আমাকে অফিসে যেতে হলে ঢাকা বাইপাস হয়ে যেতে হয়! প্রতিদিন ঐপথে যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়িচালকদের প্রতি আমার প্রচণ্ড রকমের ঘৃণা জন্মে গেছে; এটা কেবলই বেপরোয়া গাড়িচালকদের কারণে। আজকের সংক্ষিপ্ত লেখা ঐ ঘৃণা থেকে নয়। সম্প্রতি চলমান ধর্মঘটের নামে সৃষ্ট অরাজকতা নিয়ে।
একদিকে শ্রমিক নামের অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের সন্তুষ্টিজনক কোন উত্তর না দিয়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হয়েছে আর অন্যদিকে ধর্মঘটের নামে ছাত্রছাত্রী থেকে নিয়ে সাধারণ পথচারীদের সাথে সন্ত্রাসের মত ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে!
আমি এদেরকে সন্ত্রাসের সাথে তুলনা করছি একারণে যে, সন্ত্রাস কখনো যাকে মারছে তার প্রয়োজন বা তার যে ফ্যামিলি আছে এবং সেও যে তার বোনের মত কারো বোন সেগুলো চিন্তা করে না। ঠিক তেমনি ধর্মঘটের নামে শুরু হওয়া অরাজকতা তৈরিকারী ও এদেরকে রাস্তায় নেমে আসার সুযোগ দানকারী কারো মাথায় এবিষয়গুলো আসে না।
গত হয়ে যাওয়া আন্দোলনগুলোর মধ্যে যারা যতবেশি জনগণকে দুর্ভোগে ফেলতে পেরেছে তারা ততবেশি সফল হয়েছে। এই সূত্র ধরেই ধর্মঘট পালনকারীরা এমন অরাজকতা সৃষ্টি করছে। ওপর দিকে সরকারি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির জন্য এতো বছর যাবত যে আন্দোলন চলে আসছে তা গতকাল মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ বাহিনী লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। বুঝতেই পারছেন, অপশক্তি ও সন্ত্রাসের মূল্য কত!
ধর্মঘটের নামে যারা এই অরাজকতারর নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। যদি বিএনপির মধ্য থেকে আন্দোলনের নামে এমন অরাজকতা সৃষ্টি হত, তবে এতক্ষণে মির্জা ফখরুল সাব চৌদ্দ শিকের ভেতর থাকতেন। হয়ে যেতেন বেগম জিয়ার প্রতিবেশী। আর গণহার গ্রেপ্তারের ফজিলতে আমজনতা হয়ে যেতো প্রতিবেশি শূন্য।
ধর্মঘট শুরুর প্রায় ছয় ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে বের হওয়ার সময় নৌমন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকদের এই নেতা বলেন, ‘এ আন্দোলন সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। যে বিষয়ে কিছু জানা নেই, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
‘আপনি শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতা। আপনি চাইলে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন ছেড়ে কাজে যোগ দেবে। শ্রমিকদের আপনি এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেবেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করব না।’
এখন স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে, জনগণের এই দুর্ভোগের জন্য কারা দায়ী?
ছবি ক্রেডিট : ইন্টারনেট
★★★ প্রিয় মডারেটর বৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই লেখাটি সামহোয়ারইনব্লগের নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য। নির্মল ভালবাসা সকল ব্লগার ও পাঠকের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩