এস এস সি পরীক্ষার মাত্র ১৫/১৬ দিন বাকী আছে। হটাত্ মাইগ্রেনের সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করলো। অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে নিচের দিকে তাকিয়ে পড়তেই পারিনা। তাছাড়া যা পড়েছি সবই ভুলে যেন গেছি। যাই পড়ি নতুন মনে হয়। অবশেষে পরীক্ষার দুই কি তিনদিন আগে ব্যাথা কিছুটা কমলো। পড়া শুরু করলাম পুরো দমে। অবাক করার বিষয় হলো আমি প্রায় রাত ৩-৪ টা পর্যন্ত পড়তাম আর আমারা মা আমার পড়ার টেবিলের পাশেই খাটে শুয়ে থাকতেন। যতক্ষণ না আমার পড়া শেষ হতো ঘুমোতেন না। পড়া শেষ হলে মশারী টাঙিয়ে বিছানা ঠিকঠাক করে দিয়ে তার পর শুতে যেতেন। আবার ফজরের সময় মাথায় আলতো করে হাত দিয়ে জাগিয়ে দিতেন। কারণ হুট করে ঘুম ভাঙলে মাথা ব্যাথা বেড়ে যেতো। যাই হোক এভাবে পুরো পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত মা আমার জন্য জেগে ছিলেন। অতপর যেদিন রেজাল্ট দেবে মায়ের সে কি উত্কন্ঠা! সারা জিন শুধু একটু পরপরই ফোন দিচ্ছিলেন। অবশেষে রেজাল্ট নিয়ে মায়ের কাছে যাওয়ার পর সেকি কান্না মায়ের । তবে সেটা ছিলো আনন্দের কান্না। সেদিন কিছুটা বুঝেছিলাম আসলে মায়ের ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না।
কোন দিবস বিশেষ নয় মাকে বছরের ৩৬৫ দিনই সমানভাবে ভালোবাসি।