নবী বলেন, জ্ঞানীরা অবল যখন স্ত্রীরা হয় সবল,
মূর্খ তো সেই, যাদের স্ত্রী, হয় সকল সময়ে অবল,
তাইতো তারা, দয়া-মমতা ছাড়া, পশুত্ব করে আলিঙ্গন,
কোমলতা-দয়া, সেতো মানবের ছায়া, ক্রোধ-কাম পশুর অংকন।
স্ত্রী'র কায়া, খোদার প্রতিচ্ছায়া, তারে করতে হয় সম্মান,
আকর্ষণীয় সে নয়, খোদারে করো ভয়, জীবন যে তাঁর দান।
জ্ঞানবান লোকদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর উপর প্রাধান্য বিস্তার করেন। এই প্রবলতা যখন প্রখর হয়, জ্ঞানী লোকেরা তখন কি করবেন? স্ত্রী'র সাথে দুর্ব্যবহার করে তার জবাব দিবেন, তার উপর রাগ করবেন? কিন্তু, রাগ ও কাম তো পশুত্বের লক্ষণ! মূর্খ মানুষেরাই এই স্বভাবের উপরে ভর করে স্ত্রী'র উপর প্রভাব বিস্তার করে। জ্ঞানীরা কেন তাদের পদানুসরণ করে নিজেদের স্ত্রীদের অবলা করে রাখবেন! কোমলতা-দয়া-মমতা এসব যে মনুষ্যত্বের লক্ষণ।
স্ত্রী আল্লাহ পাকের এক অবাক সৃষ্টি যার ছায়াতলে পুরুষরা এসে শান্তি ও শ্রান্তি পায়। 'শান্তি' দান করা তো মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ'র একটি মহাগুণ, তাঁর নিরানব্বইটি গুণবাচক নামের একটি।
সৃষ্টি করা আল্লাহ'র মহান কাজগুলোর মাঝে অন্যতম। তাঁর এই গুণের কারণেই আমরা তাঁকে 'খালেক' নামে ডাকি। এই দুনিয়ায় খোদা তাঁর অপার সৃষ্টি নারী'র উদরস্থ কুদরতি কারখানায় সেই সৃষ্টি গূণের প্রকাশ ঘটান।
কত কষ্ট করেই না মানবী তাঁর স্বামীর জন্যে খাবার তৈরী করেন নিজ হাতে। খাবার দান করা তো খোদাতায়ালার বিশেষ একটি কর্ম!
আর, এগুলোর জন্যই মহাকবি শেখ রুমী উপরিউক্ত কবিতার মাধ্যমে স্ত্রীদের খোদার প্রতিচ্ছায়া হিসেবে প্রকাশ করেননি?
[শেখ রুমী'র মছনবী অবলম্বনে]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫২