চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ “হযরত থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক দরবেশ সাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন খুলিতে লাগিল । দরবেশ সাহেব চোরের হাত ধরিয়া বসিলেন । তা দেখে চোর ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ হইয়া মরিয়া গেল । দরবেশ স্বপ্নযোগে তার এক খলীফাকে আদেশ করিলেন চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে । খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছেরাত পার হইয়া যাইব?” (ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮ পৃঃ)
***তিনি আরো লিখেছেনঃ কেয়ামতের সেই মহাবিপদের সময় হক্কানী পীর সাহেবগণ আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন । এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ) তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬)
তিনি আরো লিখেছেনঃ “এরূপভাবে পরকালেও তাঁহাদের (ওলীদের) ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের হাজার গুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক মাফ করিয়া দিবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৮১)
বান্দা অসংখ্য গুণাহ করার ফলে আল্লাহ্পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না । পীর সাহেব আল্লাহ্ পাকের দরবারে অুননয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দুআ করিবেন, যাহাতে তিনি তাহাকে কবুল করিয়া নেন ।” (ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
* * পীর সাহেবের মুরীদ'রা দয়া করে একটু বলবেন কি !আপনাদের পীর সাহেব, এই কথা কোথা হতে নিয়েছেন যে, " বান্দা অনেক গুনাহ করার ফলে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করিতে চান নাহ ! " এটা কি কোনো কোরানের আয়াতে অথবা কোনো সাহীহ হাদিছে আছে ? নাহ ! নেই, কারন ****আল্লাহ্পাক কোরানে কারীমে বলেন," কুল ইয়া ইবাদি আল্লাজীনা আশরাফু আলা আনফুসিহিম লা তাকনাতু মিররাহমাতিল্লাহ, ইনাল্লাহা ইয়াগফিরু জুনুবান জামিয়া, ইন্নাহু হুয়াল গাফুরুর রাহীম " -- বলে দিন, (হে নাবী) যারা তোমরা নিজেদের উপর জুলুম করেছো, গুনাহ করেছো, তোমরা আল্লাহর রাহমত হতে নিরাশ হয়ো নাহ! নিশ্চ'ই আল্লাহ তোমাদের জমাকৃত গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন, তিনি-ই তো গুনাহ মাফকারি।
তো, পীর ছাহেব! মানুষ কে ডর-ভয় দেখিয়ে আপনার দল ভারী করতে কি অন্য কিছু বেছে নিলে হতোনা ! কোরান- সুন্নাহ'র শিক্ষা থেকে মানুষকে বিমুখ করা কেন!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬