(কাউকে পবিত্র/অপবিত্র করে তুলার লক্ষ্যে আজকের লেখা নয় বরং সত্যটুকু জানানোর চেষ্টা মাত্র।)
"দেশের কওমী মাদরাসার আলেমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধিতে ভূষিত করেছে" এমন একটা নিউজ চতুর্দিকে মারপিট করে ঘুরছে। যে নিউজের পুরোটাই অসত্য।
সংবর্ধনা বা খেতাম দানের পেছনে যে অপশক্তিগুলো কাজ করছে তার মধ্যে অতীতের কিছু মান্যবর আলেমদের সন্তান জড়িত। যারা তাদের পূর্বপুরুষের নাম ডুবিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। মানুষ নামডাক ও ক্ষমতার লোভে পড়লে নিজ ধর্ম থেকে নিয়ে আরো অনেক কিছু পাল্টাতে পারে এমনকি প্রয়োজনে ধর্মকে ইচ্ছেমত ব্যবহারও করতে পারে সেটারই নতুন একটা উপমা হয়ে গেলো কতেক পদলোভী আলিম কর্তৃক আয়োজিত ৩/১১/১৮ তারিখেরর সংবর্ধনানুষ্ঠান।
মুফতি! রুহুল আমিন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকা (সদর-কালিয়ায়) গণসংযোগ করছেন।
মুফতি! রুহুল আমীন হালুয়া খাওয়ার লোভে কওমী জননী বলে প্রধানমন্ত্রীকে যে বাতাসটুকু দিলেন মনে হয় না প্রধানমন্ত্রী এটা আমলে নিয়েছেন। যদিও প্রশংসাকারীদেরকে প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছে বেশি টাই দেন, তবে আবার সঠিক সময় এদেরকে লাতিও দিতে জানেন। প্রধানমন্ত্রী খুব ভালভাবেই জানেন যে, একজন রুহুল আমীনের কথায় আলেমসমাজ চলে না। আর উপাধি দেয়ার রুহুল আমীনই বা কে! রুহুল সাহেব তো আসন পাওয়ার জন্য তাকে মা ডেকেছেন । প্রধানমন্ত্রীর গুণকীর্তন করতে থাকা মানুষগুলোতে ভর্তি ছিল গতকালের সংবর্ধনানুষ্ঠানের মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে আজাইরা সাহেবরা নিজেদের গোপন চেহারা প্রকাশ করে দিলেন। মজার বিষয় হচ্ছে, প্রকাশ হওয়ার পরও কিন্তু এরা কওমী মাদ্রাসার ধারকবাহক।
মুফতি! ফয়জুল্লাহ, হাসানাত আমিনি, রুহুল আমিন প্রমুখ মানুষগুলো হেফাজতকে তাদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছেন। তারা ব্যক্তি আহমদ শফি থেকে নিয়ে আলেমসমাজের মুরব্বিদেরকে নিজেদের ছলচাতুরী দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে যেমন হেফাজতের মানচূর্ণিত করেছেন তেমনি কাওমীকে ধীরেধীরে নিজ স্বার্থে জবেহ করতে উদ্ধত হয়েছেন।
এই মানুষগুলোর কারণে জনসাধারণের কাছে ব্যক্তি আহমদ শফি সহ প্রমুখ মুরব্বিরা সম্মান হারাচ্ছেন। ব্যক্তি আহমদ শফি সহ সকল আলেমরা মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে, যার কারণে ধর্মের বিরুদ্ধে আসা সকল অপপ্রচারগুলো সরকারের সহায়তায় সমাধান করতে চেয়েছেন। দেখা যায়, সরকার থেকে যখন শান্তনা মূলক কোন সদুত্তর পান না তখনই তারা রাস্তায় নেমে সুষ্ট আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের সহায়তায় সমাধান করতে চেয়েছেন। যদি তারা হত্যার পক্ষে থাকতেন, তবে এই আন্দোলন-টান্দোলন না করে গোপণে তাদের শিষ্যদের দিয়ে কোন কুকাজ করিয়ে নিতে পারতেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সর্বাপেক্ষা ওয়াকেফহাল।
# হয়ত এই লেখাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দূষিত বাতাসে ডুবে যাবে কিংবা আমায় ব্যান করা হবে, এ'দুই প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ভয় না করে কিছু মানুষের চেহারা সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত ছিল, সেটারই সামান্য চেষ্টা করলাম মাত্র।
ধন্যবাদ
চলবে..
ছবি কৃতজ্ঞতায়: চাঁদগাজী ও ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫