উৎসর্গ: ফয়সাল আরেফিন দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমানকে
অনেক দিন তোমার হাত ধরে হাঁটিনা।
খুব ইচ্ছে করে আরিচায় পদ্মার পারে বা বুড়ি গঙ্গায় ভোরের আলোয় নাও ভাসিয়ে দিতে।
খুব ইচ্ছে করে শিশিরের মতন জড়িয়ে যেতে তোমার বুকের ওমে।
সন্ধ্যা বেলায় রাঙ্গা আলোয়, রাঙ্গা ঠোঁটে চুমু খেতে।
মন ভালো করা কাব্য কথন, গানের মাঝে হারিয়ে যেতে। উজান ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে।
দমকা হাওয়ার এলাে চুলে তোমার হাতের পরশ, গেঁথে দিবে দোলনচাঁপা।
চাঁদের আলোয় চায়ের কাপে হৃদয় কথা, ভালোবাসা,
খুনশুটি সব নিরন্তর ভালোবাসার।
একা আমি, আমার বড় একা লাগে,
পথ চলতে থমকে তাকাই, উদাস হয়ে তোমায় খুঁজি।
এই তো তুমি পাশেই ছিলে, এখন কোথায় হারিয়ে গেলে
হাওয়ায় কাঁপে উথালপাতাল বুকের গহীন তল।
শীতল স্রোত বয়ে চলে, রক্ত কেমন জমাট বাঁধে।
আগুন জ্বলে মনের ভীতর, চোখের সাগর শুকনো থাকে।
কেমন যেন দিনগুলো সব পাল্টে গেলো; কেন বলো এমন হলো।
কোথায় তুমি, চুপটি করে ঘাপটি মেরে একা একা আছো বসে?
আমায় ছেড়ে কেমন আছো? আর শিশুদের?
যাদের তুমি ভালোবাসো অনেক অনেক।
তাদের ছেড়ে থাকতে তোমার কেমন লাগে?
জলের ভাড়ে নুয়ে পরা ঘাসের মতন চলছি আমি আর পারি না একা একা,
তোমার হাতটি ধরতে বড় ইচ্ছে করে আগের মতন।
ঘরের মায়ায় যেমন তুমি ফিরতে ঘরে তেমন আবার এসো ফিরে,
ভবাছি আমি স্বপ্ন ছিল, এই যে সবাই বলছে আমায়
হারিয়ে গেছো অন্যলোকে এ সবই দুঃস্বপ্ন এক।
ঘুম ভাঙ্গলেই পেয়ে যাবো, সব ঠিকঠাক আগের মতন।
যেমন ছিলাম আমরা দুজন, ভালোবাসায় মগ্ন কপোত।
তেমন আবার গভীর থেকে গভীর হবো।
বুকের ওমে জড়িয়ে রবো,
জলের ছাটে ভিজব দুজন আপন মনে কাজের ফাঁকে, মায়ার জালে
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫