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। কিন্তু পূর্বের সূচি অনুযায়ী ২১ মার্চ শনিবার ‘এ’ গ্রুপের চার নম্বর দল হিসেবে ওয়েলিংটনে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। মেলবোর্নে খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানের। সিডনিতে খেলার কথা নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এছাড়া অ্যাডিলেড ওভালে মুখোমুখি হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলংকার।
কিন্তু ভারতের সুবিধার্থে আইসিসি আমুল বদলে দিল কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি। ভারতের ইচ্ছা, মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে তারা। সে ইচ্ছা পূরণ করতেই ভেন্যু এবং তারিখ পরিবর্তন করে দেয়া হলো। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী মেলবোর্নেই ভারতের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে।
আম্পায়ারা যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে যায় অবাক হবার কিছু থাকবে না?
কেননা খেলার মাঠে থাকবে আইসিসি নির্ধারিত দুই আম্পায়ার এবং মাঠের বাইরে থাকবে টিভি আম্পায়ার। তারা যদি আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে আউট দিতে কোনো হেরফের করে তাহলে মাটি হয়ে যাবে বাংলাদেশের স্বপ্নের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা।
এর মধ্যে বাংলাদেশকে ছোট করে একটি ভিডিও চোখে পড়েছে। যা এরকম ছিল---
এর প্রতিবাদও হয়েছে এভাবে----
এসব মিথ্যাচার করে আমাদের মনোবল কোনভাবেই ভাঙ্গা যাবে না। কারন আমরা সাহসী জাতি। আমরা জয়ী হবই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



