somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার : ২য় পর্ব (গল্প)

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার : ১ম পর্ব
শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার : শেষ পর্ব (গল্প)
ভোর সাতটা । দিনের আলো এখনো পরিষ্কার হয় নি । মিরাজ আঙ্কলের কনফেকশনারি এইমাত্র খুলল । অনিক সেখানে এসে হাজির । স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে চোখ মুখ থেকে ঘুমের রেশ এখনো কাটে নি । আজ সে একা । মারুফ, শুভ, ইমরান— কাউকেই ডাকে নি । যদিও সে জানে, ডাকলে কাউকে না কাউকে পেয়ে যেত । একটা ভীষণ চিন্তা তাকে এক সপ্তাহ যাবৎ গ্রাস করছে । মায়া নিয়মত ফোন করছে; সকাল সন্ধ্যা আলাপ হচ্ছে— তবুও কেন জানি সমস্ত মনে খালি শূন্যতা । কোথায় জানি একটা মহা অতৃপ্তির জায়গা কেবলই প্রসারিত হচ্ছে । তার দেহ-মন ক্রমশই কাতর থেকে আরো কাতর হয়ে উঠছে । একটু তৃপ্ত হতে চায় অনিক । কিন্তু কীভাবে ? মায়া যে এক্কেবারি অন্য রকম । যদি তার মনের কথা বলতে গেলে বিগড়ে যায় মায়া; যদি তাকে লম্পট ভেবে দূরে সরে যায়— তখন কী উপায় হবে অনিকের ? সে তো মায়াকে ভালোবাসে । মায়াকে ছাড়া নিজের অস্তিত্বের কথা কল্পনাও করতে পারে না অনিক । মায়াকে সে তার সব কিছু উজাড় করে দিতে চাইছে, অথচ মায়া তার কিছুই নিতে চাচ্ছে না । এমন কি অনিকের ভিতরে যে বিপুল তৃষ্ণা জেগে উঠেছে তার একটুও কি মায়া অনুভব করে না ? এমন সময় ইমরানের কথা মনে পড়ে অনিকের । সেদিন আড্ডায় তো ইমরান বলেছিল... । তাহলে ইমরানকে এখন ফোন করা যাক । তাকে সব খুলে বলে দেখা যাক কোন সলুয়েশন পাওয়া যায় কিনা ।
১৫ মিনিট পর শুভকে সঙ্গে নিয়ে মিরাজ আঙ্কলের দোকানে হাজির হয় ইমরান । ‘কীরে, এত সকালে যে আজ, ব্যাপার কী ?’ চোখ কচলাতে কচলাতে জিজ্ঞেস করে ইমরান ।
‘বোস তোরা । ব্যাপারটা খুবি সেনসিটিভ । একটু ভেবে বলছি । চল ওই জায়গাটাই বসি ।’ ওরা তিনজন মিরাজ অঙ্কলের দোকান থেকে বেরিয়ে পড়ে ।
‘বলে ফেল, বলে ফেল । আমরা আমরাই তো । এত ভাববার কী আছে ।’ শুভ অনিককে তাগাদা দেয় ।
‘আচ্ছা বলছি । তবে...’
‘তাহলে এখন থাক । তোর মনে যে এত চুদুর-বদুর ।’ ইমরান বিরক্তি প্রকাশ করে । মুখে তাকালে স্পষ্টই বুঝা যায় আজ রাতে তার ভালো ঘুম হয় নি ।
‘আচ্ছা যা বলছি । ব্যাপারটা হল... কীভাবে যে বলি । ধর আমি মায়াকে একটা প্রস্তাব দিতে চাই । এখন সে এটাকে কীভাবে নিবে— এ ব্যাপারে আমি খুবি চিন্তাগ্রস্থ । প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ আমি চট-পটাচ্ছি; কিন্তু কী করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না ।’
‘ওকে বুঝেছি । প্রস্তাবটা কী সেটা বল ।’ ইমরান অনিকের মুখের দিকে চোখ তোলে ।
‘আমি ওর সাথে পিজিক্যাল রিলেশন করতে চাই । যেভাবেই হোক, আমি আর সহ্য করতে পারছি না । ব্যাপারটা আসলে মুখে বলে বুঝার মত নয় । প্লিজ এ ব্যাপারে আমাকে একটু হেল্প কর ।’
ইমরান ও শুভ বেশ উচ্চস্বরে হেসে উঠে । ‘দূর বেটা, এটা কোন ব্যাপার হল । তুই আসলেই একটা মহা আহম্মক । কী করে যে প্রেম-ভালোবাসার শখ জাগে তোগো মনে । আজকাল সব স্মার্ট প্রেমিক-প্রেমিকারাই তো এ ব্যাপারে... । আমি শুনে খুবি অবাক— তোদের মধ্যে এখনো ব্যাপারটা ঘটে নি । সত্যিই আমি খুবি ...’ কথাটা শেষ না হতেই শুভকে থামিয়ে দেয় ইমরান ।
‘শুন শুভ, তোর কথার সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই । কিন্তু অনিকের ব্যাপারটাকে এভাবে দেখলে হবে না । কারণ অনিক তার গার্লফ্রেন্ডের প্রতি কনফিডেন্ট না । তবে অনিককে কনফিডেন্ট হতে হবে ।’
‘কিন্তু কীভাবে দোস্ত ? তুই জানিস না, মায়া একেবারি অন্যরকম । তোকে কীভাবে যে বুঝাই ।’ অনিকের শ্যামবর্ণ মুখখানি রক্তবর্ণ হয়ে উঠে ।
‘এই বেটা, অন্যরকম মানে ! তুই কী জানিস— তোর দেহে এখন যে ক্ষুধা, সেটা ওর দেহে তিনগুন বেশি ।’ শুভ চেঁচিয়ে উঠে ।
‘আচ্ছা, এত কথা বাড়িয়ে লাভ নেই । অনিককে বলি, শুন । তুই যদি সত্যিই মায়াকে চাস, তবে আগে ওসব প্রস্তাব-টস্তাব না দিয়ে সরাসরি কাজ সেরে নিবি । একবার স্বাদ পেয়ে গেলে পরে তুই আর ওকে ডাকা লাগবে না, দেখবি তোকেই সে ডাকছে । তখন আর আমাগোরে লাগবে না তোমার । চুপে চুপেই একা সব... ।’ ইমরান বিজ্ঞের মত অনিককে বলে যায় ।
‘কিন্তু কীভাবে ?’ অনিকের চোখে মুখে ভয়ানক কৌতূহল । ........(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×