somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি ও ধর্ষণের অভিযোগ

২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুধুমাত্র খাগড়াছড়ি থেকেই ইউপিডিএফ বৎসরে চাঁদা আদায় করে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার। অপহরণ বাণিজ্যে আরও ৪-৫ কোটি টাকার মত। পুরো পার্বত্যাঞ্চলে সবগুলো উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠির চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যে বার্ষিক আয় প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। এর এক-চতুর্থাংশ ব্যয় হয় অস্ত্র কেনায়। প্রতিটা সন্ত্রাসী সদস্যের কাছে একটা করে কেলাশনিকভ রাইফেল আছে (বর্তমানে এদের চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে বিজিবির ক্যাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে)। স্থানীয় বাঙালিরা তাদের দয়ায় আতঙ্কে বেঁচে আছে। তারা বন্দি সেটেলার পাড়ার ক্ষুদ্র চৌহদ্দিতে। তাদের শিক্ষা নাই, জিয়া এনে তাদের এখানে সেটেল করেছিল বলে বর্তমান সরকার তাদের প্রতি বিরূপ। তাদের পক্ষে কেউ নাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম রিজিওনাল কাউন্সিল, ৩টি পার্বত্য জেলা কাউন্সিলসহ সকল প্রতিষ্ঠানে আছে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। সংসদ, উপজেলা এবং ইউনিয়ন নির্বাচনেও আছে উপজাতিদেরই একক প্রাধান্য। প্রশাসনের সকল ক্ষমতা নিয়ে তারা বাঙালিদের উপর সকল বৈষম্য চালায়। বাঙালি পাড়ায় রাস্তাঘাট বা ইলেক্ট্রিসিটি বা ক্লিনিক বা প্রাথমিক স্কুল বা বাজারঘাট সংস্কার তারা কখনও অনুমোদন করে না।

অর্থাৎ, তাদের আছে অস্ত্রের ক্ষমতা, সন্ত্রাসী দলের সুবিধা ও সহযোগীতা, তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, বামপন্থী ও ছুপা বামপন্থী মিডিয়া ও দলগুলোর সর্বাত্মক সহযোগীতা। আছে সরকারের পরোক্ষ সমর্থন (সেটেলারদের শত্রু বিবেচনায়)। আছে সাংবিধানিক সকল পার্বত্য প্রতিষ্ঠানে একচ্ছত্র আধিপত্য, সকল নির্বাচনী পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এত কিছুর পরে উপজাতিদের পার্বত্য এলাকায় দুর্বল বা কোনভাবে বৈষম্যের শিকার ভাবা নির্বোধ মনবৈকল্যের লক্ষণ।

চাকমারা পার্বত্যাঞ্চলের সকল সুবিধাভোগী। এমন কি, মারমারা ছাড়া অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোও নয়। চাকমাদের শিক্ষার হার ৯০%, উপজাতি চাকুরি ও উচ্চশিক্ষা কোটার প্রায় পুরোটা তারাই (দেশের জনসংখ্যার ০.৫ শতাংশ হয়েও) ভোগ করে।

এবার আসি ধর্ষণ প্রসঙ্গে। ধর্ষন একটি ঘৃন্য অপরাধ, তাকে কোনভাবে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নাই। কিন্তু ধর্ষনের অভিযোগ আনাকে একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করলে সত্যিকারের অপরাধ তাতে চাপা পড়ে যায়, সেখানে ভিন্ন ভাবনার অবকাশ আছে। বাঙালিরা যেমন উপজাতি মেয়েদের ধর্ষণ করে, উপজাতিরাও বাঙালি মেয়েদের সুযোগ পেলেই ধর্ষন করে, প্রথম আলো টাইপ পত্রিকা বা সুলতানা কামাল টাইপ বুদ্ধিজীবিরা সেটা কখনও মুখে আনেন না, উল্টোটা হলে তাদের মুখে/কলমে খই ফুটে। তবে বাঙালি মেয়েরা যেহেতু সেটেলার পাড়ায় বন্দি থাকে, তাদের উপজাতিদের পক্ষে ধর্ষন করার সুযোগ কম থাকে, উল্টোটা উপজাতি মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যদিকে কোন বাঙালি মেয়ের উপজাতি ছেলের প্রেমে পড়া একটা বিরল ব্যাপার। উপজাতি মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টা, বাঙালি ছেলেরা তাদের সহজাত পছন্দের তালিকায় বরাবর থাকে। এখানে অন্তত অর্ধেক ধর্ষণের ঘটনা প্রকৃতপক্ষে প্রেমঘটিত ব্যাপার। কোন বাঙালি ছেলের সাথে প্রেম হলেই তাকে ধর্ষণের গল্প বলে প্রচার করা উপজাতিদের একটা প্রিয় ঘৃন্য ট্রিকস। এক চাকমার ব্লগে আফসুস দেখেছি, বাঙালি ছেলেদের প্রতি তাদের মেয়েদের অবসেশন দেখে, এমনকি কনকচাঁপা চাকমা কেন বাঙালি বিয়ে করলেন তাতেও ছিল বিষোদ্গার। এই ভিডিওটা দেখে বিষয়টা খানিক আন্দাজ করতে পারবেন।


আসি অন্য প্রেক্ষিতে, উপজাতিদের আদিবাসী পরিচয় দিয়ে জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইস্ট টিমর ও দক্ষিন সুদানের মত করে স্বাধীন করার একটা ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে ২০০৭ থেকে। সেই ষড়যন্ত্রে আছে সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, এদেশে রাজা দেবাশিস চাকমার কাপেং ফান্ডেশনসহ অসংখ্য দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রী মহল (বর্তমান সরকার ঐ ষড়যন্ত্রে প্রায় পা দিয়ে ফেলেছিল, শেষ মুহূর্তে ফাঁদ কেটে বেড়িয়ে আসে). উপজাতিদের কাছে বিস্তর অস্ত্র থাকলেও তারা সেসব পারতপক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে না, শুধু চাঁদা আদায় ও অপহরণ বাণিজ্যে এবং নিজেদের মধ্যে [ইউপিডিএফ, জেএসএস (মূল) ও জেএসএস (সংস্কার)] আধিপত্য বিস্তারের জন্য ব্যবহার করছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভবিষ্যত যুদ্ধে শক্তি সঞ্চয় ও তা ধরে রাখার কৌশল নিয়েছে। গত দুই বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের অসংখ্য অস্ত্র চোরাচালান উপজাতি সন্ত্রাসীসহ ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ধরা পড়েছে। ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়ার একাধিক তথ্য জানা গেছে। বিশেষ মহল থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধে যাবে, তা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই সময়ে তারা বাংলাদেশের সরকার, সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙালিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, শান্তিচুক্তি না মানা ইত্যাদি অভিযোগে ইন্টারনেট ও মিডিয়ায় সুপরিকল্পিত ঘৃনোদ্দীপক ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। [২০১৫ সালে শুধুমাত্র ০১ জানুয়ারি ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০দিনে জাতীয় পত্রিকাগুলো উপজাতিদের পক্ষে ৬১টি নিউজ করেছে। সূত্র- সিএইচটি কমিশনের ওয়েবসাইট]

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিচুক্তির বলে ন্যূনতম আভিযানীক কার্যক্রম চালিয়ে গুটিয়ে আছে, আর ইন্টারনেট ও মিডিয়ার অবারিত ক্ষেত্র উপজাতিদের একপাক্ষিক অভিযানের জন্য ফেলে রাখা হয়েছে। এই মঞ্চে নামাতে শাম্তিচুক্তি আমাদের বারন করেনি, সেটা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রও না, ক্ষেত্রটা আমার-আপনার, আমরা নামছি না সেই ময়দানে। নাকি আমরা উপজাতিদের সেই অভিযানের একজন ভিক্টিম হয়ে প্রকৃত ভিক্টিম স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধেই বিষোদ্গারে নামব?

কোন বিষয়ে আপত্তি থাকলে পয়েন্টভিত্তিক আলোচনা করুন, একটা সুস্থ আলোচনা হবে, সেই আশায় আছি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×