somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেজর জিয়াকে কেন স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়? অন্য কেউ কেন নয়?

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




প্রিয় দেশবাসী,
আমি মেজর জিয়া বলছি।...আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় দেশের উদ্দেশে আমাদের আহ্বান, আমাদের ন্যায়যুদ্ধের সমর্থন দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন।...ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত।
সূত্রঃ- অলি আহাদ, জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫, পৃষ্ঠা ৪০৯।


১৯৭০-এর নির্বাচনে দেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সব ক্ষমতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে অর্পণ করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার জন্য আওয়ামী লীগ ইয়াহিয়া সরকারের সঙ্গে বহুবার আলোচনায় বসেছিল। সেদিন শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেছিলেন হয়তো সহজে ইয়াহিয়া সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু যদি ক্ষমতা হস্তান্তর না করে সে পরিস্থিতিতে কি করতে হবে সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হন পাক বাহিনীর হাতে। গ্রেফতারের পূর্বে দলীয় নেতারা শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চান পরবর্তী সময়ে কী কর্মসূচি। উত্তরে তিনি তাদের যার যার মতো আত্মগোপনের পরামর্শ দেন। সেদিন তাদের পরিকল্পনা থাকলে ২৫, ২৬ মার্চ কালরাতে ঢাকা শহর ও অন্যান্য শহরে লাখ লাখ নর-নারী, বুদ্ধিজীবী এবং শিশুর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ দিতে হতো না।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে মেজর জিয়াকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে বন্দরে পাঠান চট্টগ্রামের পাকিস্তানি কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া ও জেনারেল আনসারী। পথিমধ্যে আগ্রাবাদ ব্যারিকেডে অপেক্ষমাণ জিয়া ক্যাপ্টেন অলির নিকট থেকে বার্তা পেলেন শহরে সামরিক তত্পরতা শুরু করেছে পাকবাহিনী; বহু বাঙালিকে হত্যা করেছে। ঘটনা আঁচ করতে পেরে মেজর জিয়া মুহূর্তের মধ্যে বললেন, উই রিভোল্ট। আমরা বিদ্রোহ করলাম। ক্যাপ্টেন অলি, মেজর খালেকুজ্জামান ও মেজর মীর শওকত জিয়ার সঙ্গে হাত মিলালেন। ইতিমধ্যে তারা ব্যাটালিয়নের সব পাকিস্তানি অফিসারকে গ্রেফতার করেছেন। অতঃপর যোগাযোগ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হয় রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে যে, তারা মুক্তিযুদ্ধ করবে, বিদ্রোহ করা হয়েছে।

কিন্তু কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তখন কেউ বন্দি, কেউ পালিয়েছে অসহায় মানুষদের রেখে। পরে জিয়া ব্যাটালিয়নের অফিসার, জেসিও আর সৈনিকদের ডেকে ২৬ মার্চ ভোর ৩টার দিকে প্রথম ভাষণ দিলেন। পরিকল্পনার কথা বললেন। সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানালেন। সবাই উত্ফুল্লচিত্তে সায় দিলেন। এ সময় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রত্যয়ে সৈনিকদের প্রথম শপথবাক্য পাঠ করান। ওই শপথ অনুষ্ঠানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এ কারণেই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। সূত্রঃ- দেশনেতা জিয়াকে দেখেছি;আহমেদ মীর্জা খবীর, পৃ. ১০৫।


এরপর ৩৫ বছর বয়স্ক জিয়া জাতির সে চরম মুহূর্তে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন রেডিওর মাধ্যমে এ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হবে। জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সাহায্য করতে হবে। তাই ২৭ মার্চ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যান। জিয়া সেখানে বিকালে এক বিবৃতি তৈরি করেন এবং বিবৃতির মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর সে ঘোষণার কতিপয় শব্দ আজও এদেশের মানুষের কানে বাজে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে লেখা:

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে আরো লিখেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা যিনি স্ব-চোখে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার লেখার কিছু লিংক এখানে শেয়ার করছি।


২৬ এপ্রিল ২০১৪, শনিবার, ১:১৫

২৭ এপ্রিল ২০১৪, রবিবার, ১১:৫৩


২৮ এপ্রিল ২০১৪, সোমবার, ১০:৪৪

১৯৭১: ভিতরে বাহিরে: লিখেছেন এ.কে খন্দকার যিনি কিনা ছিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের উপসেনাপতি। বই লেখার মাশূল তাকে যেভাবে দিতে হচ্ছে। বইটিতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বিস্তারিত বিবরন দিয়েছেন। শহীদ জিয়া কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দিলেন তারও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। সত্য ইতিহাস বাংলাদেশের সকল প্রজন্মকে জানাতে হলে এভাবেই সাহস নিয়ে সত্য কথা বলতে হবে।



যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনেক কাছ থেকে দেখে ইতিহাস রচনা করেছেন তা অন্য যারা ঘরে বসে যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করেছেন তাদের চেয়ে অনেক বেশী বস্তুনিষ্ঠ এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

আশা করি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্য ইতিহাস জানাতে আগামীতে আরো বিবেকবান দেশপ্রেমিকরা নেতা-নেত্রীদের তোষামোদি ছেড়ে এগিয়ে আসবেন জনগনের পক্ষে।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×