পালাচ্ছ কোথায়, হে দিগ্বিজয়ী বিচারি!
ভেবে দেখেছ কি আমার এ খোলা জমিনে আবার ফিরে আসতেই হবে তোমারই? তোমা-আমার আগে কত অবিবেচকই না তা নিয়ে অনুতাপে ভুগেছে। বলো তো আজ কোথায় তাদের স্থান হয়েছে? মনে করতে পারো কি, কত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর মরুভূমি তুমি একা পাড়ি দিয়েছো। এ জীবনের কত সুন্দর সময়ই না তুমি ধুলায় লুটিয়েছো। এমন করে কত সময়ই বা আর হারাবে, কত শত-কে হারিয়ে যেতে দিবে সময়ের অতল গহ্বরে?
ওহে আগুন্তুক, আর কতদিন পালিয়ে হবে ভিনদেশী!
তুমি কি জানো না কপালের লিখন আর সময় কখনো পিছু ছাড়েনি তোমারই? হৃদয়ে এতো হাহাকারের জন্ম কোথা থেকে জাগে তোমার? কেনইবা তুমি এমন অসুখীর মতো এ পথে দাঁড়িয়ে? মনে করে দেখেছ কি কিভাবে তুমি জীবনের অশেষ বাধাগুলোকে পার করে দাও? সে বাধা পেরিয়ে তূমি তা থেকে কি শিখতে পাও? শেখো কি না শেখো, জীবনের এ স্রোতের নিজ পথে চলা আমি কি করে রুখবো! তোমার-আমার যৌবনের মতোই, দিবসগুলো কেমন যেন অফুরান থেকেই যায়। ওহ, কি দুর্ভাগ্যই না আমাতে!
হে জীবনের পাললিক দেশে পরিভ্রমণকারী,
এই উপদেশ তো তোমারই জন্যে জানি। কেনার আগে দেখে নিয়েছো কি নিজের পোশাকের কি গতি! ওহে ঘুমন্ত নাগরী, বলতে কি পারো আমার কি ব্রতি? তুমি জানো কি, তোমার সে খবর আমার কাছে পৌঁছেছে। আমি জানি, আমার সাথে যা ঘটেছিলো তা-ই তোমার ভাগ্যে ঘটেছে। তবে কি আমাদের এই দু'হৃদয় ছুটে চলেছে সেই অদৃষ্টপানে?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫