somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

Shahjahan Ali
মনের ভেতর অস্থিত কল্পনাগুলোকে লেখকেরা চেষ্টা করেন বই অথবা ব্লগের পাতায় পাতায় সুস্থিত রুপ দান করাতে। আমিও তেমনই একজন হওয়ার চেষ্টা করছি। জানিনা, সামনে কী অপেক্ষা করছে। ভয় না জয়? হতাশা নাকি সফলতা? তবুও এই অজানার মধ্য দিয়ে আমি অজানার পথে হেঁটে যেতে চাই।

গল্প: পরীক্ষা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.
দুটো ক্লাস বাকি থাকতেই ব্যাগটা নিয়ে খোলা ক্যাম্পাসে বেরিয়ে পড়ে রায়হান। বেশ খানিকটা এগিয়েও যায় দ্রুতপায়ে।
"রায়হান, এই রায়হান! দাঁড়া।" ক্লাসের প্রবেশমুখের কাছ থেকে চিৎকার দিয়ে বলে সাকিব। রায়হান থেমে যায়।
"তোর নাকি টিউশনি দরকার?" দৌড়িয়ে কাছে এসে বলে সাকিব।
"হ্যাঁ। কেন?"
"কেন আবার! তোর টিউশনি জোগাড় হয়ে গেছে।" মুচকি হাসি হেসে বলে সাকিব।
"সত্যি? আমার বিশ্বাস হচ্ছে নারে। আমার মত হতভাগা.... "
"আরে থাম থাম। পড়াবি কাকে শুনবি না?"
"হ্যাঁ, বল।" দমিয়ে রাখা কৌতূহলটা প্রকাশ করে রায়হান।
"আমার বড় বোন। কিন্তু পড়ে আমারও দুই ক্লাস নিচে। মানে এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী।" সাকিব ছোট করে উত্তর দেয়। সাথে সাথে প্রস্তুত হয়ে থাকে পরের প্রশ্নের উত্তরতম দেওয়ার জন্য।
"তোর বড় অথচ পড়ে তোর নিচে, আমাকে পাগল পেয়েছিস?" বিরক্ত হওয়ার অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে রায়হানের চোখেমুখে।
"জানি দোস্ত তুই এই প্রশ্নটা করবি। প্রত্যেকে এটুকু শুনেই আমার বড় বোনকে পড়াতে চায় না। আসলে আমার বোনের শারীরিক বৃদ্ধিতে সমস্যা আছে। রোগটার নাম ঠিক মনে পড়ছে না। তবে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে এই রোগীদের শারীরিক বৃদ্ধি থেমে যায়। এমনকি কণ্ঠও চেঞ্জ হয় না। গত পাঁচ বছর ধরে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরেছি। কত ফকিরকে দিয়ে ঝাড়-ফুঁক দিয়েছি। কাজ হয়নি। দেশের সেরা হরমোন বিশেষজ্ঞের কাছেও গিয়েছিলাম, সে তো সরাসরিই বলে দিয়েছে এ রোগের নিরাময় নেই। তারপর পারিবারিকভাবে আমরা ওর পড়ালেখাটা চালিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নিই।" দীর্ঘশ্বাস ফেলে সাকিব।
"হুম।"
"হুম মানে?"
"আমি পড়াচ্ছি। কবে থেকে আসব?"
"দোস্ত, তুই আমার যে উপকার করলি...
"আগে বল কবে কখন আসব।" সেই বিখ্যাত মুচকি হাসিটা ফিরে আসে রায়হানের মুখে।
"কাল থেকেই আয়। মাসের শুরু....

দুই.
কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে গাছে গাছে। প্রজাপতিরা পাতায় পাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপরই ডেকে উঠছে কোকিল 'কু কু' স্বরে। প্রেমিক প্রেমিকারা যুগলবন্দি হয়ে হাজারো ছবি তুলছে। কবিরা লিখছে কবিতা, লেখকেরা লিখছে মন মাতানো প্রেমের উপন্যাস।
বাংলা ক্যালেন্ডারের ফাল্গুন মাস অনুযায়ী এই ঘটনাগুলো ঘটার কথা থাকলেও আসলে তা হচ্ছে না। কারণ এটা বিভাগীয় শহর। আর শহরে গ্রামের পরিবেশ থাকতে নেই। তাই শহরের শহুরে পরিবেশের মধ্য দিয়েই হেটে চলেছে রায়হান। দুই মিনিট পরেই 'চৌধুরী ভিলা' নামক একটা বাড়িতে ঢুকে পড়ে ও। তারপর লিফটে করে চলে আসে চার তলায়। নির্দিষ্ট রুমের দরজাতে নক করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খুলে যায় সেটা। কাজের বুয়া তাকে তিথীর রিডিং রুমটা দেখিয়ে দিয়ে চলে যায়। রায়হান কিছু মুহূর্তের জন্য দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
"আসতে পারি?" নক করে তারপর বলে রায়হান।
"নক যেহেতু করেছেন, অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।" ভেতর থেকে রিনরিনে গলার একটা আওয়াজ আসে।
রায়হান ইতস্তত করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। সাথে সাথে এক দফা অবাকও হয়।মানুষও এত সুন্দর হয়!
"কী ভাবছেন?" রায়হানের ভাবনাতে বাঁধা দেয় তিথী।
"উমমম... কিছু না। আপনি আমাকে আপনি করে বলছেন কেন?" প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় রায়হান।
"স্যার ছাত্রীকে আপনি করে বলবে আর ছাত্রী স্যারকে তুমি করে বলবে এটা কেমন দেখায় না!" লাজুক ভঙ্গিতে উত্তর দেয় তিথী।
"হুম, আপনার কথায় যুক্তি আছে।"
"তাহলে মেনে নিচ্ছেন না কেন?"
"ওহ, আচ্ছা। ঠিক আছে। এবার থেকে তুমি করেই বলব।"
"খুশি হলাম। আচ্ছা তোমার কোন কোন বিষয়ে প্রবলেম বেশি?" কাজের কথাতে চলে আসে রায়হান। তিথী মনে মনে খুশিই হয়। তার পড়ালেখার ভবিষ্যত ভেবে।
"ফিজিক্সই কঠিন লাগে। আর সব পানিত মত।" উত্তর দেয় মেয়েটা। "আপনি চাইলে শুধু ফিজিক্সই পড়ব আপনার কাছে।"
"আচ্ছা, ঠিক আছে। এখন তোমার বইটা দাও তো, দেখি।"
"একটু বসেন ভাইয়া, আসছি।" তিথী উঠে চলে যায়।
প্রথম সম্বোধনটা 'ভাইয়া' হওয়াতে খুশি হয় রায়হান। অপেক্ষা করতে থাকে তিথীর প্রত্যাবর্তনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিথী ফিরে আসে। সাথে আসে চা, চানাচুর, বিস্কুট।
"কী দরকার ছিল এসব করার!" চোখেমুখে কৃত্তিম বিস্ময় ফুটিয়ে তোলে রায়হান।
"আরে নিন তো। প্রথমদিন বলেই দিলাম। এর পর থেকে আর পাবেন না।"
হাসিমুখে বলে মেয়েটা।
রায়হান এর পরেও থেমে থাকতে পারে না। এক কথায় ঝাপিয়ে পড়ে সামনে রাখা খাবারগুলোর ওপর। বিস্কুটের বাটিটা থেকে এক পিস তুলতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে যায় একখানা বিস্কুট। তাৎক্ষণিক রিফ্লেক্সে ওটা মাটিতে পড়ার আগে হাতে নিতে চাইলেও পারে না। কিন্তু টি-শার্টের ফুলহাতা হাতার কিছু অংশ উপরে উঠে গিয়ে বড় করে হাতের চামড়া কেটে লেখা 'T' অক্ষরটা প্রকাশিত হওয়া থেমে থাকে না।
"এটা কার জন্য?" চোখ বড় বড় করে প্রশ্ন করে তিথী।
"তোমার জন্য নয়। আপাতত এটুকুই জেনে রাখো। পরে একদিন এর ইতিহাস বলব।" উঠে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে রায়হান।
ঘটনার আকস্মিকতায় ঠোঁট দুটোর ফাক আরো বড় হয়ে যায় তিথীর। কিন্তু পরবর্তী প্রশ্নটা আর করতেপারে না। ততক্ষণে রায়হান বেরিয়ে গেছে।

তিন.
"তোর ছাত্রীর পারফরমেন্স কেমন?" নিরবতা ভেঙ্গে প্রশ্ন করে সাকিব।
"প্রেম টেম মনে হয় করবে না।" মুখ চেপে হাসে রায়হান।
"মানে?" অবাক হয় সাকিব।
"পাগলা, এক সপ্তাহে কি আর কিছু বোঝা যায়?" উত্তর দেয় রায়হান। "আরো কিছুদিন যেতে দে। তবে পড়াশোনার আগ্রহ আছে বেশ।"
"যাক, শান্তি পেলাম। কিন্তু তোর 'T' এর ইতিহাসটা কী রে? এতদিন তোর সাথে পড়লাম কিন্তু কোনদিনই তো বললি না।" আগ্রহ দেখায় সাকিব।
"তিথী বলেছে তো? কোন ব্যাপার না। কাল বিকালে বাসায় থাকবি?"
"হুম, কেন?"
"তোদের দুজনকে একসাথে কাহিনীটা বলব মনে করেছি। আসলে নিজেও মাঝে মাঝে মনটায় শান্তি পাই না। কাউকে বললে মনে হয় কষ্টটা কমবে।"
গলা ধরে আসে রায়হানের। একটু থেমে চোখ দুটো রুমাল দিয়ে মুছে আবারও বলতে শুরু করে,
"খুব ভালবাসতাম মেয়েটাকে। জানিস তো আমার কপালে বেশি সুখ সয় না। এত কষ্ট.." বলা শেষ করতে পারে না রায়হান। তার আগেই বন্ধুর বুকের মাঝে চলে যায়।
"বাচ্চাদের মত কাঁদিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।" সান্ত্বনা দেয় সাকিব।
"তাহলেই হলো।" চোখ দুটো আবারও পরিষ্কার করে রায়হান। "তাহলে কাল বিকালে, ওকে?
"ওকে।"

চার.
"ভাইয়া, আপনার 'T'...." বাচ্চাদের মত বায়না করে তিথী।
"তোমার ছোটুকে ডাকো।" আদেশ দেয় রায়হান।
উঠে গিয়ে সাকিবকে ধরে এনে সে আদেশ ঠিকমতই পালন করে মেয়েটা।
"হুম, বল।" অনুমতি দেওয়ার সুরে বলে সাকিব।
"মেয়েটার নাম ছিল তানিয়া..."
"ও, এই ইতিহাস তাহলে?" বাঁধা দেয় তিথী।
"হ্যাঁ। কাহিনী খতম।" হাসিমুখে বলে রায়হান।
"তুই থামবি?" তিথীকে ধমক দেয় সাকিব। "তুই বলে যা, রায়হান।"
"আমি তখন ক্লাস এইটে পড়তাম। সেবারে আমাদের বিদ্যালয় থেকে পদ্মার চরে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছিল পিকনিকের জন্য। আগের দুইবার না যেতে পারায় সেবার চেপে ধরেছিলাম বাবা-মা কে। রাজিও হয়েছিলেন উনারা। তবে আমার যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য ছিল- উমমম... তানিয়াকে সুন্দর সাজে দেখা। মেয়েটার বাবা ছিল ওই এলাকার চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের মেয়েকে ভালবাসবে একটা মুদির দোকানদারের ছেলে, তাদের মাঝে প্রেম প্রেম খেলাও জমে উঠবে এটা ভাবাই অন্যায়। তবু সবচেয়ে বড় অন্যায়টা আমি করে ফেলেছিলাম। ভালবেসেছিলাম মায়াবতীটাকে।

নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত সময়ে আমরা জার্নি শুরু করলাম। কুষ্টিয়ায় পৌঁছুতেই বেজে গেল বেলা দুটো। প্রথমেই রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে গিয়েছিলাম। তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু- 'পদ্মার চর'। আগ্রহ থাকার যথেষ্ট কারণও ছিল। পদ্মায় নেমে গোসল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আমাদের। তবে একশ মিটারের মধ্যেই। তৎক্ষণাৎ নেমে গিয়েছিলাম পদ্মায়। সাঁতার মোটামুটি জানতাম। আরো অনেকেই নেমেছিল। যাদের মধ্যে তানিয়াও ছিল। সময় শেষ হওয়ার পর সবাইকে চলে যেতে দেখলেও তানিয়াকে যেতে দেখলাম না তখন। দূরে একটা ঢিপির মত কিছু একটা ভেসে থাকতে দেখলাম। কাছে যেতেই বুকের ভেতরটায় ধ্বক করে উঠল। এটা তানিয়া! স্যারেরা ততক্ষণে মাইকে দুইবার ঘোষণা দিয়ে ফিরতি পথ ধরেছেন। আরো দুই তিনটা স্কুলের ছেলেমেয়ে ছিল বলেই ঐ পদ্ধতিটা গ্রহণ করা হয়েছিল। দূর থেকে শুধু স্যান্ডো গেঞ্জি দেখে আর কয়জনকেই বা চেনা যায়? তানিয়াকে উঁচু করে তুলে ধরে আমি ডুব সাঁতার দিয়ে পাড়ের দিকে এগোতে লাগলাম। অনেক কষ্টে পাড়ে তুললাম মেয়েটাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের শারীরিক শিক্ষা বইতে কিছু পদ্ধতি লেখা ছিল। মুখে মুখ পদ্ধতিটা স্যার নিষিদ্ধ করে দেওয়ার জন্য ঐটাই মনে ছিল। কাজে লাগালাম তৎক্ষণাৎ। তানিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে এলে ওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে গেলাম আমাদের বাসের কাছে। তখন স্যারেরা কিছু বললেন না। মজা বুঝলাম পরের কার্যদিবসে। আমাকে টিসি দেওয়া হলো খারাপ আচরণের অজুহাত দেখিয়ে। আসলে পরে বুঝেছিলাম সেটা তানিয়ার বাবার কারসাজি। আমার বাবা তখন আমাকে মামার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই আর এই।" দীর্ঘশ্বাসটা ছাড়ল রায়হান।
"ওই সময়েও মেয়েদের পানিতে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল?" অবাক হয়ে প্রশ্ন করে তিথী।
"আসলে ঐটা মিশনারিদের স্কুল ছিল।" সাবলীলভাবে বলে রায়হান।
"মানুষ এমনও হয়!" বিস্ময় প্রকাশ করে সাকিব।
"আজ তাহলে আসি দোস্ত।" উঠে বেরিয়ে যায় রায়হান। পেছনের দুই জোড়া চোখ তাকিয়ে থাকে তার গমনপথের দিকে।

পাঁচ.
"তাহলে কারো সাথে ঝুলবেন না?" প্রশ্ন করে তিথী। "১৪ই ফেব্রুয়ারি তো চলে যাচ্ছে। আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা।"
"এর সাথে সবসময়ই ঝুলে আছি।" হাতাটা উঁচু করে দেখায় রায়হান।
"একটু বসুন তো, আসছি।" চেয়ার থেকে উঠে যায় মেয়েটা। রায়হান বসে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে।
"আসতে পারি?" দরজাটা যে যাওয়ার সময় তিথী বন্ধ করে রেখে গেছে তা খেয়ালই করেনি সে। "হুম, আসো।" তড়িঘড়ি করে উত্তর দেয় রায়হান।
মেয়েটা ঘরে প্রবেশ করে ধীর পায়ে। রায়হান এক নজর চোখ বুলায় মাত্র। বেশিবার পারে না। চোখ ঝলসে যাচ্ছে। "একি! তিথীর হাতে লাল গোলাপ কেন?" মনে মনে ভাবে ও।
কিন্তু মেয়েটা বেশিক্ষণ ভাবার অবকাশ দেয় না। তার আগেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে। সাথে দুই হাতে ধরা গোলাপটা রায়হানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, "উইল ইউ ম্যারি মি?"
রায়হান ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। অল্পক্ষণ পরে সম্বিত ফিরে পেয়ে বলে, "তুমি আমার বন্ধুর বড় বোন। এটা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।"
"যদি আমি তানিয়াতে পরিণত হই? তখন?" প্রশ্ন করে তিথী।
"৬০ বছরের বুড়ি এসেও যদি আমাকে বলে এবং প্রমাণ করতে পারে সে আমার তানিয়া তবে আমি ঐ বুড়িকেই গ্রহণ করব।"
"আমার আইডি কার্ডটা দেখুন।" আদেশ করার ভংগিতে বলে মেয়েটা।
রায়হান টেবিলে রাখা আইডিটার উপর চোখ বোলায়।
'নাম- তানিয়া চৌধুরী তিথী
জন্ম - ২০শে মে ২০০০
শ্রেণি- একাদশ-দ্বাদশ
শিক্ষাবর্ষ- ২০১৬-২০১৭'
"হুম, দেখলাম। তোমার ভাই মিথ্যে বলল কেন তাহলে?"
"ঐটা ছিল তোমার পরীক্ষা।" এক লাফে তুমিতে চলে আসে তিথী।
"ভালবাসার পরীক্ষা। আর ঐটাতে তুমি ১০০ তে ১০০ পেয়েছ।" বলে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। তারপর ঝাপিয়ে পড়ে রায়হানের বুক লক্ষ করে।
"ওয়েট, ওয়েট।" দুই হাত ধরে তিথীকে থামায় রায়হান। "আমার আরো একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তুমি তানিয়া হতে পারবে।"
"বলো।"
"আমাকে তুমি খুঁজে পেলে কী করে?"
"আশিক। তোমার ঐ সময়ের বেস্ট ফ্রেন্ড।" মুচকি হাসে মেয়েটা।
সাথে সাথেই তানিয়ার হাত দুটো ছেড়ে দেয় রায়হান। অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে পৃথিবীর বুকে পড়ন্ত তানিয়াকে আশ্রয় দেয় নিজের সংকীর্ণ বুকে।
-----------০-------------
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০১
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×