পরিস্থিতি খুবই নাজুক । ঘরে বাহিরে শক্ররা কিলবিল করছে । একের পর এক মনস্তান্তিক খেলা খেলে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে ফেলতে চাইছে । চালছে একের পর এক কুট চাল । আর মিডিয়া সেগুলোকে এ্যটোম বোমার মতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবেশ আরো ঘোলাটে করে তুলছে । কাউকে মারতে হলে, তার গলা কাটতে হয় না তার দুর্বল জায়গা বেছে আঘাত করলেই হয় । ঘরে অশান্তি ঢুকিয়ে দিতে পারলে সিংহ পুরুষ ও বাহিরে কেচো হয়ে যায় ।
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর সুনীল গাভাস্কার প্রশ্ন তুলেছেন মাশরাফির ক্যাপ্টেনসি নিয়ে । বিবিসি নিউজ করেছে, ‘ক্যাপ্টেন্সির ভুল বাংলাদেশের হারের কারণ’ । বোরিয়া মজুমদার নামের একজন মাশরাফিকে ধুয়েয়ে ফেলেছেন । মাশরাফির ক্যাপ্টেনসি নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলেছেন । দেশ বিদেশের সব জায়গাতে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে । প্রথম আলোতে" আজ মাশরাফির একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়েছে সেটি নিয়েছে, উৎপল শুভ্র নামের এক প্যাচ খোর সাংঘাতিক । (প্যাঁচায়ে প্যাঁচায়ে খেলার খবর লেখে ।) পড়লেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । এই লোক মাশরাফিকে অপ্রসংগিক ভাবে প্রশ্ন করেছেন, আপনি পদত্যাগ করছেন কবে ? যেখানে পদত্যাগের প্রসঙ্গই আসে না । সেখানে কিভাবে এই প্রশ্নই করেছে মাশরাফিকে বুঝলামা না । যেন চাইছে মাশরাফির মুখ থেকে কথা বের করতে । মাশরাফিকে ভিলেন বানাবার প্রচেষ্টা আর কি । সব দোষ মাশরাফির উপর দিয়ে আইসিসিকে ফেরেস্তা বানাবে তারা ।
এ সবই করা হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে । যেহেতু মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিম ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেহেতু ওকে যদি দল থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় তা হলে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারত,অষ্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডকে আর ভাবতে হবে না । সে পথেই হাটছে এখন ভারতীয় মিডিয়া আর তাদের ক্রিকেট মাথারা । যেখানে এশিয়া কাপের সময়ও মাশরাফিকে বেষ্ট ক্যাপেন্ট বলে নিউজ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা । তারাই এখন তার বদনাম করতে নেমেছে । কোনটা সমালোচনা আর কোনটা ষরযন্ত্র সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা আমাদের রয়েছে ।
মাশারাফি এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ চক্রান্তে দেশি-বিদেশি মিডিয়া জড়িত । প্রথম আলো নামের পত্রিকাটিও ও তাতে জড়িয়ে পরেছে । যেহেতু প্রথম আলো সাকিবকে কভার করে তার হয়ে লিখে সে সুযোগটা কাজে লাগাছে ভারত ঘেঁষা কিছু লোক । এদের ষরযন্ত্রের সঠিক জবাব দিতে না পারলে এরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে ছাড়বে ।
ক্যাপ্টেন হওয়া অনেক জ্বালা । দল জিতলে সবাই বাহাবা দেয় হারলে পিঠের ছাল খুলে নিতে চায় । কিন্তু আমরা বাঙালিরা সে রকম নই ।
এই মুর্হুতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্যের । আমরা এখন আর হারার দলে নেই । বিশ্বের সবাই আমাদের সমিহ করছে । সে ধারাটা বজায় রাখতে হবে । অনেকে অনেক কথা বলবে ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইবে । তাদের কথায় কান দেবার দরকার নেই ।
আজকের ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা ক্রিকেট বিশ্বে ইতিহাস রচনা করবো ..আসুন সবাই মিলে সুর তুলি,
"আমরা করবো জয়,
আমরা করবো জয়,
আমরা করবো জয় একদিন।"
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২