সমকাল বা কালের কন্ঠ কি কোন রাজনৈতিক দৈনিক? যদি না হয় তাহলে দয়া করে জামাত শিবিরেরা এই কথা গুলোর উত্তর দিয়ে যান...
সমকাল প্রতিবেদক
একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি সংবলিত একটি তথ্যচিত্র
প্রদর্শনকালে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের খবর বেরিয়ে আসে। এ তথ্যচিত্র স্বচোখে প্রত্যক্ষ করেন হলভর্তি দর্শক-শ্রোতা। গতকাল রাতে এটিএন, চ্যানেল আইসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন এ তথ্যচিত্রের খবর প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় মুফতি হান্নান নিজের মুখে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিস্তারিত বলছেন।
তথ্যচিত্রে মুফতি হান্নান বলেন, 'শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে। তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না।' এমন সিদ্ধান্ত হয় ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট হাওয়া ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে। আর এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং ফ্রিডম পার্টির মেজর নূর। এমন চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে দেন বর্তমানে কারাগারে আটক হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান।
তবে এ ফুটেজ কোথা থেকে কীভাবে গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত খবর কিছুু উল্লেখ করা হয়নি। মুফতি হান্নান বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। হান্নান গ্রেনেড হামলা ও জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। এরা হলেন, মুফতি মাওলানা আবদুস সালাম, মুফতি আবদুর রশিদ প্রমুখ।
ওই তথ্যচিত্রে মুফতি হান্নানসহ বিভিন্ন জঙ্গি দেশবিরোধী অপতৎপরতা ও তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সরাসরি যোগাযোগের কথা নিজ মুখে স্বীকার করে। সেখানে হরকাতুল জিহাদের কমান্ডার ইউনুস স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, দেশে এক লাখের ওপর প্রশিক্ষিত জঙ্গি রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। আরেক জঙ্গি জানায়, তসলিমা নাসরিন দেশে ফিরলেই হত্যা করা হবে। অন্য জঙ্গিদের মুখে দেশের প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার সঙ্গে জড়িত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে।
ওই প্রামাণ্যচিত্রে সাবেক শিবির ক্যাডারের মুখে উঠে আসে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তাদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করলেও নিজের কোনো ছেলেকে জিহাদে বা মাদ্রাসায় পাঠাননি। আলোচনা সভার পর প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান সম্পর্কে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবিরের সদ্য নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'জেহাদের প্রতিকৃতি'।
সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কাজী মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, জাসদের শিরীন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মুজাদ্দেদী শান্তিপুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হবে। এ জন্য দেশের সব মানুষকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী দাবি করেছেন, অতি দ্রুত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যত মাঠে থাকবে তত তাদের বিচার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। বিঘি্নত হবে দেশের নিরাপত্তা। তাই দেরি না করে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি রাখা হোক। আদালতে নির্দোষ প্রমাণ হলে তারা মুক্তি পাবে আর অপরাধী হলে শাস্তি ভোগ করবে। '৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। পৃথিবীর যে দেশে ধর্ম আর রাজনীতি এক হয়েছে সেখানে অশান্তি দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় মানুষকে বুঝতে হবে।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধাপ্পাবাজি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করাকে সহজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, '৭২ সালের সংবিধান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধান। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ওই সংবিধান সংশোধন ঠিক হয়নি। তাই বর্তমান সরকারের উচিত '৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তারা এখনও আমাদের রাজনৈতিক এবং সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করছে।
কালের কন্ঠ
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে সভা হয় বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনে। ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু; হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুস সালাম ও মাওলানা শেখ ফরিদ এবং ফ্রিডম পার্টির মেজর নূর উপস্থিত ছিলেন। সেই সভাতেই শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানোর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এক সাক্ষাৎকারে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের তৈরি করা 'জিহাদের প্রতিকৃতি' শিরোনামের এক প্রামাণ্য চিত্রে মুফতি হান্নান এ সাক্ষাৎকার দেন।
গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়। তথ্যচিত্রে মুফতি হান্নান জানান, সেদিনের সভায় হামলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। পরে আরেকটি বৈঠক হয়। বৈঠকে মুফতি হান্নান ছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা ওবায়দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মুফতি হান্নান সেই হামলার তিন কৌশলের কথা জানান। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বাড়িতে, পথে অথবা জনসভায় হামলা করা যেতে পারে। পরে জনসভায় হামলার সিদ্ধান্ত হয়।
মুফতি হান্নান তাঁর সাক্ষাৎকারে আরো জানান, ২১ আগস্ট ঘটনার দিন সে ঢাকায় তাঁদের দারুল আরকান অফিসে ছিল। সকাল ৯টায় মুফতি হান্নান অফিসে যায় এবং সেখানে একটি সভা করে। ওই সভার পরই যে যারমতো দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। মুফতি হান্নান জানান, হামলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা সকালেই যার যার স্পটে চলে যায়। তবে হামলাটি কেন ব্যর্থ হলো_এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওই দিন বিশৃঙ্খলার কারণেই হামলাটি ব্যর্থ হয়েছিল। মুফতি হান্নানের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনার দিন তাঁদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন কর্মী ছিল। তবে প্রয়োজনের সময় তাদের সঙ্গে যথার্থভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই হামলা ব্যর্থ হয়।
তথ্যচিত্রে হরকাতুল জিহাদের কমান্ডার ইউনুস স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, দেশে এক লাখের ওপর প্রশিক্ষিত জঙ্গি রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আরেক জঙ্গি জানায়, তসলিমা নাসরিন দেশে ফিরলেই হত্যা করা হবে। অন্য জঙ্গিদের মুখে দেশের প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার সঙ্গে জড়িত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে।
জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কাজী মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, জাসদের শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল হাসান ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মুজাদ্দেদী শান্তিপুরী।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হবে। এ জন্য দেশের সব মানুষকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী দাবি করেন, যুদ্ধাপরাধীরা যত মাঠে থাকবে, তত তাদের বিচারকাজ কঠিন হয়ে পড়বে। বিঘি্নত হবে দেশের নিরাপত্তা। তাই বিলম্ব না করে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দী রাখা হোক।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধাপ্পাবাজি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ সম্পন্ন করাকে সহজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, '৭২ সালের সংবিধান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধান। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ওই সংবিধান সংশোধন ঠিক হয়নি। তাই বর্তমান সরকারের উচিত '৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া।
কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তারা এখনো আমাদের রাজনৈতিক ও সমাজজীবনকে প্রভাবিত করছে।'
একটিবার ভেবে দেখুন, আপনাদের জেহাদী ক্যাপসুল খাইয়ে এরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে কিনা। এরা যদি নিজেই তার বলা কথাগুলো বিশ্বাস করতো, তাহলে আপন ওরসজাতকে কি দূরে সরিয়ে রাখতো? আপনাকে ফুসলিয়ে পাঠায় জেহাদ!!! করে শহীদ হতে, আর নিজের ছেলে?
আজ কোন গাল দিবো না, একটু ভাবেন...
সূত্র সমকাল
সূত্র কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৩:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



