somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর অধিকার ও ইসলাম... (এড়িয়ে যাবেন না, প্লিজ)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ বিশ্বের যা কিছু কল্যাণকর তার অর্ধেকই নারী জাতির অবদান।নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতি। পুরুষের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে এবং নারীকে অবহেলিত করে আদর্শ সমাজ গঠিত হতে পারে না। পুরুষের ভূমিকার পাশাপাশি নারীরও সমৃদ্ধ দেশ এবং সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।


কিন্তু কথিত আধুনিক ও সভ্যতার যুগেও প্রতি দিন বহু সংখ্যক কিশোরী ও যুবতী কিংবা নারী অমানবিকতা, নৃশংসতা, পাশবিকতা এবং নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত কয়েক দশকে পশ্চিমা সমাজ নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়ার নামে নারীর অধিকার পুনরুজ্জীবিত করার এবং তাদেরকে সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এরপরও বিশ্ব নারী সংস্থার পরিচালক ও বিশিষ্ট লেখিকা শার্লোট পাঞ্চ লিখেছেন, বিশ্বের জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কেবল নারী হবার কারণে প্রতিনিয়ত, নির্যাতন, অবমাননা, ক্ষুধা এবং এমনকি হত্যারও শিকার হচ্ছে।

আর এ ক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম আল ইসলাম যা নারীকে মর্যাদার শীর্ষাসনে সমাসীন করেছে।

ইসলাম আসার পূর্বে নারীদের অবস্থানঃ


"যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞেস করা হবে;কোন্ অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ১(-সূরা তাকভীর, আয়াত : ৮-৯)
এই আয়াতে নারীর বিষয়ে জাহেলী যুগের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। সে সমাজে পুরুষ ও জীবজন্তুর মধ্যস্থলে ছিল নারীর অবস্থান। কন্যা সন্তানের জন্ম সেখানে ছিল অভিশাপ আর অপমানের বিষয়। যেন তা মহাপাপ বা স্থায়ী অমর্যাদার কারণ। অপমানবোধ আর মর্যাদা রক্ষায় জীবন্ত কবর দেয়া হতো কন্যা সন্তানকে। কত হীন মানসিকতা ও কতটা অপমানবোধ হলে মানুষ নিজের ঔরসজাত সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে ফেলতে পারে! সেখানে তো নারীকে মানুষ বলেই গণ্য করা হতো না। না নিজের সত্তার ওপর ছিল তার কোনো অধিকার, না সম্পদের উপর; বরং সে নিজেই ছিল সম্পদ;ওয়ারিসসূত্রে যার হাত বদল হত।

ইসলাম এল, নারী মুক্তি পেল। ঘোষণা হল, কত নিষ্ঠুর তোমাদের এ কাজ। কন্যা সন্তানের জন্মকে বলা হল ‘সুসংবাদ’

"তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তানের ‘সুসংবাদ’ দেয়া হয় তখন তার চেহারা মলিন হয়ে যায় এবং সে অসহনীয়
মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। সে এ সুসংবাদকে খারাপ মনে করে নিজ সম্প্রদায় থেকে লুকিয়ে বেড়ায় (এবং চিন্তা করে ) হীনতা স্বীকার করে তাকে নিজের কাছে রেখে দেবে,নাকি মাটিতে পুঁতে ফেলবে। কত নিকৃষ্ট ছিল তাদের সিদ্ধান্ত। ২(সূরা নাহল,আয়াত : ৫৮-৫৯)


নারীর অধিকার কী?

নারীর অধিকার হলো সেই সমস্ত অধিকার যা-নারীকে আইনগত ও সামাজিক অবস্থান আদায় করে দেয় যেগুলো পুরুষ ভোগ করছে এবং তাতে পুরুষের অধিকার রয়েছে।
অর্থাৎ আমরা এ কথা বলতে পারি যে, পুরুষেরা যে সমস্ত অধিকার ভোগ করে নারীদেরকেও অনুরূপ সুযোগ সুবিধা দেয়াকে নারী অধিকার বলে। ইসলাম নারী-পুরুষের অধিকারসমূহ সমান্তরালভাবে দিয়েছে। ইহা সমান বটে কিন্তু একই রকম নয়। ইসলামী শিক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।নিম্মে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নারী অধিকার আলোচনা করা হলোঃ-

১. নারীর ধর্মীয় অধিকার

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বোঝা যায় যে, ইসলাম নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নির্ধারণ করেছে। ইবাদত-বন্দেগি, নামাজ, রোজা, হজ, যাকত, জিকির-আযকার, দান-খয়রাত সকল ক্ষেত্রে সমান ঘোষণা করেছে।

যেমনঃ ৩।আল্লাহতায়ালা সূরা নিসার ১২৪ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেছেন, “যে ব্যক্তি কোন ভালো কাজ করবে পুরুষ হোক বা নারী হোক সে যদি ঈমানদার হয় অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে এতে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত করা হবে না।”
এ আয়াতের আল্লাহতায়ালা নারী ও পুরুষের জন্য জান্নাত লাভের ক্ষেত্রে জেন্ডার বা লিঙ্গের কোন শর্তারোপ করেননি বরং তিনি কর্মের কথা বলে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন।

২. নারীর সামাজিক অধিকার

ইসলাম নারীকে যে সামাজিক মর্যাদা দিয়েছে তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সামাজিক ক্ষেত্রে নারীদেরকে ইসলাম শুধু পুরুষের সমান অধিকারই দেয়নি বরং অনেক অনেক বেশি অধিকার দিয়েছে।

ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিয়ে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করত। জাহিলিয়াত এখনও নির্মূল হয়নি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঈড়সঢ়ঁঃবৎ-এর মাধ্যমে গর্ভে ভ্রƒণ সনাক্ত করে কন্যাসন্তান হলে তাকে পৃথিবীতে আগমনের পূর্বেই মাতৃগর্ভে হত্যা করা হয়।

তামিল নাড়– ও রাজস্থানের মত রাজ্যগুলোতে বিলবোর্ড এবং পোস্টার ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় যে পাঁচশ টাকা খরচ করুন ৫ লাখ টাকা সেভ করুন। এ হলো ভারতের কন্যা সন্তানের অবস্থা। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে ভারতের এজেন্ডায় আমাদের দেশে নারীনীতির নামে নারীদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করার লক্ষ্যে কুরআনবিরোধী নারীনীতি বাস্তবায়নের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ইহার কিছু প্রভাব দেখা যায়। কন্যাসন্তান জন্মের সংবাদ শুনলে চাঁদের ন্যায় চেহারা মলিন হয়ে যায়।

ইসলাম শুধু কন্যাসন্তান হত্যা হারামই করেনি বরং পুত্রসন্তান হলে আনন্দ অনুষ্ঠান আর কন্যা সন্তান হলে মুখ কালো হওয়াকে ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে। উপরন্তু ইসলাম কন্যাসন্তানকে উত্তমভাবে লালন পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। মুসনাদে আহমদ এ-বর্র্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তির দু’টি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করবে আর তাকে ভালোভাবে লালন পালন করবে সে ও আমি জান্নাতে এমনভাবে পাশাপাশি অবস্থান করব।”

৩. নারীর আইনগত অধিকার

ইসলামী শরিয়তের মতে নারী- পুরুষ এক সমান। ইহা নারী ও পুরুষের জান, মাল ও ইজ্জতের অধিকার সমানভবে দিয়ে থাকে। ফলে আইনের অধিকারও একই রূপ। ইজ্জতের ক্ষেত্রে নারীর অধিকারকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

ইসলামী বিধিবিধানে শারীরিক ক্ষতির শাস্তি পুরুষ ও নারী নির্বিশেষে সম্পূর্ণ সমান। যেমনঃ ৪।সূরা মায়েদার ৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন “চোর পুরুষ হোক বা মহিলা হোক যখন চুরি করবে তখন তোমরা হাত কেটে দেবে।”
অনুরূপভাবে ৫।সূরা নূরের ২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ব্যাভিচারী পুরুষ ব্যাভিচারী নারী যেই হোক তাকে একশটি বেত্রাঘাত কর।” ইসলাম শারীরিক শাস্তির বিধান পুরুষ ও নারীর জন্য সমান করে দিয়েছে। তবে মহিলাদের চরিত্রকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ইসলাম যুগান্তকারী বিধান কায়েম করেছে। যা পুরুষের জন্য করা হয়নি। যেমন আল্লাহতায়ালা বলেন, “যারা পবিত্র চরিত্রের নারীদের প্রতি অপবাদ দেবে তাদেরকে প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। যদি তারা তা না করে তাহলে ৮০টি বেত্রাঘাত করো এবং ভবিষ্যতে তাদের কোন সাক্ষীই গ্রহণ করা হবে না।” ৬(সূরা আন নূর : ৪)

৪.নারীর উত্তরাধিকার অধিকার

বর্তমানে নারীদের সমানাধিকারের নামে ইসলামবিরোধী নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইহা নারীদের জন্য কল্যাণকর মনে হলেও বাস্তবে ইহা নারীদের জন্য বঞ্চিত হওয়ার মুখ্য কারণ হবে। উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ইসলাম নারীদেরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তাতে নারীদের ঠকায়নি বরং উচ্চ মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছে।

এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, “তোমাদের সন্তানদের ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে একজন ছেলের অংশ দু’জন মেয়ের সমান। মৃতের সন্তান যদি শুধু মেয়েই হয় দুই বা দুয়ের অধিক। তাহলে কন্যারা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ। যদি কন্যা একজন হয় তাহলে পাবে অর্ধেক। মৃত বক্তির সন্তানাদি থাকলে মৃতের পিতা-মাতা উভয়ের অংশ এক ষষ্ঠাংশ। আর যদি সন্তানাদি না থাকে আর পিতা-মাতাই শুধু ওয়ারিস হয় তাহলে মাতা পাবে এক-তৃতীয়াংশ। এগুলো বণ্টন হবে মৃতের ওসিয়ত এবং দেনা পরিশোধের পর। তোমাদের জানা নেই যে, তোমাদের বাবা দাদা এবং নিচের দিকে পুত্র-পৌত্র এর মধ্যে উপকারের দিক থেকে কারা বেশি আপনজন। এই বিধান খোদ আল্লাহর নির্ধারিত। আর আল্লাহতায়ালা সবকিছু মহাবিজ্ঞ বিচারপতি। ৭(সূরা আন নিসা ১১-১২)। ইসলামে উত্তরাধিকার নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর অংশ অর্ধেক বটে তবে সর্বক্ষেত্রে নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সমান পায় যেমন মৃতের কোন সন্তান না থাকলে মাতা-পিতা দু’জনেই এক- ষষ্ঠাংশ করে পায়। মৃত ব্যক্তি যদি নারী হয় আর তার কোন সন্তান না থাকে তাহলে স্বামী পাবে অর্ধেক। মাতা এক-তৃতীয়াংশ এবং পিতা এক-ষষ্ঠাংশ পাবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, কোন কোন ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের দ্বিগুণও পেয়ে থাকে।



★বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান ও ইসলাম★

আজকের ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজ নারী মুক্তির মেকি শ্লোগান দিয়ে কী পেতে চায়? আর নারীকেই বা কী দিতে চায়? নইলে নারীকে কেন হতে হয়; নতুন মডেলের গাড়ির ‘মডেল’,পণ্যের এ্যাডে ‘নারীপণ্য’? অর্থের বিনিময়ে কেন কেনা যায় নারীর রূপ-যৌবনের চিত্র? নারীকে রক্ষা না করে কেন তাকে ধোকা দেয়া হয় এই বলে, ‘তুমি যৌনকর্মী (তুমি কর্ম করে খাচ্ছ)? নারী কেন ওয়েটার? কেন সে রূপ-যৌবন নিলামকারী বিমানবালা,সেল্সম্যান? কেন ইডেন,জাহাঙ্গীরনগর ও অন্যান্য নারী কেলেঙ্কারী নারীবাদী সংগঠনগুলোর আন্দোলনের বিষয় হয় না....? আরো কত শত দৃষ্টান্ত,যা কারো অজানা নয়। তারপরও...?

ওরা যদি নারীর মর্যাদা,অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই চাইত,তাহলে নারীর মর্যাদা আর নিরাপত্তা রক্ষা হয় এমন পথই বেছে নিত। যেটা করেছে ইসলাম। ইসলাম কি নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে অস্বীকার করে? তাহলে দেন মোহর,মিরাস এবং মর্যাদা ও নিরাপত্তা ঠিক রেখে অর্থ উপার্জনের অধিকার কেন দিয়েছে? (তার উপর তো কারো ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেই)
নারী শুধু ভাবে, নারীর জন্য এত শর্ত কেন ইসলামে? তারই নিরাপত্তার জন্য,মর্যাদা রক্ষার জন্য।
ইসলাম কি শিক্ষার অধিকার দেয়নি নারীকে? দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার নামে নিরাপত্তাহীন পরিবেশে ছেড়ে দেয়নি।
তাই আজ ভাবতে হবে, কে নারীর প্রকৃত কল্যাণকামী?

সব শ্লোগান যখন থেমে যায়,নারীর যখন চোখ খোলে (সবকিছু হারানোর পর) তখন সবকিছুর দায় ও বোঝা কাকে বহন করতে হয়? এমনকি পশ্চিমেও? আর আইন? সেওতো অবলা হয়ে গেছে!
ইসলাম দিয়েছে নারীর নিরাপত্তা আর মর্যাদা। শুধু তাই নয়,যে পুরুষের কাছে নারীর কোনো মর্যাদা ছিল না, তার চরিত্রের ভালো মন্দের বিচারক বানানো হল নারীকে। ঘোষণা হল, তোমাদের মধ্যে সেই পুরুষ সবচেয়ে ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো।

নারী নাম উচ্চারণ ছিল অপমানের, সেখানে আল কুরআনের সূরার নাম হল ‘নারী’ ৮(সূরা নিসা)

আর এত্ত কিছুই শুধুই ইসলামই দিয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো সমাজ, কোনো ধর্ম ও দিতে পারেনি!!

উপসংহার:-
উপরিউক্ত আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে বলতে পারি যে, ইসলাম নারীদেরকে ঠকায়নি। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও সমানাধিকার দিয়েছে এবং সম্মানিত করেছে। আর যারা বলেন, ইসলাম নারীদেরকে সম-অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, তারা যদি সত্যের সন্ধানী হন আর প্রকৃতই নারীর সমানাধিকার চান তাহলে ইসলামী শরিয়তের মূল উৎস কুরআন ও হাদিস ভালোভাবে অধ্যয়ন করে দেখুন ইসলাম নারীদেরকে সামগ্রিকভাবে সমান অধিকার দিয়েছে এবং ইসলাম যে ব্যাকডেটেড নয় বরং এটি একটি খধঃবংঃ গড়ফবৎহ ধর্ম তা অনুধাবন করতে পারবেন। আর যে সব নারী পশ্চিমা সভ্যতার পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নারী অধিকারের নামে চিৎকার করে সমস্ত নারী জাতির মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে তাদেরও উচিত ইসলামের প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করে নিজেদেরকে মহীয়সী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আত্মনিয়োগ করা এবং ইসলাম যে মর্যাদা দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা!!


তথ্যসূত্রঃ

১. সূরা আত-তাকবীর ৮-৯

২.সূরা আন- নাহল-৫৮-৫৯

৩. সূরা আন-নিসা-১২৪

৪. সূরা- আল মায়েদা-৩৮

৫. সূরা -আন নূর-০২

৬. সূরা আন নূর-০৪

৭. সূরা- আন নিসা-১১-১২

৮.সূরা- আন নিসা
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×