অত্যন্ত নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হওয়া নাট্যকর্মী ও কলেজছাত্রী তনুকে খুন করা হয়েছে। প্রতিভাবান এই নাট্যকর্মী আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে করা একটি টিউশনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষকরা তাকে খুন করে লাশ ফেলে রাখে।
.
নিহত সোহাগী জাহান তনু (১৯) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) সদস্য ছিলেন। সোহাগী ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। পরিবারের বরাত দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্র মাইনুল হক স্বপন জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার লাশ পাওয়া যায়।
.
আমাদের দেশটা কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে ভেবে পাচ্ছিনা।দিনে দিনে অপকর্ম বেড়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছে।কেউ পদক্ষেপ গ্রহন না করলে কবে না আমাদের দেশটা অতলে হারিয়ে যাবে।বিচার ব্যবস্থা হারিয়ে গেলে প্রত্যেকদিনই নিউজ চ্যানেল ছাড়লেই শুনা যাবে এখানে ধর্ষন,ওখানে ধর্ষন।আমরা কবে রুখে দাঁড়াতে পারবো? পুলিশ, র্যাবের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধর্ষকেরা তাদের উদ্দেশ্য সফল করে বেরিয়ে যাচ্ছে নাকের ডগা দিয়েই।তারা কিছু করতে পারছেনা।আমরা সাধারন জনতা তো কিছু বললেও সেটা কেউ গায়ে মাখবেনা।তবুও বলছি, আমাদের আইন ব্যবস্থা কোন কালেই ভালো ছিল না।আস্তে আস্তে তা আরো বিলুপ্তির দিকে।কবেনা একদিন আবার আমাদের দেশকে ধর্ষকের দেশ নাম দেয়া হয়।যেদিন এখানে আসতে কেউ পাবে।ভাববে এই সেই দেশ যেখানে দিনে-দুপুরেও ধর্ষন হয়।
.
মানুষের মানুষকিতাও কতটা নিচে।নিজেদের শারীরিক সুখের জন্য তারা নস্ট করে একেকটা মেয়ের জীবন।ভেঙ্গে ফেলে একেকটা পরিবার।যেই আইনের ভরশায় মানুষ চলে,সেই আইনও আজ অসহায়।তারাও কিছু করতে পারেনা।তারা সবকিছুর উর্দ্ধে হয়েও পা গুটিয়ে বসে থাকে।সত্য বলতে শুনতে খারাপ লাগলেও পুলিশেরাও অন্যরকম একধরনের ধর্ষক।তারা শুধু স্বার্থ বিবেচনা করে আর কিছুই নয়।মানুষের মানুষকিতার মত পুলিশের মানুষকিতাও জানোয়ারের পর্যায়ে নেমে গেছে।দাম নেই প্রানের,শারীরিক সুখ লাভের আশার নস্ট হয় জীবন।নগ্ন অবস্থায় দেহ পাওয়া যায় রাস্তার ধারে,খালের পাড়ে নয়ত গহীন বনের এক প্রান্তে।আসামী ধরা পরলেও টাকা দিয়ে বেরিয়ে যায় দুদিনে।আবারো শুরু করে এক অসামাজিক কাজগুলো যা আমাদের কারো কাম্য নয়।যার বিপরীতে ১৬ কোটি মানুষের পুলিশ আর সরকারী কিছু বাজে মুখোশধারী লোকজন ছাড়া সবাই।
.
মানুষিকতা ছাড়া মানুষ হয়া যায়নারে ভাই।কেউ একজন বলেছিল-" একটা কুকুর কখনো মানুষ হতে পারেনা,একটা জানোয়ার কখনো মানুষ হতে পারেনা কিন্তু একটা মানুষ ঠিকই কুকুর,জানোয়ার হতে পারে"....তনুকে ধর্ষন আর হত্যাই এটার মুল একটা উদাহরন।আর কত নিচে নামবো আমরা? আমরা কি নাম লেখাবো ধর্ষক জাতি হিসেবে? নাকি হারিয়ে ফেলবো আস্তে আস্তে নিজেদের মানুষিকতা যা কিনা পশুর মতো? আমাদের সমাজের মানুষগুলো মাঝে মাঝে কিছু কাজ করে আমাদেরকে চমকে দেয়।কেউ কেউ ভেবেও পায়না এগুলা তারা কিভাবে করে।আসলে তাদের মানুষিকতা সাধারন মানুষের মত নয়।তাদেরকে একপ্রকারের জানোয়ার বলা চলে।যারা নিজেদের শারীরিক সুখের জন্য কোন মেয়েকে টার্গেট করে তাকে ধর্ষন করতে পারে তারা কুকুর ছাড়া আর কিই বা হতে পারে? কিন্তু আমার প্রশ্ন, ১৬ কোটি মানুষের প্রশ্ন..."এভাবে আর কত?"..... কতদিন আমাদের মা-বোনেরা নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখবে,বন্দি করে রাখবে নিজেদের ঘরের প্রান্তে? কতদিন ধর্ষকেরা এভাবে ধর্ষন চালিয়ে যাবে আর ধরা পরলেও বেরিয়ে যাবে? কবে তারা শাস্তি পাবে? যা দেখে ভয় পাবে ১৬ কোটি প্রান।আর কেউ দুঃসাহস করবেনা এরকম জঘন্য কাজ করবার? কবে আসবে সেই প্রত্যাশিত দিন? নাকি অকালেই এরা পার পেয়ে বেরিয়ে যাবে,আর একটার পর একটা অপকর্ম করেই যাবে?
.
হে বাঙ্গালি জাগো।অনেক হয়েছে ভরশা।নিয়ে নেও প্রতিশোধ।কেউ যেন আর ১৬ কোটি প্রানের মাটিতে কলার উঁচু করে কাউকে নিয়ে ধর্ষন না করতে পারে।খুন না করতে পারে পুলিশের দিকে তাকিয়ে আর কি হবে? তারা কখনোই আমাদের সাধারনের দিকে দেখবেনা।সাধারনদের তারা আরো সাধারন মনে করে।কিন্তু আমরা সবাই মিলে কিছু একটা করতে চাইলে কোন পুলিশের বুকে এমন সাহস নেই আমাদের আটকাবে।কোন সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যাক্তির সাহস নেই আমাদের আটকাবে।হে জননীরা,যারা জন্ম দিয়েছেন এমন চরিত্রকে তারাই এগিয়ে আসুন এদেরকে বিলুপ্ত করতে,নয়ত যে এরা একদিন আপনাকেও ছাড়বেনা।শারীরিক সুখের কারনে যে পারে অন্য একটা বাবার মেয়েকে ধর্ষন করতে, খুন করতে সে যে আপনাকে ছাড়বে এর নিশ্চয়তা কি? জানি নিশ্চয়তা নেই।এদের মারতে হাত কাঁপলে চলবেনা।এদেরকে ফাঁসির রায় দিতে হাত কাপলে চলবেনা। আমি একা, আপনি একা,কিন্তু আমরা সবাই মিলে একা নই।এর প্রতিবাদ কেউ করবেনা আপনি, আমি ছাড়া।জানি এর বিচারও হবেনা।কারন তনু কোন মিনিস্টারের মেয়ে ছিল না।তিলে তিলে কাঁদবে মেয়েটির বাবা,মেয়েটির পরিবার।আর আমি, আপনি দুরে দাঁড়িয়ে দর্শকের মত তাদেরকে শান্তনা দিব।এটা তো হতে পারেনা।সময় হয়েছে জাগবার।আর না।আমরা আর হতে দিবোনা।প্রতিবাদ করার জন্য আমরাই রয়েছি।ওদের বিচারের জন্য আমরাই থাকবো।সেদিনটার অপেক্ষা যেদিন বিচার করবো আমরাই, শাস্তি দিবো আমরাই,নিজ হাতে। কোন দঁড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসি নয়,নিজ হাতে অস্ত্র দিয়ে গর্দানছেদ করব আমরাই।সেদিনই হবে ধর্ষকহীন বাংলাদেশ।নয়ত আমরা জাতি হিসেবে চিরকালই ধর্ষকের খাতাতেই থাকব।