somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্নয়ন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের হাতে মোবাইল এসেছে বা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে এটা আলোচনার কোন টপিক বলে মনে হয় না। কারণ মানুষ একটু স্থৈর্যের সাথে চিন্তা করলে বুঝতে পারে এটা কাদের সফলতা। পুঁজিবাদের সফলতা নাকি কোন রাজনৈতিক দলের।
অনেকে দাবী করেন এদেশে গণতন্ত্র চলছে। আবার অনেকে দাবী করেন গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদ উভয়ের সমান ক্বদরের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে; অর্থাৎ গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের সমন্বয়ে দেশ চলছে। বস্তুত, দৃশ্যমান সব কিছুই কালো ধোঁয়া। ধোঁয়া কাটিয়ে উঠলে যা বেরোয় তা হচ্ছে, দেশ পুঁজিবাদের মাধ্যমেই চলছে। তবে পুঁজিবাদের বিপ্লব বলা যাবে না কেননা বিপ্লব আসতে অনেক দেরি। যদি পুঁজিবাদের বিপ্লব ঘটে তবে মানুষের অধিকার চরমভাবে বিঘ্নিত হবে। সকল অর্থের একচ্ছত্র মালিক হবে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আর সাধারণ জনগণ অতি নিম্ন জনগণে রূপ নিতে বাধ্য হবে। রোলারের চাকা লালে লাল হবে সর্বোচ্ছ হাড়ে; জনগণের রক্তে। নদীতে কৃষকের কান্নারা মিছিলে মিছিলে ভেসে যাবে। একটি রুটির জন্য বিকিয়ে দিবে গৃহবধূ তার মহা-মূল্যবান ইজ্জত। কিন্তু এই খবরগুলো কোন পত্রিকাওয়ালা ছাপাবে না। তাদের ছাপানোর সাহস লুণ্ঠন করা হবে অনেক আগেই; লুন্ঠনের কাজ শুরু হল মাত্র।(ডিজিটাল আইন দ্রষ্টব্য)

কিছু ভাইকে দেখা যায় শিল্প উন্নয়নের নামে ভোরের দাঁড়কাকের ন্যায় চিৎকার করতে; কিন্তু এখন আর দাঁড়কাকের চিৎকারে অশুভ কিছু ঘটে না। তেমনি শিল্প উন্নয়নের নামে মানুষকে আর ভ্রমে রাখা যাবে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে না; সেটা বলা যাবে না। পূর্বেই বলেছি, এসব উন্নয়ন, এগিয়ে যাওয়া বা উন্নতির জন্য দায়ী পুঁজিবাদ। হ্যা, এখন প্রশ্ন বটে, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবী কি মিথ্যা? এর সঠিক উত্তর হল, রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিবাদের চাকর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের সফলতা হল, প্রথমে তারা চাকর থাকে। কিন্তু সময়ের যাঁতাকলে জনগণকে পিষ্ট করে একসময় তারাও এক একজন পুঁজিবাদীতে রূপ নেয়। এটাই তাদের সফলতা।
‎এটাকে শিল্প উন্নয়ন তখন বলা যেত, যখন শিল্প কারখানার ব্যাপকতা তৈরি হত কেবল জনগণের স্বার্থে। কিন্তু কারখানা তৈরি হচ্ছে না তা নয়; তৈরি হচ্ছে, তবে পুজিবাদের ভূরিভোজনের স্বার্থে। এই ভোজনের জোগান হচ্ছে জনগণের মাংস ও হাড় আর পানীয় হচ্ছে জনগণের রক্ত।
‎যদি শিল্পকে তার সঠিক রাস্তার দিয়ে এগিয়ে নেয়া হত, তবে আমাদের দেশ উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌঁছানো কোন কল্পনা থাকতো না। বাস্তবেই আমরা উন্নয়নশীল দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারতাম। সময়ের সাথে ভৌগলিক সুবিধাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারতাম, তবে শিল্প তার সফলতা পেত আর আমরা পেতাম শান্তি। ভৌগলিক ভাবে আমাদের দেশ হচ্ছে কৃষিনির্ভরশীল দেশ। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে প্রথমে কৃষি শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর এই উন্নয়নের মাধ্যমেই কারখানা তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে; যেমনটা ঘটেছে চীনে। আমাদের অনেককে দেখা যায়, ভারতীয় সরকার ব্যবস্থা ফলো করতে। বস্তুত, ভারতীয় সরকার ব্যবস্থাও পুঁজিবাদী ও ধর্মান্ধ সমস্যায় জর্জরিত। আর তাই, আমাদেরকে ফলো করতে হবে চীনের দিকে। বর্তমানে যে কারখানাগুলো হচ্ছে বা চলছে, তা কেবলই পুঁজিপতিদের অর্থবৃদ্ধির কারণে। লেন সুবিধার ক্ষেত্রে তাদের পূজা করার জন্যই। যদি কৃষি থেকে উন্নয়ন শুরু হত, তবে শেখর থেকেই দরিদ্র বিমোচন হয়ে যেত। আমাদের একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখামে একজন ছাত্রের পেছনে সরকারের খরচ হয় তিন লাখের উপরে। ছাত্রদের নিজের ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কতটাকা খরচ হয় সেটা তো বর্ণনাতীত। এতো বিপুল খরচের পর একজন কৃষি গবেষককে যখন বিসিএস পরীক্ষার জন্য দৌঁড়ঝাপ দিতে দেখা যায় বা ব্যাংকে চাকরির জন্য নাকের ও চোখের পানি এক করতে দেখা যায় তখন আমাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। এই বিষয়গুলো সরকারের নজরে এনে দীর্ঘমেয়াদী একটা প্লান নেয়া প্রয়োজন। যদি এই গবেষকদের কৃষিকর্মে লাগানো যায় আর কৃষি খাতে সল্প মূল্যে আধুনিক যন্ত্র পাতির ব্যপকতা বৃদ্ধি করা যায় তবে নিশ্চিত দেশের উন্নয়ন ঘটবে।


সকাল ৭.০০
০৭/০২/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দুশ্চিন্তা দূর করার ১০ টি আমল: জেনে নিন

লিখেছেন মোঃ ফরিদুল ইসলাম, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৬

দুশ্চিন্তা দূর করার ১০ টি আমল:
১. ভালো-মন্দ তাকদিরের ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। কেননা তাকদিরের ওপর পূর্ণ আস্থাবান ব্যক্তিকে দুশ্চিন্তা কাবু করতে পারে না। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×