১।
“একটাই অনুরোধ, আমাকে করুণা কোরোনা। সাত বছর এক ছাদের নীচে, দুটো সন্তান দিয়ে এক বিছানায় বসবাস করার মত বিশ্বাস যখন করেছ, এতটুকুও বিশ্বাস করতে পারো আমি তোমার শান্তি নষ্ট করবোনা। তোমাকে শারীরিক কিংবা মানসিক কোনও আঘাত দেওয়ার ইচ্ছেও আমার নেই।"
আফতাব ভাবলো সে ভুল দেখছে বোধহয়। ড্রেসিং টেবিলের উপর পড়ে থাকা চিরকুটটা সে বেশ কয়েকবার পড়লো। কুহেলীর হাতের লেখা, পড়েও বোঝা যাচ্ছে তাকেই লেখা। কিন্তু কেন লিখবে সে এমন লেখা? হঠাৎ লেখার দরকার পড়লো কেন? কোনও ট্র্যাপ নয়তো? কুহেলী তারমানে টের পেয়ে গিয়েছে কিছু? আফতাবের হাত কাঁপতে লাগলো, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। চিরকুটটা নিয়ে সে পকেটে ঢোকালো। অফিসে যেয়ে ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে হবে। চুল আঁচড়ে বডি স্প্রে মেখে ল্যাপ্টপটা তুলে নিলো সে। রান্নাঘর থেকে কুহেলী ডেকে যাচ্ছে, “কি হলো, তোমার ছেলের স্কুলের দেরী হয়ে গেলো তো!” তড়িঘড়ি করে খাবার রুমে গিয়ে দেখলো তার পাঁচ বছরের ছেলে শোভন রেডী হয়ে বসে আছে। “বাবা, আমার তো ব্রেকফাস্ট শেষ!” ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আফতাব দেয়ালে ঝুলানো চাবিগুলো থেকে গাড়ির চাবিটা নিয়ে নিলো।
“কি হলো, খাবেনা?” কুহেলীর কন্ঠে কি একটু শ্লেষ মাখানো? আফতাব ঘুরে তাকালো তার দিকে। নাহ্ বোঝা যাচ্ছেনা কিছুই।
“দেরী হয়ে গেলো যে! শোভনের স্কুলের দেরী হয়ে গেলো তো!” আফতাবের চোখ দুটো বড় অসহায়। ভীষণ মায়া হলো কুহেলীর। ধ্যাৎ, অমন করে চিরকুটটা না রাখলেই হতো! স্বামীর কাছে গিয়ে প্রশ্রয়ের হাসি ঢেলে জোর করে তাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
“থাক, একদিন নাহয় স্কুলে দেরী করেই গেল। তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও। সাতসকালে রুটি বানাতে বুঝি আমার কষ্ট হয়না?” স্ত্রীকে বড়ই রহস্যময়ী মনে হতে লাগলো আফতাবের। সে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলো কুহেলী তাকে কোনও ফাঁদে ফেলতে চাইছে। নাহয় ছেলের স্কুলের ব্যাপারে সে একেবারেই আপোষহীন। শোভনও একটু হতবাক। “মা, আর মাত্র সাত মিনিট বাকি আছে। রাস্তায় তো অনেক জ্যাম থাকে!”
কোনওরকমে একটা রুটি গিলে আফতাব উঠে গেল। “আমি আসি।” প্রতিদিনকার মতো দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এলো কুহেলী। “বাইই মা!” শোভন হাত নাড়িয়ে গাড়িতে উঠে গেলো তার বাবার পাশের সিটে। কুহেলী স্মিত হেসে বল্লো “এসো।”
বাপ-ব্যাটা একসাথে রওনা দিলো। আফতাব ড্রাইভিং সিটে আর তার পাশে শোভন সিডি প্লেয়ারে গান বাজাতে ব্যস্ত। দারোয়ান গেইট খুলে দিলো, গাড়িটা ধীরে ধীরে ব্যাক করে বেরিয়ে গেলো। দরজা লাগিয়ে কুহেলী ফিরে এলো ডাইনিং রুমে। আফতাবের আধখানা খাওয়া প্লেটের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো সে। হেঁটে ভেতরের শোবার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখলো শোভা উপুড় হয়ে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমুচ্ছে। কলিং বেল বাজলো, পরপর দুইবার বেল বাজানোতে ঘুমন্ত শোভা নড়েচড়ে উঠলো। কুহেলী বিরক্ত হয়ে দরজা খুলতে গেলো। বিউটির-মা কে বারবার নিষেধ করার পরও কেন যে...
শোভনকে নামিয়ে দিতে পাঁচ মিনিট দেরী হলো আজকে। এখন খামারবাড়ির সামনের রাস্তায় জ্যামে আটকে আফতাব ভাবছে। কেন, কেন, কেন? কুহেলী তাকে জিজ্ঞেস করতে পারতো, লিখে কেন? কী বলতে চাইছে সে? আফতাব কেন তাকে করুণা করবে? কুহেলী কি জানে কিছু, নাকি আন্দাজে ঢিল ছুঁড়েছে? আফতাবকেই লিখেছে, তাতে সন্দেহ নেই, সাত বছরের সংসারের কথা তো এই একজনের সাথেই চলে। এখন আফতাবের কী করা উচিৎ? পাল্টা চিঠি লিখবে সে? তার কি কুহেলীকে জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিলো না? সে সোজা বেডরুম থেকে রান্নাঘরে কাগজটা নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারতো “কিই, এসব কি তুমি লিখেছ? আমাকে? ক্যান ভাই? ঘটনা কী?” ইস্স্, সত্যিই তো! আফসোসের ঠ্যালায় আফতাব নিজের কপালে বাড়ি মারলো একটা। এটাই কি স্বাভাবিক ছিলো না? সরাসরি কুহেলীকে জিজ্ঞেস করা? কিন্তু কুহেলীর হাবেভাবে তো এমন কিছু চোখে পড়েনি যে চিঠির প্রসংগ উঠবে। এমন স্বাভাবিকভাবে সে আফতাবকে খেতে ডাকলো। তবে ছেলের স্কুলের দেরী নিয়ে নির্বিকার থাকাটা একটু অস্বাভাবিক ছিলো বটে। উঁহু, একটু না, বেশ অস্বাভাবিক ছিল। সেসময় কুহেলী বিরক্ত হয়ে তাকে দুটো ঝাড়ি দেওয়াটাই বরং স্বাভাবিক ছিল। বলতে পারতো “শুধু শুধু দেরী করার কোনও মানে হয়? কতক্ষণ থেকে ডাকছি নাস্তা খেতে, ছোট্ট ছেলেটা পর্যন্ত ভোরে উঠে রেডী হয়ে খাওয়া শেষ করে অপেক্ষা করছে!” আসলেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে কুহেলী এমনটাইই বলতো।
পেছনের গাড়িগুলোর হর্ণ শুনে আফতাবের খেয়াল হলো জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে। গাড়ি এগিয়ে নিতে নিতে আফতাব ভাবতে লাগলো কী করবে সে। এমন ভ্যাবাচেকা খেয়ে গিয়েছে সে, যে বুঝতে পারছেনা তার কিভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিৎ। নাকি রিয়্যাক্ট না করাটাই শ্রেয়? কি হবে সে ব্যাপারটা নিয়ে কোনও কথা না বল্লে? নিজের অজান্তেই পকেটে হাত চলে গেল তার। কাগজটা আছে। বাচ্চাদের স্কুলের খাতার রুলটানা একটা ছোট কাগজ। আচ্ছা, কাগজটা ওখানে রেখে আসলে কী হতো? আফতাব সাথে করে নিয়ে আসলো কেন? নিজের নির্বুদ্ধিতায় এবার রীতিমত হতাশ হয়ে গেলো আফতাব। কি হলো কী তার? সে তো কাগজটা না-দেখার ভান করেই থাকতে পারতো! এখন কী হবে? কুহেলী যখন দেখবে কাগজটা নেই, সে বুঝে ফেলবে আফতাব নিয়েছে, যার মানে হচ্ছে সে পড়েছে। বাসায় অন্য কেউ ছিলোনা যে কাগজটা সরাবে। শোভন ছিলো খাবার ঘরে, আর আড়াই বছরের শোভা ছিলো ঘুম। এবার ঠ্যালা সামলাও, চুপ করে থাকলেও ফ্যাসাদ, আবার এই নিয়ে কথা বলতে গেলেও বিপদ। কী কথা থেকে কী কথা বের হয়ে যায় কে জানে। গাড়ির এসিটা বাড়িয়ে দিলো আফতাব। এমন নার্ভাস সে আগে কখনও হয়েছে বলে মনে পড়ছেনা। ভালই ঝামেলায় পড়া গেলো তো!
২।
রুলটানা কাগজগুলো নেড়েচেড়ে দেখলো আফতাব, নাহ্ আর তো নেই। এ-পর্যন্তই? সেই চিরকুটের পর তিনদিন পার হয়ে গিয়েছে। জীবন যেভাবে চলার কথা তেমনই চলেছে। বাসায় কিছু মেহমান এসেছে, তাদের তদারকি নিয়ে কুহেলী ব্যস্ত। ওকে দেখে বোঝারই কোনও উপায় নেই যে ওরকম একটা চিঠি লিখেছিল সে। ব্যাপারটা উড়িয়ে দেওয়া যায় কি না এমন একটা ভাবনা যখন ঘুরছে আফতাবের মাথায়, তখনই এই কাগজের তোড়া। ড্রেসিং টেবিলের ওপরে, একটা খামে ভরে রাখা। খামের উপরে লেখা, “বাসায় রেখোনা, অফিসে গিয়ে পোড়ো।” চুপচাপ খামটা ল্যাপ্টপের ব্যাগে ভরে প্রতিদিনকার মত অফিসে চলে এসেছে আফতাব।
“আমাকে কী ভাবো তুমি বলো তো? আর যাইই ভাবো প্লীজ শত্রু ভেবোনা। চিঠি লেখাটা একটু নাটকীয় হয়ে গিয়েছে সেটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু কী করবো বলো? অনেক ভেবেচিন্তে এই রাস্তা বেছে নিয়েছি। সব কথা কি সামনাসামনি বলা যায়? প্রতিদিনকার স্বাভাবিকতায় কোনও ব্যাঘাত ঘটুক সেটাও চাইনি। তাই ভাবলাম লিখি। যদি তোমার পড়তে আপত্তি না-থাকে। তোমাকে এই নিয়ে কিছু বলতে হবেনা আমাকে। তবে তোমার বলার কিছু থাকলে, দয়া করে লিখেই দিয়ো। কী? খুব বেশি বিপদে ফেলে দিলাম নাকি?
সাতবছর শুনতে যদিও খুব অল্প শোনায়, আমার তো মনে হয় আমরা দুজন একযূগ পার করে ফেল্লাম একসাথে ! আমি অনেক বদলে গিয়েছি, তাই না? অথচ এই তো সেদিনের কথা, আমার মনে হতো কোনও ছেলে আমার চোখে চোখ রেখে হাত ধরলেই বুঝি তার সাথে প্রেম হয়ে যায়। তোমার সাথে প্রেম হলো ঠিক এভাবেই। ঘুম হারাম করে তোমার কথা ভাবতে বসলাম। প্রেম হলে বিয়ে হতে হবে এই ধারণা নিয়ে দিন গুনতে থাকলাম কবে তুমি বিয়ে করবে আমাকে। মনে হতো তুমি ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করা যেন সাংঘাতিক অন্যায় হবে। ভাগ্যিস বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলে, নাহয় আমি যে কী করতাম ভেবে কূল পাইনা।
আমি ভীষণ সেকেলে, এইই ছিলো তোমার কমপ্লেইন। রূপ দেখে বিয়ে করেছিলে, কিন্তু তোমার লাইফস্টাইলের সাথে মানাতে পারলেনা আমাকে। বাসর রাতে যখন প্রশ্ন করলে কী দেখে তোমার প্রেমে পড়লাম, আমি যে কী অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম! সেই মুহূর্তেই মনে হয় ভালো করে তোমার চেহারাটা দেখলাম প্রথমবারের মতো। কিছু একটা বলতে হয়, বল্লাম “আপনি খুব হ্যান্ডসাম।” সাথে সাথে তুমি বল্লে “চাপা।” মনে আছে? আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কিভাবে তুমি বুঝলে কথাটা বানিয়ে বলেছিলাম? পরে বুঝলাম তুমি কথার ছলে বলেছিলে, আর বলার পরেই ব্যস্ত হয়ে গেলে আমাকে নিয়ে, আমার শরীর নিয়ে। আমিও হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম যেন। শরীরের আড়ালে যে মনকে খুব সহজেই লুকিয়ে ফেলা যায়, সেদিন শিখে গেলাম।
ইদানিং ভাবি। কেন বিয়ে করলাম তোমাকে? না না, রিগ্রেট করছিনা, নিজেকে প্রশ্নই করছি কেবল। আসলেই কি তোমাকে আমি বিয়ে করেছি, নাকি তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে বলেই আমি তোমার স্ত্রী? আমার সেকেলে চিন্তাধারায় তো বিয়ে করার ব্যাপারটাইই ছিলোনা। জানতাম একদিন আমার বিয়ে হবে। আর ভাবতাম একটা মেয়ের জীবনে শুধু একজন পুরুষই আসে, সেই একজনের সাথেই প্রেম হয়, আর তার সাথেই বিয়ে হয় কারণ বিয়েই একমাত্র সম্পর্ক যার সীমানা অসীম। বিয়ে মানেই সংসার, শশুরবাড়ি, বাচ্চাকাচ্চা আর একজন স্বামী। খুব বিরক্ত হয়েছিলে যখন তুমি আমার এমনসব চিন্তাভাবনার কথা জানতে পারলে। আমি খুব অসহায় বোধ করতাম তোমার বিরক্তি দেখে, বুঝে উঠতে পারতাম না কিভাবে তোমার মন রাখবো। আমার সেই অস্থিরতা তোমাকে যেন আরও বিরক্ত করতো। তোমার সেই বিরক্তি থেকে পালানোর রাস্তা খুঁজে নিলাম তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে, সংসারের নানান গলিঘুপচিতে।
তোমার বিরক্তির কারণ বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছিলো। অনেক পরে টের পেলাম কেন তুমি হতাশ হয়ে বলতে আমি আনরোমান্টিক। এখন নিশ্চয়ই পড়তে পড়তে বিরক্ত হচ্ছো আবার। সত্যি বলছি আমি এখন বুঝি কেন আমি আনরোমান্টিক ছিলাম। রোমান্স ব্যাপারটাই তো আমার মাথায় থাকতো না তখন। বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েদের রান্নাঘর, শশুরবাড়ি আর স্বামী-ময় জীবনযাপন করতে হয়। এই গন্ডীতে দায়িত্ব ছিলো, ত্যাগ ছিলো, নিষ্ঠা ছিলো, বিশ্বাস করো ভালোবাসাও ছিল। একজন ভালো মা হওয়ার বাসনাও ছিলো। স্বামীর প্রতি অকুন্ঠ ভক্তি আর আনুগত্য ছাপিয়ে তুমি তখন চেয়েছিলে আমি যেন আফতাব নামের মানুষটাকে ভালোবাসি। বারবার আমাকে একই কথা জিজ্ঞেস করতে, “আচ্ছা তোমার সাথে আমার বিয়ে না হলে বুঝি তুমি আমাকে ভালোবাসতে না?” এই প্রশ্নটা আমাকে খুব জ্বালাতো। কেমনতর প্রশ্ন হলো এটা? স্বামী না হলে কি ভালোবাসা যায়? ছিঃ।
এখন বুঝি। কতটুকু কী বুঝি জানিনা, তবে ভালোবাসার রকমভেদ টের পাই। বুঝতে পারি, বিয়ে মানেই ভালোবাসা নয়। সম্পর্ক কেবল স্বামী-স্ত্রীর মাঝেই আটকে থাকবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিয়ে, সংসার, বাচ্চা ইত্যাদির বাইরে ভালোবাসা নামক অনুভূতিটাকে আমি এখন আলাদা করে দেখতে পারি। সেই ভালোবাসা যে কী, তা তো আমি টের পেয়েছি অনেক পরে। বোধ করি আমাদের বিয়ের দুইবছর পরে আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম, তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম। ততদিনে আমাদের একটা বাচ্চা হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ একদিন টের পেলাম আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভীষণ ভালোবাসি। স্বামী বলে নয়, বাচ্চার বাবা বলে নয়, তুমি বলেই আমি তোমাকে ভালোবাসি। সেদিন রাতে ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম, তোমার তো মনে থাকার কথা নয়, কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে। তুমি অবাক হয়েছিলে, প্রশ্ন করেছিলে, আমি কোনও জবাব দিতে পারিনি। নিজেকে আবার লুকিয়ে ফেলেছিলাম সেবার, বাচ্চার অজুহাত দেখিয়ে।”
কী বলতে চাইলো কুহেলী? পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিল আফতাব। চোখের সামনে ভাসছিলো দুইবেণী করা ভীষণ চঞ্চল এক মেয়ে, যে বুঝতেই পারছিলোনা সে কত রূপসী! সেই মেয়েকে ভুলতে পারা যখন একরকম অসম্ভব হয়ে গেলো, তখনই আফতাব সিদ্ধান্ত নিলো যে সে বিয়ে করবে। আসলেই, মনে হচ্ছে যেন সেদিনের কথা। কিন্তু এই চিঠি এখন কেন? যেন লেখা এখনও শেষ হয়নি, আরও বাকী আছে। কাগজগুলো ভাঁজ করে অফিসের ড্রয়ারে রেখে চাবি লাগিয়ে দিলো সে। ঘড়ি দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে অফিসরুমের এসি বন্ধ করলো। রুম্পাকে রিসিভ করতে যাবে, সাতদিনের ট্যুর শেষে আজ রিটার্ন করছে সে।
(চলবে...তবে একটু ধীরগতিতে)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৬