শ্রদ্ধেয় স্যার ডঃ ইউনুস, আমি ২৯ বছরের এক তরুন। আপনার গ্রামীন ব্যাংক আমার জীবনে কোন উপকারও করেনি, অপকারও করেনি। আপনার প্রতি আছে আমার অশেষ শ্রদ্ধা। আপনার কষ্টে তিল তিল করে গড়ে তোলা গ্রামীন ব্যাংকের উপর কালো শকুনির চোখ পড়েছে। এ চোখ এমনি চোখ যেদিকে চায় ছারখার করে যায়। আপনার গড়া গ্রামীন ব্যাংক আমার উপকারে না আসলেও এদেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মা বোনের পথচলার, জীবিকা উন্নয়নের সাথী। ৮৪ লক্ষ পরিবারের প্রতিটিতে যদি গড়ে ৫ জন করে সদস্য থাকে তাহলে গ্রামীন ব্যাংকের জনশক্তি মোট ৪ কোটি ২০ লাখ। যা দেশের এক চতুর্থাংশ। এদের মধ্যে ভোটার মিনিমাম ১ কোটি ৬৮ লক্ষ। যে শকুনির চোখ পড়েছে এখানে, এসবের হিসাব তার বোধগম্য হবে না। তিনি আছেন লুটপাটের ধান্ধায়, দেশের সাধারণ মজুর শ্রেণীর রক্ত চোষার ধান্দায়। আপনি শকুনী গংদের কাছে মুল্য না পেলেও আমাদের অন্তরের জ্বলন্ত প্রদীপ হয়ে জ্বলছেন। আপনার কৃর্তিতে অথবা কৃতিত্বে বিশ্ববাসী আমাদেরকে নতুন করে চেনে, কটু কথা বলার আগেও একবার ভাবে যে এ ইউনুসের দেশের লোক। আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা করি। আপনার প্রতি কোন অবিচারে আমরা ব্যাথিত হই। আমরা কিন্তু আপনার গ্রামীন ব্যাংক পরিবারের না। আমাদের মোট শক্তি অফুরান, আমরা তরুন, আমরা অফুরন্ত। আমাদের এই অফুরান শক্তি আপনার গ্রামীন ব্যাংক শক্তির সাথে যোগ করে দেখুন সংখ্যাটা কতো বড়ো হয়। আমরা আছি আপনার পাশে। আপনি আগামীতে কোন প্রক্রিয়ায় আমাদের শাসন ব্যাবস্থায় চলে আসুন। আপনার জয় হবে আমি নিশ্চিত। আপনি আমাদের অর্থনীতির হাল ধরুন। আমাদের অর্থনীতিকে রাবিশ আর বোগাস থেকে বের করে আনুন। শেয়ার বাজার আবার চাঙ্গা হবে আপনি দায়িত্ব নিলে। আপনি আসুন, আপনার জন্য আমরা লাল গালিচা দিয়ে অতি রঞ্জিত করবো না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের পাশে বসার জন্য একটা চটের মাদুর পেতে দেবো। আর দেবো একটা তালপাখা। আপনার প্রতীক আমি নির্ধারণ করলাম "গ্রামীণ ব্যাংক"।
এই লেখাটি আমি প্রথম আলোতে মন্তব্য করছি। দেখি হালারা মুছে দেয় কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬