somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নয় পতন হয়েছিল গোটা জাঁতীর

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পনের আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের স্বঘোষিত হত্যাকারী এবং হত্যা ষড়যন্ত্রের মূল নায়কদের একজন কর্নেল ফারুক একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবেই বলেছিলেন-
“শেখ মুজিবকে অবশ্যই মৃত্যুবরণ করতে হত। কারণ ঐ ব্যক্তিটি তার ধর্ম ইসলামের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে”। কথাটি যে সত্যের অপলাপ বৈ আর কিছু নয় তা বঙ্গবন্ধুর ইসলামের পক্ষে গৃহীত কর্মকাণ্ডতেই প্রমাণিত হয়। অথচ কর্নেল ফারুকের এই কথাকেই ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও।
কারা ছড়িয়েছে? কর্নেল ফারুকদের যে সেই সামর্থ্য ছিল না তা বলাই বাহুল্য। এটা তারাই ছড়িয়েছিল যারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ। জাতীয় পর্যায়ে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপনের জন্য সিরাপ মজলিস গঠন। বেতার ও টেলিভিশনে প্রতিদিনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা। আইন করে মদ,জুয়া,হাউজিং ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা এসব নিশ্চয়ই ইসলামের পরিপন্থী ছিল না।

তিনি ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশ বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।ওআইসিতে যোগদানের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি বাংলাদেশীদের জন্য সরাসরি হজ্বে যাওয়ার পথ সুগম করেন। যা করতে গিয়ে তাকে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে হয়েছিল। সেদিন তাঁর সেই উদার দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করেই মুসলিম বিশ্ব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা। এত এত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া।

বঙ্গবন্ধুর গায়ে এই অনৈসলামিক লেবেলটি সেটে দেয়া হয়েছিল মূলত তাঁর এবং আওয়ামীলীগের রাজনীতির অন্যতম মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই। অথচ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ যে চেতনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল তাঁর অন্যতমও এই ধর্ম নিরপেক্ষতা। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতাই যদি পনের আগষ্টের ঘটনার প্রধান কারণ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে যারা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী তারা আবার কিভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশিদারিত্ব দাবী করেন?

বঙ্গবন্ধু কি এটা বলেননি যে, 'আমি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলি, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মবিরোধিতা নয়। আমি মুসলমান, আমি ইসলামকে ভালোবাসি।' তিনি কি মাদ্রাসা শিক্ষার বরাদ্দ বাতিল করেছিলেন? করেননি। ১৯৭২ সালে ১৮ জানুয়ারি ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেন,'আমি একজন মুসলমান এবং মুসলমান একবারই মাত্র মরে, দু'বার নয়। আমি মানুষ। আমি মনুষ্যত্বকে ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি। অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস ১৯৭০ সালের রমজান মাসে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিদিন রোজা রাখতে দেখেছেন বলে তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।তারপরেও তিনি ইসলামিভাবাপন্ন ছিলেন না! ইসলামিভাবাপন্ন ছিলেন জিন্নাহ! আসলে আমাদের স্বভাব হল প্রতারিত হওয়া। ভণ্ডামিকে সত্য জ্ঞান করে প্রতারিত হওয়া। আর বঙ্গবন্ধুর দোষ বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তা ঐ ভণ্ডামির আস্রয় নিতে না পারাই।

তবে হ্যাঁ 'যার যার ধর্ম তার তার' ধর্মনিরপেক্ষতার এই ব্যাখ্যাটি বঙ্গবন্ধুই প্রথম উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রীয় জীবনের সাথে ধর্মকে একীভূত করার যে কুফল তার তো সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিল অখণ্ড পাকিস্তানই। আর তিনি তা সচক্ষে প্রত্যক্ষও করেন। কাজেই তাঁর পক্ষে এ দুটিকে আলাদা করে পাওয়ার স্বাধীনতাই যে প্রকৃত স্বাধীনতা বলে গণ্য হবে এটাই তো স্বাভাবিক। তিনি এ দেশের মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই স্বাধীনতা এনে দিতে চেয়েছিলেন আর তা শুধু একটি স্বাধীন ভুখন্ড দিয়ে নয়। মেধায় মননে চিন্তার যে স্বাধীনতা ধর্মীয় আচার পালনের যে স্বাধীনতা তিনি তাই দিতে চেয়েছেলেন সবাইকে সমান করে। সংখ্যাগরিষ্ঠরা স্বাধীনতার স্বাদ সংখ্যালঘুদের চেয়ে একটু বেশিই আশা করেছিলেন। যা বঙ্গবন্ধুর এই ধর্মনিরপেক্ষতা তত্ত্বের কাছে এসে হোচট খায়। তারা যে সেটা মেনে নিতে পারেননি তাঁর সবথেকে বড় প্রমান। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। আজ সুযোগ আছে কিন্তু চাইলেও বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে যে বাধা তাও এই সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরাগভাজন হতে না চাওয়া। আর এখানেই সেদিনের সেই ষড়যন্ত্রকারীদের সাফল্য।

আজকের পৃথিবীতে ইসলামের দুটি রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে একটি উগ্রবাদী অন্যটি উদারনৈতিক। বঙ্গবন্ধুকে আমরা সেই উদারনৈতিক চিন্তাধারায় অভ্যস্ত ইসলাম বিশ্বাসী একজন মানুষ বলে গণ্য করতে পারি। আর এক জন দায়িত্বশীল রাষ্ট্র প্রধান তাঁর রাষ্ট্রে সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চাইবেন এটাই তো স্বাভাবিক। আর সে জন্যেই তিনি ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষনে তিনী বলেন, আর হবে ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিস্টান, বৌদ্ধ- যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, বাংলার মানুষ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চায় না। রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে, তাহলে বাংলার মানুষ যে তাকে প্রত্যাঘাত করবে, এ আমি বিশ্বাস করি।'
কি আশচর্য্য, যে ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তান তৈরি হল, সেই ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের বৈধ মদ, জুয়া, হাউজিং সহ অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করতে হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে! পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দের কাছে ধর্ম যে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার বৈ আর কিছু ছিল না তা তাদের কার্যকলাপে বার বারই ফুটে উঠেছে। যা তারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করে এসেছে। সেই একই ধর্মীয় মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র আর কুটচালের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশকেও আরেকটি পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত স্বাধীনতার পর থেকে অব্যাহতভাবে চলেছে। এমনকি আজ অবধি তা বন্ধ হয়নি।

আমরা যখন শুনতে পাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এ দেশে মসজিদ থেকে আযানের ধ্বনি নয় শোনা যাবে উলু ধ্বনি, আমরা যখন শুনতে পাই আওয়ামী লিগ নাস্তিকের দল। তখন সেই ধর্ম ব্যবসায়ি জিন্নাহকেই বারবার মনে করিয়ে দেয়। মনে হয় তারই প্রেতাত্মা নতুন করে যেন আমাদের ঘারে এসে চেপে বসেছে। নিজে একজন নাস্তিক হয়েও যেমন জিন্নাহ ইসলামের সেবক সেজে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। ঠিক একই ভাবে কর্নেল ফারুকদের মত খুনিরাও নিজেদের কু কর্মকে জায়েজ করতে ধর্মকে ব্যবহার করেছে। আর আজও সেই একই ভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে তাদের ধোঁকাবাজি কখনো কখনো তাদেরকেই হাসির খোরাকে পরিণতও করেছে। যখন নাস্তিকের দল বলে বলে মুখে সমান তালে ফেনা তুলে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে হেফাজতে ইসলাম উদগ্রীব। ঠিক সেই একই সময়ে হেফাজতের আমীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত কর এ দেশের নারী সমাজকে চলা ফেরার অসিয়ত করেন! যা তাদের মিথ্যেকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

স্বীকার না করলেই কি কোন সত্য মিথ্যে হয়ে যায়? বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় ইসলামের প্রসারে মৌলিক কাজগুলো করে গিয়েছিলেন ঠিক তেমনি পরবর্তীতে তারই কন্যার হাত ধরে এ দেশে মাধ্যমিক পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে। হাজার বছরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে।

শেখ হাসিনার নিজ উদ্যোগে দেশে ‘ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট’ গঠিত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় (ইসলাম) শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর কোনটাই তথাকথিত ইসলামের সেবকরা করেননি। করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। ইসলামের সেবা করতে হলে শুধু কথা নয় এর প্রসারে কাজ করা চাই। আর সে কাজটি কারা কতটা করেছেন তাঁর হিসেবেই বয়লে দেয় আসলে কারা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে আর কারাই বা সেবক।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং তাঁর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা এর কোনটাই ধর্মের জন্য নয়। যদি তাই হত তাহলে তাঁর ডান হাতের যে তর্জনী উঁচিয়ে তিনি জনসভায় বক্তৃতা দিতেন সেটি খুনিরা বেয়োনেট দিয়ে কর্তন করত না। ঐ তর্জনীটি শুধু মাত্র একটি তর্জনী ছিল না ওটা ছিল বাঙ্গালি জাঁতীর দিক নির্দেশক। কাজেই ওর ওপর আক্রোশটিও ছিল সীমাহীন। পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে সাথে কি গোটা জাতিরই পতন হয়নি?

সেদিন এই জাঁতী মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বিশ্বাস, সম্মান, স্বকীয়তা কি না হারিয়েছিল? পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর মতই ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছিল এ দেশের সংবিধান। পুনর্বাসিত করা হয়েছিল পরাজিত শক্তিকে, পরিবর্তিত করা হয়েছে জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা, জাতীয় শ্লোগান। ইনডেমনিটি জারি করে রাষ্ট্র বর্বর রূপ ধারণ করল। বদলে গেল রাষ্ট্রের আদর্শিক চরিত্র। শুধু মাত্র পরে থাকল পরাজিত শক্তির পাপ আর মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অভিশাপ। যে অভিশাপ মুক্ত হতে লেগেছে চল্লিশটি বছর। কিন্তু তারপরেও কি আমরা পুরোপুরি অভিশাপ মুক্ত হতে পেরেছি। প্রধান একটি দলের নির্লজ্জ রাজাকার তোষণ, উগ্র জঙ্গিবাদের ক্রম বিকাশ, মিথ্যে ইতিহাসের নতুন প্রবক্তার আবির্ভাব, আওয়ামীলীগের নিজ গৃহে শ্বাপদের সাথে সহবাস। আমাদের এখনো করে তোলে সমান শঙ্কিত।

তথাপিও বলব, এটাই উপযুক্ত সময় একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে পিষে মারার। সেই সাথে তাদের দোসরদের, যারা ভাল মানুষীর খোলসে এতটা দিন ধরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তাদের আসল চেহারাটা উন্মোচিত করার। বঙ্গবন্ধু দেশকে পাকিস্তান মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ঠিকই আভ্যন্তরীণ দেশ বিরোধী শক্তিকে নয়। সে কাজটি আজ তাঁর কন্যাকেই করতেই হবে। এটাই আসল কথা, এটাই শেষ।

[email protected]
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×