রাস্ট্রের বাপ থাকবে...!
রাষ্ট্রের ভাষা থাকবে..!
রাষ্ট্রের নিজেস্ব পতাকা থাকবে।
রাষ্টের মানচিত্র থাকবে!
রাষ্টের সরকার ও থাকবে।
এত্ত কিছু থাকবে...খালি ধর্মটাই থাকবে না না? কি ভাই চুল্কায় নাকি ইসলামের নাম শুনলে? আগা থেকে গোড়া পর্যান্ত চুলকায়?
বাংলাদেশ সৃস্টিতে এদেশের মুসলমানদেন অবদানঃ
বাংলাদেশ জন্মের শুরু থেকে আসি, ১৯৫২ তে ভাষা আন্দোলনের সময় ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে যে কয়জন শহীদ হয়ে ছিল তাদের সবাই ছিল মুসলিম। অর্থাৎ মুসলমানদের রক্তের বিনিময়েই এদেশে বাংলা ভাষা এসেছে...!!
.
তারপর ১৯৭১ এ আসা যাক, ৭১ এ এদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি। আর তার মোধ্যে ৫-৮% ছাড়া সবাই ছিল মুসলিম। সে হিসাবে ৭১ এ ৩০ লক্ষ শহীদের মোধ্যে ২-৩% ছাড়া সবাই ছিল মুসলিম। এমনকি বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জনের ৭ জনই ছিল মুসলিম। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধটা ও এদেশের মুসলমানদের রক্তের বিনিময়েই এসেছে।। (অন্য ধর্মের মানুষদের অবদান অস্বিকার করছি না আমি)
.
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকা, না থাকাঃ
উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম। আর যেহেতু এদেশটা গণতান্ত্রিক দেশ, সেহিসাবে এদেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকতেই হবে। গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শাসন।
.
আরেকটা বিষয় হচ্ছে এদেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। এরমানে এ নয় যে, বাংলা ভাষার মানুষ ছাড়া এদেশে আর কোনো ভাষার মানুষ কথা বলতে পারবে না। সবাই যার যার নিজের ভাষায় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে..! তেমনি সব ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
.
এত্তদিন যেহেতু রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকায় দেশে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়নি হবে ও না। সমস্যা তখনি সৃষ্টি হবে যখন রাস্ট্র ধর্মটা আমরা বাদ দিয়ে দিব।
এদেশের মুসলামরা এটা বিশ্বাস করে যে যার ধর্ম সে নিজে পালন করবে, কোনো ধর্মের উপরেই এদেশের মুসলমান হস্তক্ষেপ করেনি, করবে ও না।
.
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া, মায়ারমারের দিকে তাকালে আমরা সেটার স্পষ্ট ধারনা নিতে পারব। সে সব দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হওয়ার কারনেই অনেক অত্যাচারিত হচ্ছে, প্রতিনিয়ত। তারা তাদের ধর্মের সব কাজে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সে হিসাবে এদেশের সংখ্যালঘুরা হাজার গুণে ভালো আছে...এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতই বসবাস করতেছে এদেশে।
তার তুলনায় মুসলমানরাই এদেশে বন্দি, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া স্বত্তে ও তাদের ধর্মীয় কাজ পালন করার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হয়। ধর্মীয় কাজে বাধাগ্রস্ত হয়।।
.
যাইহোক, আমরা বিশ্বাস করি সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্মীয় রিতিনীতি পালন করার অধিকার রয়েছে , শুধু আমরা না পৃথীবির সব মুসলিম দেশেরই সংখ্যলঘুরা নিরাপদ।
.
পরিশেষে শুধু এটাই বলতে চাই যে, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম। তাই সংবিধানে ইসলাম আছে, যে দিন এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্য কোনো ধর্মের লোক যাবে, সেদিন ই রাষ্ট্র ধর্ম পরিবর্তন হবে। যা হওয়া উচিত......
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




