somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিখ্যাতদের যত্তসব কুসংস্কার

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই রহস্য ঘেরা পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যাদের মাঝে কোন কুসংস্কার বোধ জন্মায় না। কেউ না কেউ কুসংস্কারে ভোগে। আমি রাত্রে গামলা ভর্তি জল উঠানে পেলাইনা। কারণ একদিন রাত্রে এই ময়লা জল পেলতে গিয়ে বড় বিপদে পড়ি, সেই রাত্রে আমার ঘুম হয়নি। সারারাত উঠানে একটা কুকুর ঘেউঘেউ করে যাচ্ছে। ভোরে উঠে দেখি কুকুরটার চোখ বর্ণহীন হয়ে গেছে। মাথাটার লোম তেলতেলে। আমার বুঝতে বাকি রইল না, কুকুরটার এই অবস্থার জন্য আমি দায়ী। তাই এজন্য বাড়ির মুরব্বীরা রাতে ময়লা জল উঠানে না পেলার জন্য বারণ করে। নানান রকম মানুষের নানান রকম কুসংস্কার। এর মধ্যে বিখ্যাতরাও বাদ পড়েন না। যাই হোক এবার আসি বিখ্যাতদের কুসংস্কারে।



জেমস জয়েস (১৮৮২-১৯৪১) : জেমস অগাস্টিন অ্যালওসিয়াস জয়েস (পুরো নাম) ছিলেন একজন আইরিশ লেখক এবং কবি। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসেবে বিবেচিত। জেমস জয়েস মূলত তাঁর ইউলিসিস (১৯২২) রচনার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি সবসময় দুই সংখ্যাটিকে পছন্দ করতেন। ১৮২২ সালে জন্ম। কাজেই বই প্রকাশ করতে গিয়ে খেয়াল করতেন সেই সময় দুই দিয়ে শেষ হয়েছে কিনা। ১৯২২ সালে একটি বিখ্যাত বই প্রকাশ করেন। এভাবে খুঁজতেন, কোন দিন দুই দিয়ে শেষ হয়েছে। তিনি বিছানায় পেটের নিচে বালিশ দিয়ে লিখতেন। এটা নাকি ছিল তার লাকি পজিশন। একটি নীল বড় পেন্সিল দিয়ে লিখতেন। সাদা পোশাক পরে।



জন স্টেইনবেক (১৯০২-১৯৬৪) : জন স্টেইনবেক হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক। ত্রিশের দশকের অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে তিনি এক আলোড়নসৃষ্টিকারী উপন্যাস লিখেন, যার নাম দ্য গ্রেপস অফ রাথ। এই বইয়ের কারণে তিনি ১৯৬৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেন।
তিনি সবসময় পেন্সিলে লিখতেন। বলতেন, এটা আমার জন্য লাকি। ১২টি ধারালো পেন্সিল নিয়ে বসতেন। একটার পর একটা ধার কমে গেলে বদলাতেন। সে জন্য তার টেবিলে সবসময় ১২টি ধারালো পেন্সিল থাকত। সার্পনারে সার্প। তারই মেধার মতো।



জ্যাক লন্ডন (১৮৭৬-১৯১৬) : জ্যাক লন্ডন একজন বিখ্যাত আমেরিকান লেখক। তাঁর প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেনে।কিন্তু সর্বসমক্ষে তিনি জ্যাক লন্ডন হিসেবেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব। দ্য কল অব দি ওয়াইল্ড, হোয়াইট ফ্যাঙ, দ্য সী উল্ফ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। তন্মধ্যে, দ্য কল অব দি ওয়াইল্ড বইটি তাঁকে ভীষণ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তিনি প্রতিদিন এক হাজার শব্দের বেশি লিখতেন না। বলতেন, এরপর যেটা লিখব, সেটা মনের মতো হবে না।



অ্যান্থনি ট্রোল্লোপ (১৮১৫-১৮৮২) : অ্যান্থনি ট্রোলোপ ভিক্টোরিয়ান যুগের ইংরেজ ঔপন্যাসিক ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত পরিচিত কাজগুলির মধ্যে একটি উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে বার্নসটারের ক্রনিকল নামে পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক ও লিঙ্গ সংক্রান্ত বিষয় ও অন্যান্য সাম্প্রতিক বিষয়গুলোতে উপন্যাস লিখেছেন। ২৫০ শব্দ লেখার পর অবসর নিতেন। হাতে ঘড়ি নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন। তারপর রেস্ট হয়ে গেলে আবার লেখা শুরু করতেন। সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে রোজদিন কাজ শুরু করতেন এবং এভাবে সারাদিন লিখতেন।


আরো অনেক বিখ্যাতদের কুসংস্কার বাকি রয়ে গেছে যা আরেকপর্ব দেওয়া হবে। তো আপনাদের ভিতর লুকিয়ে থাকা কুসংস্কার গুলো অকপটে বলে পেলুন। আমরাও জানি আপনার কুসংস্কার।

তথ্যঃ উইকিপিডিয়া, সমকাল (৭/০৯/১৮ পৃ ৮)।
ছবিঃ অন্তর্জাল।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
৩৩টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×