পাব্লিক বাসে কিংবা পাব্লিক প্লেসে
কিংবা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে
কিংবা অন্য যে কোন জায়গায়
যখন আপনি লক্ষ্য করবেন কোন যুবতির উপস্থিতি
তখন দেখবেন তার চারপাশে শকুনের রাজ।
আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি, সেখানে পাবেন
পশুর পাল,
মানুষরূপী কিছু বন্য পশুর পাল।
যাদের দৃষ্টিতে,
মুখের ভাষায়,
শারীরের ভঙ্গিমায়,
আকার ইঙ্গিত সব কিছু থেকেই
ধেয়ে আসে শকুনের হুংকার।
___________________________
মানুষের মধ্যে পশু চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কেউ তার সংখ্যা বলেছেন দশটি কেউ বা বলেছেন তার চেয়ে বেশি। কিন্তু প্রত্যেকেই এ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে প্রবৃত্তিকে সব চেয়ে ভয়ংকর দোষ বলে স্বীকার করেছেন। প্রায় সবাই এই প্রবৃত্তিকে নিয়ে অসংখ্য কথা বলে গেছেন। যার সারকথা এরকম, যারা প্রবৃত্তির পূজারি তারা কখনো মানুষের সজ্ঞায় পরে না, এদেরকে মানব রূপী পশু ছাড়া অন্য কিছু জ্ঞান করা যাবে না। এই প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। সব চেয়ে উত্তম ঔষধ বলা হয়ে থাকে ধর্ম পালনকে। প্রত্যেক ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে তার ধর্ম পালনে ব্রতী হয় তবে প্রবৃত্তির পূজা কমে যাবে। বলা হয়ে থাকে, যে যত জ্ঞানী সে তার নিজেকে ততই নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাধর, আর যে যত মুর্খ সে ততই প্রবৃত্তির পূজারী। আর তাই বলি, যদি সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরা নিজে ও নিজের পরিবারকে প্রবৃত্তির লালসা থেকে দূরে রাখে তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা সম্ভব। সম্ভব একটি শান্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। সম্ভব নারীর অধিকার রক্ষা।
তেইশ-দুই-আঠারো
রাত, দশটা
অবস্থান, পাব্লিক বাস
ছবি, ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮