আজিমপুর গোরস্থান থেকে বেরিয়ে হাটছি, একটা রিকশায় চড়ব ভাবছি।
না, থাক, একটু হেটে বাসে উঠি - কিছু টাকা বেচে যাবে।
সেই টাকা কোন গরীবকে দেওয়া যাবে।
সীমিত আয়ের মানুষদের হাতের আঙুলে ফাঁক খুব কম, সেই ফাঁক গলে সহজে কিছু বের হয় না।
তাই নিজেই নিজের খরচ থেকে দু'চার টাকা বাঁচিয়ে হাতটাকে একটু খোলা রাখতে চাই।
ধানমন্ডি চার নম্বর রোডের মাথায় বাস থেকে নামলাম। একটা রিকশায় চেপে জিগাতলায় চলে যাওয়া যায়।
না, একটু হাটি, দু'টা টাকা বাঁচুক - হাতটা আর একটু খুলুক।
চার নম্বর রোড ধরে হাটতে হাটতে ভিতরে ঢুঁকি, ধানমন্ডি লেক দেখতে পাচ্ছি।
না, এদিক দিয়ে ঢুঁকব না, ৭ নম্বর রোডের যে গেট, ওটা দিয়ে ঢুঁকব - আজ বাবার প্রিয় কাজ গুলো আমি করব।
উনি এই গেটটা দিয়ে হাটতে হাটতে ৮ নম্বর ব্রিজে গিয়ে দাড়াতেন।
সেখানে অনেকের সাথে উনার দেখা হতো, তাদের অনেকের নাম, ফোন নম্বর উনি খাতায় লিখে রেখেছিলেন।
জীবনের শেষ কটা বছর মুক্ত আলো-হাওয়ায় ঘুরে বেড়াবার শক্তি উনার ছিল না।
উনার চলে যাবার খবর আমি সবাইকে জানিয়ে ছিলাম, অনেকেই এসেছিল।
উনি ধানমন্ডি ৮ নম্বর মসজিদের ইমাম সাহেব, জনাব যাকারিয়াকে খুবই পছন্দ করতেন।
আমার বিয়েত উনাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং বিয়েটা উনিই পড়িয়ে ছিলেন।
আব্বার মৃত্যুর পর মিলাদে তাই আমি উনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলাম।
উনি এসেছিলেন। আল্লাহ উনাকে অশেষ সওয়াব দান করুন।
পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম, স্মৃতিরা একটার পর একটা মনের পর্দায় ছায়া ফেলছে। সেই ছায়া, মায়া হয়ে হৃদয়ে ছড়িয়ে গেল।পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে মায়াময় সেই সকালের কিছু ছবি তুললাম আনাড়ি হাতে।
(ছবির ফলকের লেখাটা অস্পষ্ট, তাই ফলকের লেখাটা নীচে দিলাম।)
//আপনি সৃষ্টি-কর্তাকে ভালবাসেন
গাছ আপনার ভালবাসা চায়।//
দুঃখিত, ছবি গুলো লোড হচ্ছে না।
আজকের মত এখানেই বিদায় !!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৯