somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

বিবেকের ডায়েরি থেকে একটু বলছি: ১

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উলঙ্গ হয়ে লাভ নেই, পোশাকেই ভালো আছি।।
***(প্রথম পর্ব)***
সাইয়িদ রফিকুল হক

বর্তমান বিশ্বে সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হলো—পোশাকি-মানুষ।এখনকার মানুষ নিয়মিতভাবে পোশাকআশাক পরিধান করছে।আর এখন, প্রায় সবাই ন্যূনতম পোশাক হলেও ব্যবহার করছে।শুনেছি, পূর্বকালে মানুষ নাকি পোশাকআশাক ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতো না(সকলের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়, অধিকাংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।তবে সেটা অনেক-অনেক আগে।এদের কিছু-কিছু নির্দশন এখনও আফ্রিকা-মহাদেশের বিভিন্নস্থানে দেখতে পাওয়া যায়।আর ইউরোপ-আমেরিকায় তো একদল “আধুনিক-জংলী” প্রকাশ্যে “সাংবাদিক-সম্মেলন” করে আনুষ্ঠানিকভাবে নগ্নতাকে জীবনে ধারণপূর্বক তারা প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এদের কথা আপাততঃ বাদ দিচ্ছি।কিন্তু কথা হচ্ছে, আজ আমাদের স্বাধীন-বাংলাদেশে অনেক মানুষের মধ্যে আচরণিক-সমস্যা দেখা দিয়েছে।এরা প্রকাশ্যে উলঙ্গ হচ্ছে না।কিন্তু ভিতরে-ভিতরে একেবারে উলঙ্গ।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিধৌত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে একশ্রেণীর মানুষ স্বেচ্ছায়-শখের বশে উলঙ্গ হওয়ার সাধনায় মত্ত হয়েছে।এদের মধ্যে “বখে যাওয়া” ‘তরুণ-তরুণী’র সংখ্যাই বেশি।এরা দেশকে ভালোবাসে না।এদের কাছে দেশপ্রেমটা হচ্ছে “জলন্ত একটা সিগারেটের মতো”।এরা দেশ ও রাজনীতিকে এক-করে দেখে এই দুটোর প্রতি উন্মাদের মতো অনাস্থা-জ্ঞাপন করে থাকে।এরা এখন নগ্নতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ, নগ্ন হলে নাকি জনপ্রিয় হওয়া যায়।তাই, এদের চেহারায় নগ্নতা, চাহনিতে যৌনতা, সর্বোপরি দৃষ্টিতে প্রগাঢ় কামভাব, আর পোশাকে একটা বেখাপ্পা-জোড়াতালি-ভাব।এখনকার অনেক বিভ্রান্ত “তরুণ-তরুণী” নিজেকে খুব আধুনিক ভাবার কারণে একেবারে খাপছাড়া-সৃষ্টিছাড়া হয়ে যাচ্ছে।আর এদের ‘বিকৃত-পোশাকে’র মতোই এদের ভাষাও হয়ে উঠছে মারাত্মক অশালীন ও বিকৃত।এরা সবসময় অশিষ্ট-ভাষা ব্যবহার করে, এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করে বিমল আনন্দ অনুভব করে থাকে।আজকাল এরা, পোশাকের পাশাপাশি ভাষাপ্রকাশের ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে উলঙ্গ হয়ে পড়ছে। আতঙ্কটা সেখানেই।এদের গন্তব্য কোথায়?এরা আসলে কী চায়?এরা এখনও বুঝতে পারছে না যে, মানুষের একটা ভাষা আছে।আর সেই ভাষাকে কখনও পশুর পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাবে না।মানুষকে মানুষের ভাষায় কথা বলতে হবে। আর মানুষের জন্য কিছু লিখতে চাইলে, তাও হতে হবে মানুষের ভাষায়।এখন অনেকেই “ফেসবুকে-ব্লগে” যে-সব রিরংসাবৃত্তির ভাষা প্রয়োগ করে তা একমাত্র ‘নিষিদ্ধ-এলাকায়’ কিংবা ‘নিষিদ্ধ-এলাকায়’ নিয়মিত যাতায়াতকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।এদের মনে রাখতে হবে, মনে চাইলেই সবকিছু করা ঠিক নয়।আর একটা-কিছু বলে দিলাম, তাতে এমন কী আসে যায়—এধরনের অপরিণামদর্শী চিন্তাভাবনা একেবারে বাদ দিতে হবে।এদের আর-একটা কথা মনে রাখতে হবে: একটা-কিছু লিখে দিলেই পণ্ডিত হওয়া যায় না।পাণ্ডিত্য-অর্জন করার জন্য বহু সাধনার প্রয়োজন।

সমাজে-রাষ্ট্রে “অশ্লীল-ভাষাব্যবহারকারীরা” আজ একেবারে উলঙ্গ হয়ে যে-কাউকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তার বিরুদ্ধে নিজেদের কল্পিত-মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এহেন অশ্লীল-ভাষায় আবোলতাবোল কথা লিখে যাচ্ছে।এদের গন্তব্য কোথায়?এদের ভবিষ্যৎ কী?এরা আসলে কী চায়?

আসলটা বুঝতে পেরেছি, এরা সমাজে-রাষ্ট্রে কিংবা বৈশ্বিক-পরিমণ্ডলে সস্তা-জনপ্রিয়তা-অর্জন করার অভিলাষে এমন অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এরা মনে করে থাকে, আজেবাজে কথার দ্বারা “আবোলতাবোল লেখা” বা “প্যাঁচাল” রচনা করতে পারলে সহজেই সস্তা-মানুষের দ্বারা বেশি পরিমাণে “লাইক” বা “সমর্থন” পাওয়া সম্ভব।আর এদের এই হীন-মানসিকতার কারণেই আজ আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে নতুন-নতুন ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে।কিন্তু এদের এই প্রবণতা আত্মহত্যার শামিল। আমরা মার্জিত কঠোর-ভাষার দ্বারা দেশবিরোধীদের সমালোচনা করবো।কিন্তু সমালোচনার ভাষা যেন কখনওই অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ না হয়।আমাদের ভাষা শাণিত হোক, বৈপ্লবিক হোক, আর একেবারে দ্রোহে পরিপূর্ণ এক-জ্বালাময়ী-ভাষা হোক।কিন্তু তা কখনও অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারবে না।তোমরা দেশের শিক্ষিতসমাজ।আর তোমরা হবে আগামীদিনের পথিকৃৎ।

সাহিত্যের একটা নিজস্ব-ভাষা আছে।আগে এটা উপলব্ধি করতে হবে।তারপর লেখনিশক্তি-ধারণ করতে হবে।তুমি বড় লেখক হও, বড় কবি হও, আমি তোমাকে স্যালুট দিবো।কিন্তু আলতুফালতু লোক হয়ে আজেবাজে ভাষায় কাসুন্দি ঘাঁটবে, তাতে তোমার গর্ব করার কিছুই থাকবে না।আর এমনটি করলে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন-বাংলাদেশে অন্ধকার।তাই বলছি: উলঙ্গ হয়ে লাভ নেই, পোশাকেই ভালো আছি।
(চলবে)
----------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×