ক'দিন ধরেই একটা প্রশ্ন মনে মনে ভাবছিলাম, কেন এত ব্যস্ততা?
সহজ উত্তর: প্রথমে নিজের জন্য, তার পর পরিবারের জন্য?
কিন্তু আমি নিজেই কি ভাল আছি?
নিজেকে নিয়ে এই ব্যস্ততায় আমার আমিটা কি আজ বড়ই ক্লান্ত?
বোধ করি তাই, বৃহস্পতিবার রাতে যখন সিদ্ধান্ত নিলাম, সকালে ফজরের নামাজ পড়ে আজিমপুরে যাব-মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল।
শেষ কবে আজিমপুরে গিয়েছি স্মরণ করতে পারলাম না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে দু'একবার মা-বাবা স্মরণে আসে।
কিন্তু এই কি যথেষ্ট?
না, সেটার প্রমাণ পেলাম সুনসান নীরবতায় পাখির কিচির-মিচিরে সবুজে ঢাকা এই নিথর প্রান্তরে এসে।
কোন পরিচিত জন নেই, একা দাঁড়িয়ে ভাবনায় ভেলায় চড়ে পাড়ি জমালাম সুদূর অতীতে-তাঁদের কষ্ট গুলো আমায় ছুঁয়ে গেল।
আমিও একদিন সামিল হবো তোমাদের সাথে।
তবে কিসের এত ব্যস্ততা, দু'দন্ড চোখের জলে ভাসতে কেন এত দ্বিধা?
ব্যথিত হৃদয়ে বেরিয়ে আসি ফটক পেরিয়ে।
দেখি ফুটপাতে ময়লা-জীর্ণ কাঁথা মুড়ি দিয়ে মার সাথে শুয়ে আছে শিশু।
ওপাশে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছে অসংখ্য মানুষ, এপারে জীবন-মৃত ওরা।
মনটা বড় ক্লিষ্ট হলো-কবে সবার একটা ছাদ হবে, তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারবে, ঘুম থেকে ওঠে বই-পত্তর নিয়ে স্কুলের দিকে দৌঁড়াবে শিশুরা ?
আজ স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এসে সেই প্রশ্ন গুলো মনে ভীড় করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৫