ইদানিং আমাদের দেশে ধর্ষণের মহামারি লেগেছে।এতে করে ধর্ষকরা হয়তো একটা পাশবিক আনন্দ পাচ্ছে কিংবা ধর্ষণের শিকার হওয়া প্রতিটা দেহ অবসাদে গলে গলে যাচ্ছে।কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে,কিছু মানুষ এই অবস্থার ওপর ভর করে সস্তায় নাম কামাতে ব্যতি- ব্যস্ত।কোন নারী যখন ধর্ষণের শিকার হয়,সেটার প্রেক্ষাপট নিয়ে শুরুহয় সমালোচনা আর সমালোচনার জল গড়াতে গড়াতে গিয়ে উপচে পরে হয়তো কোন একটা নির্দিষ্ট গোষ্টী কিংবা নির্দিষ্ট একটা ধর্ম নয়তোবা পুরুষশাসিত সমাজের ওপর।এইযে এত্ত ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি,এত মাতামাতি,একজনকে নিয়ে অন্যজনের তির্যক মন্তব্য এত্তকিছুর ফল কিছুই শেষ পর্যন্ত হয়না।ধর্ষকের চেতনায় জোর আরো বাড়ে,বাড়ে ধর্ষিতার সংখ্যাও।ধর্ষণের কতগুলা দর্শন হয়তো থাকতে পারে,এর রিমেডিও নিশ্চয় আছে।এটা গবেষণার বিষয়ও বটে,বিজ্ঞানীরা বলছেন,যখন সামাজিক রীতি নীতি খুব দ্রুত পরিবর্তন হয় তখন সেটার সাথে খাপ খাওয়াতে সমাজের মানুষকে বেগ পেতে হয়।যার ফলে সমাজের ব্যবিচার- বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায়; তারই একটা রুপ হয়তো ধর্ষন।এর শিকার যে কেউ হতে পারে,হোক সে পঞ্চম শ্রেনির ক' কিঙবা পঞ্চদশ শ্রেনির খ'।আমি বলছি না যারা ধর্ষণকারী,তারা কোন দিক থেকে ভাল,কিংবা যারা এই বিভৎসতার শিকার তারা খারাপ।শুধু পুরুষের দিকে কিংবা কোন নির্দিষ্ট একটা গোষ্টীর দিক হতে আঙ্গুলটা সরানো উচিত।কোন মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়,সে আমার মা কিংবা বোনের মতই কেউ।আমরা ধর্ষিতাকে নিয়া দুইটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যাই: একটা তার পোশাক নিয়া বা তার চরিত্র নিয়া টানা হেচরা করি আরেকটা গোটা পুরুষ জাতি কিংবা কোন একটা ধর্ম নিয়া টানা হেচরা করি আর মধ্যেখানে বেঁচে যায় কামুক পুরুষ।তাদের লালসার জিহ্বা বড় হয় প্রতিনিয়ত,তীব্র থেকে তীব্রতর হয় নখের তাবা!আমরা যেমনটি অতি প্রগতিশীল আচরণ দেখাচ্ছি,সমাজে বিপর্যয় ততটা বাড়ছে,রাষ্ট্রযন্ত্রও ছাড় দিচ্ছে তাদের পোষা কুকুরদের।আমরা যেহেতু চোখবুজে সব একনিমিষেই গ্রহন করছি,তাতে সমাজের এই অবস্থা কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে।যতই গলা ফাটাই এটা নির্মোঘ সত্য,কারণ আমরা আর পহেলা বৈশাখের বা নবান্নের সংস্কৃতিতে নেই,এটা হোক হিন্দুয়ানী বৈশাখ কিংবা মুসলমানীয় ঈদ! বিবেকের দিক হতে অন্ধ না হলে এইটা খালি চোখেই দেখা যায়।এই পরিবর্তনের ধাক্কাটা আমাদের অবশ্যই সামলাতে হবে।তার জন্য আমাদের হয়তো মূল্য দিতে হচ্ছে।তবে সমাজ অবশ্যই একটা সময় এসে চেন্জ হবে,এইযে দৃষ্টি ভঙ্গীর ফেনা তুলছি,সেটাও চেন্জ হবে।অতীতে গ্রামে একটা ছেলে একটা মেয়ে একসাথে হাটলে হই- হই রই- রই পরে যেত,সেটা এখন চেন্জ হয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ আজ হতে বছর পাঁচেক আগেও কথা বলাযায় এমন একটা মোবাইল কেনার স্বপ্ন দেখতো,এখনকার জেনারেশন মায়ের পেট থেকেই 3জি/4জি হয়ে বের হচ্ছে।তাছাড়া আমাদের মা বোনদের চোখে আগে বিটিভির সাদাকালো রংটা এখন স্টার জলসা কিংবা স্টারপ্লাসের রঙ্গীন রঙে ভরপুর।এগুলো কারো প্রতি দোষারোপ নয়,সমাজ একটা সময় বদলাবেই,এগুলা তার নমুনা।এত্ত দ্রুত পরিবর্তনের সাথে আমরা নিজেদের মিলাতে আসলেই পারছি না।তাই অনেক ভাল ছেলে মেয়েও আজকাল খারাপ ব্যাপারগুলোর শিকার হচ্ছে।অনেক বয়স্ক আঙ্কেল/ আন্টির ভিমরুতির মাত্রাও বেড়েছে।বাদ যাচ্ছে না সদ্য বাইয়ান্ট পিরিয়ডে পা রাখা কিশোর/ কিশোরীও।আমার কথার বিপরীতে কেউ যদি বলে,আগওতো ধর্ষণ হয়েছে,আমি বলব,সমাজে সবসময় কিছু পাগলা কুকুর থাকে,ওদের হাতে যে- কেউ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে,কিন্তু সেই কুকুরগুলা ভাদ্রমাসের( সময় আর সুযোগ সন্ধানী) আর এখনকার গুলার হাল হলো,বারমাইস্যা! আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র সে অনুযায়ী টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।পাগলা কুকুর সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে;কথা হচ্ছে এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে,আর সেই কাজটা কাউকে দোষারোপ করে করার চাইতে সম্মিলিত ভাবে করার চেষ্টাটা বেশি ফলপ্রদ হবে।এই অবোধ রাষ্ট্র ব্যবস্থার যাতে বোধেদয় হয় এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।ধন্যবাদ।
আলোচিত ব্লগ
আমার কিছু ভুল!
১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************
যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন