এই তো কদিন অাগেই অামার এক অাদুরে পিচ্চি কে ঢাবি তে বিবিএ তে সুযোগ হয়নি বলে সান্তনা দিতে গিয়ে ওর কথা বলেছিলাম।।।
ছেলে টার নাম রাসেল! অামরা তাকে নটরডেম রাসেল বলতাম। কারন ২০০৫ সালে কমার্স থেকে হাতে গোনা গোল্ডেন ৫ দের মধ্যে সে ছিল একজন। অবশ্যই ইকটু ব্যতিক্রম, এক কথায় অদম্য মেধাবী! বোনের সংসারে ছিল মা সহ ;বাবা মারা গেছেন অনেক দিন অাগে যখন সে ছোট ছিল। যা হোক বোনের সংসারে থেকেই স্টুডেন্ট পড়াত অার ঘুমানোর সময় স্বপ্ন দেখত সে এক বড় অফিসার এবং তার মা সেই "অফিসারের মা" !! এভাবে স্বপ্নের ডাল পালা গুলো অারো বড়ো হয় যখন দুলর্ভ "গোল্ডেন ফাইভ" তার কাছে এসে ধরা দেয়। যাই হোক, অামি তার কাছে "বড় ভাই" হিসেবে পরিচিত। অামার সাথে তার সম্পর্ক লেনাদেনার , অামার বই গুলোই ছিল তার পাঠ্য বই! এক বছরের সিনিয়র ছিলাম তো! তাই অামার বই গুলোই তার বই হতো। এভাবেই সে গোল্ডেন পেয়ে স্বপ্ন বড়ো করতে নটরডেমে ভর্তি হয়। স্বপ্নও যেমন বড় হতে থাকল, সে সাথে দু:স্বপ্নও উকি দিতে থাকল। বাসায় বড় ভাইদের উদাসিনতা তাকে তার মায়ের জন্য অারো ভাবিয়ে তুলে ; বুঝতে বাধ্য হয় তাকেই শুধু ভাবতে হবে মা কে সুখে রাখতে। অার বাধ্যগত ভাবনার সাথে অারেক জনের সংসারে থেকে নানান কথা শুনে এবার পড়াশুনা টাও তার কাছে দুঃস্বপ্ন হতে লাগল। কি অার করা, যত যাই হোক স্বপ্ন তো পূরন করতে হবে তাই অাজ এর বাসায় কাল অামার বাসায় নানান ছলে অাসত অার এটা ওটা বুঝার অজুহাতে ঐ বাসাতেই নিজের পড়া কমপ্লিট করত।
...............................
প্রীয় পাঠক! অার গল্পটি লম্বা করতে চাইনা!! এবার বতর্মানে অাসি, অার বলি কঠিন বাস্তবতার কথা,,,, সেই অদম্য মেধাবী ছেলেটি গত কাল ভোর ৫ টায় চিরদিনের জন্য শান্তির ঘুমে ঘুমিয়ে পড়েছে!! চরম শান্তিতে!! নরম মাটিতে।।
.................
ওহ! দুঃখিত!! কথা রাখতে পারলাম না! ইকটু লম্বা করি গল্পটা, ঐ ছেলেটা কিন্তু এইচএসসির পর কোনো পড়া শুনা করতে পারেনি। গত ৮ বছরে প্রায় তিন বছর পাগলা গারদে কেটেছে,,,,,,,, অার সর্ব শেষ মৃত্যুর অাগে শোরুম সেলস ম্যান হিসেবে স্বপ্নের ইতি টেনেছে। প্রীয় পাঠক!! স্মৃতি জমাতে জমাতে অাজ অামি বড়ই ক্লান্ত।।