কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম হল কম্পিউটার ব্যাবহার জনিত কারনে চোখের বিভিন্ন সমস্যার সমষ্ঠিগত রুপ।সাধারণত যারা দৈনিক ৩ ঘন্টা কিংবা তার বেশী কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।এই রোগের উপসর্গ সমুহ নিম্নরূপ-
চোখ জ্বালাপোড়া
কম্পিউটার স্ক্রিনে একটি লাইনকে দুইটি দেখা বা ঝাপসা দেখা
চোখব্যাথা
চোখ দিয়ে পানি পড়া
মাথা ব্যাথা
কম্পিউটার আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র কিন্তু আমরা যারা কম্পিউটার ব্যাবহার করি তারা সত্যিকার অর্থে সঠিক ভাবে ব্যাবহার না করার ফলেই আমরা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম এ আক্রান্ত হচ্ছি। এবার আসাযাক কম্পিউটার ব্যাবহারের সঠিক নিয়মের দিকে।
আমরা যখন কম্পিউটার ব্যাবহার করি তখন মনিটর থাকে আমাদের চোখের লেভেল থেকে একটু উপরে কিন্তু সঠিক নিয়ম হল মনিটর সবসময় আমাদের চোখের লেভেলের নিচে থাকা অন্তত ১০ থেকে ১৫ সে.মি. ।এছাড়া মনিটর ৯০০ না রেখে রাখতে হবে ৭০-৮০০ তে।এবার একটি মাজার বিষয়ে আসাযাক।আমরা অনেকে কম্পিউটার এ কাজ করার সময় দির্ঘ সময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি ফলে আমাদের চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এর কারণ হল আমারা একদৃষ্টিতে তাকানোর ফলে আমাদের চোখের পানি শুকিয়ে যায় যার ফলে আমরা জ্বালাপোড়া অনুভব করি।কম্পিউটার ব্যাবহারকারী দের ডাক্তাররা একপ্রকারের বিশেষ ড্রপ দেন যা তাদের চোখকে দির্ঘক্ষন ভেজা রাখে।তাছাড়া তাদেরকে ২টি বিশেষ ভিশন থেরাপী দেয়া হয়।
১।২০-২০-২০ রুলঃ এর মানে হল আপনাকে প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০সেকেন্ডের জন্য কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে ২০মিটার দূরে তাকাতে হবে।
২।Cat-steriogram: এটি একটি বিশেষ কার্ড যার মধ্যে ২ টি বিড়ালের ছবিকে ১টি বানানোর চেষ্টা করতে হয়।
এ ছাড়াও যাদের চোখের পাওয়ার জনিত সমস্যা আছে কিংবা যারা কন্টাক লেন্স ব্যাবহার করেন তাদের কে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মতে বিশেষ ধরণের কম্পিউটার গ্লাস ব্যাবহার করতে হবে।যাদের চশমা আছে তাদের চশমায় বিশেষ কোটিং দিতে হবে এছড়াও তাদের ফ্রেমের ডিজাইন ও অন্যদের তুলনায় আলাদা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




